চুলের যত্ন (hair care) করা উচিত – এই কথাটি আমরা সবাই জানলেও মানি খুব কম সংখ্যক মানুষ! আসলে দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততা বলুন বা আলস্য – কারণ যাই হোক না কেন, ঠিকভাবে আমাদের চুল পরিষ্কার করা হয়ে ওঠে না। অনেক সময়ই আমাদের শ্যাম্পু করাও হয় না। আবার বর্ষাকাল বা শীতকালে শ্যাম্পু করলেও চুল ঠিকভাবে শুকোয় না। এই সমস্যার সমাধান অবশ্য রয়েছে! ড্রাই শ্যাম্পু (dry shampoo) ব্যবহার করা। কিন্তু ড্রাই শ্যাম্পু লাগানোর আগে বেশ কয়েকটি বিষয় (tips) মাথায় রাখতে হবে, তা না হলে চুলের নানা সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করার আগে যা যা মাথায় রাখবেন
ঝটপট চুল সুন্দর করে তুলতে ড্রাই শ্যাম্পুর জুড়ি নেই
১। ড্রাই শ্যাম্পু (dry shampoo) ব্যবহার করার আগে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। আপনি যদি সম্পূর্ণভাবে ড্রাই শ্যাম্পুর উপরে নির্ভরশীল হয়ে পড়েন তাহলে মুশকিল। এরকম শ্যাম্পু ব্যবহার করার পর কিন্তু ভাল করে ঠান্ডা জলে চুল ধুতে ভুলবেন না। তা না হলে, স্ক্যাল্পে চুলকানি, জ্বালা বা খুশকির মত সমস্যা হতে পারে।
২। যদি আপনি স্প্রে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে চান, সেক্ষেত্রে চুলের থেকে অন্তত ছয় ইঞ্চি দূরে রেখে স্প্রে করবেন। ড্রাই শ্যাম্পু লাগিয়ে নেওয়ার পর একবার মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিন। এতে শ্যাম্পু সমস্ত চুলেই ছড়িয়ে যাবে। চুল যদি ভেজা থাকে, সেক্ষেত্রে কিন্তু ড্রাই শ্যাম্পু লাগাবেন না। অনেক সময়ই আমাদের চুল ঘামে ভিজে যায়, এমন অবস্থায় ড্রাই শ্যাম্পু চুলে লাগালে দলা পাকিয়ে যেতে পারে।
৩। যদি আপনার স্ক্যাল্প তৈলাক্ত হয় সেক্ষেত্রে ড্রাই শ্যাম্পু (dry shampoo) সরাসরি স্ক্যাল্পে স্প্রে করুন। কিন্তু ওই যে বললাম, অন্তত ছয় ইঞ্চি দূর থেকে। মিনিট দশেক সময় দিন যাতে স্ক্যাল্প ও চুলের তৈলাক্তভাব দূর হয়। এরপর সব চুল সামনে নিয়ে এসে ভাল করে আঁচড়ে নিন। প্রথমে বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে জট ছারিয়ে নিন এবং পরে সরু চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে পাউডার ঝেরে ফেলুন।
৪। বাজারে নানা ব্র্যান্ডের, নানা দামের ও নানা ধরনের ড্রাই শ্যাম্পু পাওয়া যায়। আপনি কীভাবে বুঝবেন কোনটি আপনার চুলের জন্য উপযুক্ত! যখনই ড্রাই শ্যাম্পু কিনবেন, তার আগে নিজের চুলের ধরন জেনে নিন। নিজের চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু কিনুন।
৫। শুধু ড্রাই শ্যাম্পুর ক্ষেত্রেই নয়, যে-কোনও প্রসাধনী কেনার সময়েই ব্র্যান্ডেড জিনিস কেনা ভাল, যদি একটু বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয় তবুও ভাল জিনিসটাই কিনুন। বাজারচলতি নানা ড্রাই শ্যাম্পু রয়েছে; কিন্তু ট্রেসেমে, ওয়েলা, বি-ব্লান্ট – এদের ড্রাই শ্যাম্পু বেশ ভাল। এগুলো ট্রাই করতে পারেন।
৬। ড্রাই শ্যাম্পু যখনই ব্যবহার করবেন, খেয়াল রাখবেন একবারে অনেকটা স্প্রে করবেন না। এতে চুলের বারোটা বেজে যেতে পারে। ড্রাই শ্যাম্পু লাগানোর পর কিন্তু বারবার করে চুলে বা স্ক্যাল্পে হাত দেবেন না।
৭। প্রথমবার ড্রাই শ্যাম্পু (dry shampoo) ব্যবহার করার পর যদি দেখেন স্ক্যাল্পে চুলকোচ্ছে বা র্যাশ বেরোচ্ছে অথবা অন্য কোনও সমস্যা হচ্ছে, তাহলে তা আর ব্যবহার না করাই ভাল। সমস্যা এড়াতে ভাল কোনও ডারমেটোলজিস্টের পরামর্শ অবশ্যই নিন।