ভ্যালেন্টাইন ডে (valentine’s day) কলকাতায় (Kolkata) সেলিব্রেট করতে চাইলে আমরা আপনাকে কিছুটা হেল্প করতে পারি। মনের মানুষকে নিয়ে কোথায় যাবেন, নিশ্চয়ই ভাবছেন। কোনও চিন্তা নেই। আপনাদের জন্য কিছু সাজেশন দেওয়ার চেষ্টা করলাম আমরা। আপনার কাজ শুধু লিস্ট থেকে নিজের পছন্দ বেছে নেওয়া।
Table of Contents
আরও পড়ুনঃ ভ্যালেন্টাইনস ডে’র স্পেশ্যাল মেনু
কীভাবে ভ্যালেন্টাইন ডে-র সূচনা হয়েছিল? (History of Valentine’s Day)
২৬৯ সালে ইতালির রোমে সেন্ট ভ্যালেইটাইনস নামে একজন খ্রীষ্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ছিলেন। ধর্ম প্রচার-অভিযোগে তৎকালীন রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস তাঁকে বন্দী করেন। কারণ তখন রোমান সাম্রাজ্যে খ্রীষ্টান ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ ছিল। বন্দি অবস্থায় তিনি জনৈক কারারক্ষীর দৃষ্টিহীন মেয়েকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলেন। এতে সেন্ট ভ্যালেইটাইনের জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। আর তাই তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজা তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেন। সেই দিন ১৪ই ফেব্রুয়ারি ছিল। অতঃপর ৪৯৬ সালে পোপ সেন্ট জেলাসিউও ১ম জুলিয়াস ভ্যালেইটাইন’স স্মরণে ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইন’ দিবস ঘোষণা করেন।
পাশ্চাত্যের ক্ষেত্রে জন্মদিনের উৎসব, ধর্মোৎসব সবক্ষেত্রেই ভোগের বিষয়টি মুখ্য। তাই গির্জার অভ্যন্তরেও মদ্যপানে তাঁরা বিরতি দেননি। ফলে পাশ্চাত্য প্রথায় এই ভ্যালেন্টাইন দিবসের চেতনা বিনষ্ট হওয়ায় ১৭৭৬ সালে ফ্রান্স সরকার কর্তৃক ভ্যালেইটাইন উৎসব নিষিদ্ধ করা হয়। ইংল্যান্ডে ক্ষমতাসীন পিউরিটানরাও একসময় প্রশাসনিকভাবে এ দিবস উদযাপন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এছাড়া অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি ও জার্মানিতে বিভিন্ন সময়ে এ দিবস প্রত্যাখ্যাত হয়। সম্প্রতি পাকিস্তানেও ২০১৭ সালে ইসলামবিরোধী হওয়ায় ভ্যালেন্টাইন উৎসব নিষিদ্ধ করে সে দেশের আদালত। বর্তমানে পাশ্চাত্যে এ উৎসব মহাসমারোহে উদযাপন করা হয়।
ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র উৎপত্তির বিষয়ে আরও একটি সম্পূর্ণ ভিন্নমত রয়েছে। সেখানে বলা হয়,ভ্যালেন্টাইনের সঙ্গে প্রিয়জনকে ভালোবাসার বার্তা পাঠানোর আদৌ কোনও সম্পর্ক নেই। প্রাচীনকালে মানুষের বিশ্বাস ছিল, ১৪ ফেব্রুয়ারি হল পাখিদের বিয়ের দিন। পাখিরা বছরের দ্বিতীয় মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ডিম পাড়তে বসে। আবার কেউ বলেন,মধ্যযুগের শেষ দিকে মানুষ বিশ্বাস করত এদিন থেকে পাখিদের মিলন ঋতু শুরু হয়। পাখিরা সঙ্গী খুঁজে বেড়ায়। পাখিদের দেখাদেখি মানুষও তাই সঙ্গী নির্বাচন করে এই দিনে।
আরও পড়ুনঃ বন্ধুদের উদ্দেশ্যে ভালবাসার বার্তা
কলকাতায় ভ্যালেন্টাইন ডে-তে কোথায় কোথায় যেতে পারেন (Places To Go On Valentine’s Day In Kolkata)
কলকাতায় বসে ভ্যালেন্টাইন ডে সেলিব্রেট করতে চান? আগে থেকেই ডেস্টিনেশন প্ল্যান তৈরি করে ফেলুন। আপনি বা আপনার মনে মানুষ কি ফুডি? এই দিনটা জমিয়ে খেতে চান রকমারি খান? নাকি তন্ত্রাতে গিয়ে নাচতে চান দুজনে? অথবা কলকাতারই কোনও পার্কে বসে হাতে হাত রেখে সময় কাটিয়ে দিতে চান। দেখুন তো, আমাদের সাজেশন আপনাদের পছন্দ হল কিনা।
১| তন্ত্রা (Tantra)
পার্ক স্ট্রিটের দ্য পার্কের তন্ত্রা হতে পারে আপনার ভ্যালেন্টাইন ডে সেলিব্রেশনের সেরা ঠিকানা। মুম্বইয়ের ডিডে কিরণ কামাথ হাজির থাকতে পারেন আপনার পছন্দের মিউজিক বাজানোর জন্য। মধ্যরাত পর্যন্ত ভ্যালেন্টাইন ডে স্পেশ্যাল ড্রিঙ্ক অফার করা হয় অতিথিদের। লাল গোলাপে সাজানো অ্যাম্বিয়েন্সও একেবারে পারফেক্ট। বিকেল চারটে থেকেই এন্ট্রি শুরু হয়ে যায়। মাত্র ১০০০ টাকার মধ্যে কাপলদের জন্য ভাল ব্যবস্থা থাকে। রাত ন’টার পর থেকে ক্লাবের নিয়ম চালু হয়ে যায়।
নিজের হাতে তৈরি করা ভ্যালেন্টাইন্স ডে গিফট আইডিয়াস
২| এম বার অ্যান্ড কিচেন (M Bar And Kitchen)
এম বার অ্যান্ড কিচেনের ঠিকানা ২৪ পার্ক স্ট্রিট। ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে দুটো ফ্যাম জ্যাম সেশন আয়োজন করতে পারেন কর্তৃপক্ষ। প্রথম হাফে ডিজে মণীশ এবং ডিজে রৌনক অতিথিদের মনোরঞ্জনের জন্য থাকতে পারেন। আর বাকি অংশ সামলানোর দায়িত্ব থাকতে পারে ডিজে গিরীশের ওপর। গোলাপ, চকোলেট দিয়ে সাজানো থাকবে গোটা হল। যার ফলে আপনি প্রেমে পড়তে বাধ্য। ওয়ান অন ওয়ান অফারে ভ্যালেন্টাইনের জন্য ফ্রি ড্রিঙ্কও আপনি পেতে পারেন। বিকেল চারটে থেকে শুরু করে মধ্যরাত পর্যন্ত পার্টি করতে পারেন। সাধারণ ভাবে কাপলদের জন্য প্রবেশ মূল্য ২০০০ টাকা। ক্লাবের নিয়ম অনুসরণ করা হবে।
৩| পুওর হাউজ (Pour House)
অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল-এর এই সাইলেন্ট ডিস্কো সিন যদি আপনার ভাল লেগে থাকে তাহলে এই বছরের ভ্যালেন্টাইন ডে কাটানোর সেরা ঠিকানা হতে পারেন পুওর হাউজ। কারণ কর্তৃপক্ষ সাইলেন্ট ডিস্কো পার্টির আয়োজন করে থাকে। প্রথম চ্যানেলে থারে বলিউড নাম্বার, সঙ্গে পাঞ্জাবি বিটস। দ্বিতীয় চ্যানেলে থাকে হিপহপ, কর্মাশিয়াল। তৃতীয় চ্যানেলে থাকে প্রোগ্রেসিভ টেকনোলজির ব্যবহার, সঙ্গে থাকে ভ্যালেন্টাইন ডে স্পেশ্যাল ককটেলের আয়োজন। সুতরাং হেডফোন কানে দিয়ে ফ্লোরে নেমে পড়ার অপেক্ষা। সল্টলেট সেক্টর ফাইভের এই ঠিকানায় ভ্যালেন্টাইনস ডে-র দিন সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা থেকে আপনি এন্ট্রি নিতে পারবেন। কাপলদের ন্যূনতম খরচ ৩০০০ টাকা। ক্লাবের নিয়ম মেনে চলতে হবে।
৪| রিকিজ বার অ্যান্ড কিচেন এলগিন (Rikki’s Bar & Kitchen Elgin)
আপনার ভ্যালেন্টাইনকে স্পেশ্যাল ফিল করাতে চান? তাহলে আপনার ডেস্টিনেশন হতে পারে শরৎ বোস রোডের রিকিজ বার অ্যান্ড কিচেন এলগিন। ককটেল এবং ক্যান্ডেললাইট ডিনারের ব্যবস্থা থাকে প্রতিবছর। মুম্বইয়ের ডিজে ডোনা অতিথিদের মনোরঞ্জন করেন ফ্লোরে। এছাড়া কলকাতার ডিজে কুশল এবং সুপ্রিয় রোম্যান্টিক নাম্বার প্লে করেন। সন্ধে সাতটা থেকে এন্ট্রির ব্যবস্থা থাকে। কাপলদের জন্য গড়ে খরচ হয় ১০০০ টাকা। আর অবশ্যই ক্লাবের নিয়ম মেনে চলতে হবে।
৫| নলবন (Nalban)
সল্টলেকের সমস্ত রাস্তাই যেন প্রেমের পক্ষে আদর্শ ৷ তবু অফিস বা কলেজ ফেরত সবুজে মোড়া এক চিলতে এই জায়গায় প্রেমটা দারুন জমে৷ ঝিলের হাওয়া মনটাকে তাজা করে দেবে ৷ বিনোদনের নানান ব্যবস্থাও রয়েছে। রয়েছে বেশ কয়েকটি সরকারি হোটেলও। সেখানে খাওয়াদাওয়া বেশ ভালই। আপনার ভ্যালেন্টাইনকে নিয়ে ওই বিশেষ দিনে ঘুরে আসতেই পারেন।
৬| সেন্ট্রাল পার্ক (Central Park)
একই সঙ্গে সেন্ট্রাল পার্ক সল্টলেকের বিখ্যাত আবার কুখ্যাত জায়গাও বটে৷ কিন্তু কলকাতার বুকে যাঁরা প্রেম করেছেন তাঁরা জানেন, সেন্ট্রাল পার্ক খুব পছন্দের ডেস্টিনেশন ৷ প্রবেশ মূল্য মাত্র ৩০ টাকা। আর সে কারণেই বোধহয় এই পার্কে ভিড় একটু বেশি৷ তবে নিজের সঙ্গীকে নিয়ে একান্তে সময় কাটাতে চাইলে এর থেকে ভাল পরিবেশ কলকাতায় খুব বেশি নেই।
৭| ইকো পার্ক (Eco Park)
বিনোদনের সমস্ত উপকরণ রয়েছে ইকো পার্কে ৷ বিশাল বড় এলাকা সাজানো গোছানো ৷ চোখের আরাম দেয় ৷ মজার রাইডগুলোয় চড়ে সারা দিন ভালই কাটবে ৷ ঝিলের ওপারে গেলে রয়েছে দুর্দান্ত একটি ক্যাফে ৷ খাওয়া দাওয়া সারতে পারেন সেখানেই ৷ শীতের মিঠে রোদ পিঠে নিয়ে বোটিং করতে পারেন ৷ বেশি ঘুরতে ইচ্ছে না হলে স্রেফ বসে থাকুন প্রিয়জনের সঙ্গে ৷ সন্ধ্যে হলে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড দেখে ফিরে আসুন ৷ ইচ্ছে হলে উল্টোদিকের ওয়াক্স মিউজিয়ামেও ঢুঁ মারতে পারেন ৷
৮| ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল (Victoria Memorial)
কলকাতায় প্রেমের অপর নাম বোধহয় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল ৷ প্রেম আর ভিক্টোরিয়া নিয়ে অনেক নস্ট্যালজিয়াও রয়েছে৷ সঙ্গে অবশ্যই বাদাম ভাজা৷ শ্বেতশুভ্র, রাজকীয় আর্কিটেকচারকে সাক্ষী রেখে হাতে হাত রাখলে যেন পাল্টে যায় প্রেমের মানে৷ সেই ভালবাসার সাক্ষী হতে চাইলে ভ্যালেন্টাইন ডে-র দিন সঙ্গীকে নিয়ে আপনার ডেস্টিনেশন হতেই পারে ভিক্টোরিয়া।
৯| ইলিয়ট পার্ক (Elliot Park)
শহরের প্রাণকেন্দ্র অর্থাৎ পার্ক স্ট্রিটে রয়েছে ইলিয়ট পার্ক। প্রেমের দিনে এখানেই সময় কাটাতে পারেন৷ আর যদি এই ভ্যালেন্টাইন ডে-তে নতুন কাউকে প্রোপোজ করার প্ল্যান থাকে, তাহলে তো আপনার অন্যতম ডেস্টিনেশন ইলিয়ট পার্ক। এই চান্স একেবারে মিস করবেন না।
১০| রবীন্দ্র সরোবর (Rabindra Sarobar)
রবীন্দ্র সরোবর হল শহরের পুরনো প্রেমের জায়গা৷ খোঁজ নিতে পারেন, বেশ কিছু জেনারেশনে প্রেমের ঠিকানা রবীন্দ্র সরোবর। কয়েক বছর আগেও যখন কলকাতা এতটা সাজানো ছিল না, তখন ভ্যালেন্টাইনস ডে-র অন্যতম ডেস্টিনেশন ছিল রবীন্দ্র সরোবর। এখন হাতে অনেক অপশন ঠিকই। তাই বলে, পুরনো সঙ্গীকে অবহেলা করবেন না। বিশাল সরোবরের তীর ঘেঁষে বসতে পারেন ভালবাসার মানুষটিকে নিয়ে ৷ ভাল লাগবেই, গ্যারেন্টি দেওয়াই যায়৷
১১| প্রিন্সেপ ঘাট (Princep Ghat)
একে গঙ্গা, তার উপর বিদ্যাসাগর সেতুর মন ছুঁয়ে যাওয়া দৃশ্যপট৷ প্রেমের জন্য আদর্শ কিনা, বলুন। আর এই সেলফির যুগে তো এত ভাল ব্যাকগ্রাউন্ড আর নাও পেতে পারেন। নৌকা বিহারের সঙ্গে পারফেক্ট ফোটোফ্রেম৷ প্রিয়জনকে নিয়ে ভ্যালেন্টাইন ডে-র দিন হাজির হয়ে যান প্রিন্সেপ ঘাটে। গল্প করুন, সঙ্গে চলুক পেট পুজো। আর উপরি পাওনা নৌকো বিহার। এর চেয়ে ভাল রোম্যান্স করার জায়গা আর কী হতে পারে?
১২| হোয়াটস আপ (What’s Up Cafe)
কেবল ফোনেই হোয়াটস অ্যাপ থাকে না ১২২/এ সাদার্ন অ্যাভিনিউতেও থাকে। এই ঠিকানায় রয়েছে হোয়াটস আপ কাফে। খোলা ছাদে বসলে দেখতে পাবেন কলকাতার অনেকটাই। সবুজও চোখে পড়বে কিছু। হালকা গরম জলে পা ডুবিয়ে বসতে পারেন। আবার খেতে পারেন হুক্কাও। চলতি ডিশ ছাড়া ভ্যালেন্টাইনস ডে-র মেনুতে সাধারণত র্যাপড় প্রন, বেকড ভেটকি, হার্ট শেপড ব্রাউনি, বেকড আলাস্কার মতো লোভনীয় পদের আয়োজন করেন কর্ত্পক্ষ। লাইভ মিউজিক ও বিভিন্ন শিল্পীর পারফরম্যান্সও থাকে অতিথিদের মনোরঞ্জনের জন্য। মনের মানুষকে নিয়ে এই কাফেতে সময় কাটাতে পারেন মাত্র ১৫০০ টাকার বিনিময়ে।
১৩| রেইজ দ্য বার (Raize The Bar)
সল্টলেকের দিকে ভ্যালেন্টাইন ডে কাটানোর পরিকল্পনা আছে? তা হলে পেটপুজো সারুন কলেজ মোড়ের কাছে গোদরেজ ওয়াটার সাইডে রেইজ দ্য বার-এ। পিৎজা থেকে বার্গার সবই বিশেষ দিনের জন্য বিশেষ রকম। সঙ্গে মনকাড়া মকটেল, পাস্তার বিপুল আয়োজন। ভ্যালেন্টাইন স্পেশাল মেনু থাকে প্রতি বছরই। দু’জনের খরচ গড়ে ১৮০০-২০০০ টাকা।
১৪| ফ্রেন্ডস অব ফো (Friends Of Pho)
ভালবাসার উদযাপনে গত বছর গোলাপের আকারে ডিমসাম এনে সাড়া ফেলে দিয়েছিল চিনার পার্ক সিলভার আর্চের দোতলায় ফ্রেন্ডস অব ফো। মনের মানুষকে নিয়ে মোমের আলোয় খাওয়াদাওয়া করারও বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছিল এই রেস্তোরাঁ। এখানকার চিকেন শাফালে, প্রন হর গাও, স্পেশাল চিলি চিকেনের স্বাদ না নিলে ঠকবেন। সব মিলিয়েও বছরও মনের মানুষকে নিয়ে ভ্যালেন্টাইন ডে সেলিব্রেট করতে পারেন এই রেস্তোরাঁয়।
১৫| জেমসন ইন সিরাজ রেস্তরাঁ (Jameson Inn Shiraz)
নবাবি খাবারদাবার পছন্দ করেন তিনি? আর তাঁর মনের মতো করেই এ দিন কাটাতে চান? তা হলে উপায় আছে। মোগলাই খানার নানা পদ সাজিয়ে রাখে পার্ক প্যাভিলিয়ন কাফে জেমসন ইন সিরাজ রেস্তরাঁ। ৫৬, পার্ক স্ট্রিটই হয়ে উঠতে পারে আপনার ভ্যালেন্টাইন ডে স্পেশ্যাল ডিনারের ঠিকানা। মকটেল থেকে ডেজার্ট সবেতেই দারুণ মোগলাই পদ পেতে পারেন। আর খরচও একেবারেই পকেটের নাগালে থাকবে আশা করা যায়।
ভ্যালেন্টাইন ডে নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্নোত্তর (FAQs)
ভ্যালেন্টাইন ডে নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্নোত্তর এবার দেখে নেওয়া যাক।
১| ভ্যালেন্টাইস ডে কলকাতায় পালিত হয়?
কলকাতা আদ্যোপান্ত ভালবাসার শহর। আর সেখানে ভ্যালেন্টাইনস ডে-র সেলিব্রেশন তো হবেই। শহরের বিভিন্ন জায়গা সেজে ওঠে ভালবাসার রঙে। আদরে, আহ্লাদে আপনিও সেলিব্রেট করুন মনের মানুষকে নিয়ে। আর এ বছর যদি কলকাতায় আপনার প্রথম ভ্যালেন্টাইন ডে হয়, তাহলে অন্তত হতাশ হবেন না, এটুকু গ্যারান্টি।
২| ভ্যালেন্টাইস ডে-তে কলকাতার বিভিন্ন জায়গা কতটা নিরাপদ?
ভ্যালেন্টাইন ডে-তে কলকাতার বিভিন্ন রেস্তোরাঁ, ক্লাব, শপিং মল, পার্কে প্রচুর ভিড় হয়। বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানেও মানুষ পৌঁছে যান প্রিয়জনের হাত ধরে। কিন্তু একই সঙ্গে নিরাপত্তাও দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে। বেশি সংখ্যক পুলিশকে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। ক্লাব বা রেস্তোরাঁ গুলির নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীও থাকেন।
৩| ভ্যালেন্টাইন ডে-র জন্য কি কলকাতার বিভিন্ন স্থানে আলাদা প্রবেশ মূল্য ধার্য হয়?
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উত্তরটা হল না। বছরের অন্যান্য দিনের মতো একই প্রবেশ মূল্য দিয়ে ভ্যালেন্টাইন ডে-তেও ঘোরা যায় কলকাতার বিভিন্ন জায়গায়। আর যদি কোনও ক্ষেত্রে বিশেষ প্রবেশ মূল্য ধার্য হয়, তা আগে থেকে নোটিশ জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়..