কোভিড-১৯-এর চিকিৎসার ক্ষেত্রে স্টেরয়েডের ব্য়বহার করা হচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘদিন টানা স্টেরয়েড ব্যবহারের কারণে অনেক রোগীর শরীরেই তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অনেকেই মিউক্রোমাইকোসিসে আক্রান্ত হয়েছেন। এখন আবার অ্যাভাস্কুলার নেক্রোসিস(AVN বা এভিএন)-এ আক্রান্ত হচ্ছেন। এই অসুখের জন্য হাড়ের অভ্যন্তরীণ কলার (বোন টিস্যু) মৃত্যু হচ্ছে (avascular necrosis in post covid patients) বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
স্টেরয়েড কেন ব্যবহার করা হয়? পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কতটা ভয়ানক?
কোনও ব্যক্তি যখন কোভিডে আক্রান্ত হন, প্রাথমিক পর্যায় ভাইরাস তার শরীরে প্রতিলিপি গঠন করে এবং শরীরের ভিতর ছড়িয়ে পড়তে থাকে। শরীরে মধ্যে প্রদ্রাহ কম করার জন্য ও তা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার জন্য স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়। কিন্তু যে রোগীদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কম, তাদের ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় ধরে স্টেরয়েড ব্যবহারের কারণে মানুষের শরীরে প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে। অনেক রোগী এভিএন-এর মতো অসুখের কবলে পড়ে।
পুনের অ্যাপোলে স্পেকট্রার অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আনন্দ যাদব সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এই নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেছেন। তিনি প্রতি মাসে এভিএন-এ আক্রান্ত প্রায় ১০-১৫ জন রোগীর চিকিৎসা করছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি এই বিষয়ে বলেন, “প্রথমে অনেক কোভিড আক্রান্ত রোগী সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পর মিউক্রোমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হচ্ছিলেন। এখন স্টেরয়েড ব্যবহারের কারণে অনেক রোগীই এভিএন-এ আক্রান্ত হচ্ছেন। অ্যাভাস্কুলার নেক্রোসিস বা অস্টিওনেক্রোসিসে রক্ত সংবহনের মাত্রা কম থাকার কারণে বোন টিস্যুর মৃত্যু হয়(avascular necrosis in post covid patients)। এর কারণে হাড় ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। হাড়ের মধ্য়ে তখন রক্তসংবহন বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে।”
এভিএন-এর ফলে কী হতে পারে?
চিকিৎসকদের মতে, আমাদের নিতম্বের হাড়ের পাশাপাশি আমাদের ঘাড়, হাঁটু, কাঁধ এবং পায়ের হাড়েও এর প্রভাব পড়তে পারে। আপনার নিতম্বে এবং থাইয়ে ব্যথা হতে পারে। এরকম উপসর্গ থাকলে কোভিড মুক্ত হওয়ার পর পরই সিটি স্ক্যান বা এক্স রে করিয়ে নিতে হবে। তাতে হাড়ের অবস্থা চিকিৎসকের কাছে স্পষ্ট থাকবে (avascular necrosis in post covid patients)।
কী করলে এভিএন-(avascular necrosis in post covid patients)এর আশঙ্কা কম হতে পারে?
- চিকিৎসকদের মতে কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পর পরই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। অসুখ ফেলে রাখলে হবে না। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যথেচ্ছ ওষুধ খাওয়া চলবে না। তাতে হিতবিপরীত হতে পারে।
- আপনার মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে, মদ্যপান ত্যাগ করতে হবে। আর নাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
- আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা দেখতে হবে। তা লক্ষ্য রাখতে হবে।
- চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনওরকম স্টেরয়েড ওষুধ খাওয়া চলবে না।
- ধূমপান বন্ধ করতে হবে।
কোভিড-১৯ মুক্ত হওয়ার পরেও আমাদের শরীরে নানারকম পোস্ট কোভিড উপসর্গ থাকতে পারে। তা ১ মাস থেকে ৬ মাস পর্যন্তও থাকতে পারে। তাই কোভিড মুক্ত হওয়ার পরেও আমাদের সাবধানে থাকতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে। কোনও শারীরিক অসুস্থতা থাকলেই চিকিৎসককে সেই বিষয়ে জানাতে হবে।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!