এ তো আর আমি-আপনি নই, এঁরা হলেন গিয়ে সেলেব্রিটি! এঁদের চলন-বলন কথার ধরন কিছুই আমার-আপনার সঙ্গে মিলবে না! আচ্ছা, বলুন দিকি, আপনি কেমন করে নিজের বা পরিবারের অন্যদের জন্মদিন সেলিব্রেট করেন? পাড়ার দোকান থেকে কিনে আনা কেক, বাড়িতে তৈরি পায়েস, রাতে লুচি-মাংস কিংবা খুব বেশি হলে মোড়ের মাথার পল্টুর চিনা দোকান থেকে খাঁটি বাঙালি চাউমিন আর চিলি চিকেন! তাই তো? আপনার জন্মদিনে কোনও বন্ধু আপনার সঙ্গে নিজের ছবি দিয়ে ইনস্টাগ্রামে হ্যাপি বার্থ ডে বলে? কিংবা আপনাকে টুইটারে জন্মদিন উইশ করে বা ধরুন, আপনার জন্মদিন নিয়ে আলাদা হ্যাশট্যাগ তৈরি হয়? নাকি আপনার স্বামী আপনার জন্মদিনের ভিডিয়ো বানিয়ে সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন?
জানি না বাপু, আপনার হয় কিনা, আমাদের তো হয় না! তাই কাল প্রিয়ঙ্কা চোপড়াকে (Priyanka Chopra) দেখে আমাদের ভা-রী হিংসে হয়েছে! সারা দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল ছিল তাঁর জন্মদিন নিয়ে। ৩৭ বছরে পা দিলেন আমাদের দেসি গার্ল। তিনি নিজে কতটা খুশি হয়েছেন জানি না এই বয়স বাড়ার কারণে, তবে তাঁর পরিবারের সকলে এবং তাঁর সহকর্মীরা অন্তত ভা-রী খুশি হয়েছেন! সক্কলে মিলে সারাটা দিন ধরে ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, যেখানে পেরেছেন সেখানে প্রিয়ঙ্কা চোপড়াকে শুভ জন্মদিন জানিয়ে মেসেজ করেছেন, বার্তা পাঠিয়েছেন, ছবি সেঁটেছেন, আরও যত আদিখ্যেতা সম্ভব স-অ-ব করেছেন! আচ্ছা, একটা কথা বলুন তো, এঁদের সকলের কাছে তো প্রিয়ঙ্কার ব্যক্তিগত ফোন নম্বর আছে, যেটাতে ফোন করলে প্রিয়ঙ্কা নিজে ফোন ধরেন? তা হলে ব্যক্তিগতভাবে ফোন না করে সকলে মিলে সারাদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়াকে বেছে নেন কেন? নাকি আসলে মুখে হ্যাপি বার্থডে বললেও, মনে-মনে প্রিয়ঙ্কার জন্মদিন নিয়ে তাঁদের একটুও মাথাব্যথা নেই! ওটা জানাতে হয়, তাই জানিয়েছেন! জানি নে বাপু!
তবে প্রিয়ঙ্কার পরিবারের সকলে ভারী আনন্দ করেছেন গতকাল। তা তাঁর পরিবার তো আবার ছোটটি নয়! মা-ভাই, খুড়তুতো বোন (পরিণীতি চোপড়া, যিনি দেশে নিজের আগামী ছবি জবড়িয়া জোড়ির প্রোমোশন ছেড়ে জেঠিমাসহ উড়ে গিয়েছেন আমেরিকাতে, মিমি দিদির জন্মদিনে কেক কাটবেন আর ধেই নেত্য করবেন বলে, যত্তসব!), তারপর এখন আবার যুক্ত হয়েছে শ্বশুরবাড়ির গুষ্টি! এই জোনাস পরিবার জাতে আমেরিকান হলে কী হবে, হাবেভাবে পুরো রাজশ্রী পিকচার্সের ‘হম সাথ সাথ হ্যায়’ মার্কা খাঁটি ভারতীয় পরিবার! এঁরা গান গান একসঙ্গে, খানা খান একসঙ্গে, পরস্পরের বিয়েতে একসঙ্গে এঁটুলি পোকার মতে সেঁটে ছবি তোলান, এ ছাড়া থ্যাঙ্কসগিভিং, মায়ের জন্মদিন, বাবার সুট কেনা, পরিবারের ছোটদেন কিন্ডারগার্টেন বাস, ইত্যাদি নানা অকেশনে এক্কেবারে পিকচার পারফেক্ট ফ্যামিলি ফ্রেম তোলাতে ভালবাসেন! আহা গো, প্রিয়ঙ্কা দেশ ছেড়েছেন ঠিকই, কিন্তু দেশ তাঁকে ছাড়েনি! কী সুন্দর জোনাসদের মধ্যে দিয়েই মিনি ভারত সব সময় তাঁর সঙ্গে-সঙ্গে রয়েছে!
যাই হোক, মোট কথা হল আমেরিকায়, জোনাস পরিবারের বাড়িতে ঘটা করে তাঁর জন্মদিন (birthday) পালিত হয়েছে। প্রিয়ঙ্কা সেখানে লাল টুকটুকে ডিজাইনার পোশাক আর ততোধিক দামি ব্যাগ নিয়ে খুকিটি সেজে বুটি ডান্স করেছেন। আর মন দিয়ে তাঁর ভিডিয়ো তুলেছেন স্বামী নিক জোনাস (Nick Jonas)! যথারীতি তুলেই ক্ষান্ত হননি, সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ভাইরাল করে তবে দম নিয়েছেন! অবশ্য তার আগে তোমার জম্মোদিনে আমি ভারী খুশি মাফিক একখানা গদগদ পোস্টও করেছিলেন তিনি! বিশ্বাস না হলে এখানে দেখে নিন। আপনাদের জন্য রইল সেই পোস্ট এবং ভিডিয়ো…
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!