Unwanted Hair Remove করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি হল ওয়াক্সিং। প্রতি মাসে হয় পার্লারে গিয়ে অথবা বাড়িতেই অনেকেই ওয়াক্সিং করে নেন অবাঞ্ছিত লোম দূর করার জন্য। হ্যাঁ, একটু ব্যথা লাগে ঠিকই কিন্তু একসঙ্গে অনেকটা জায়গা পরিষ্কার হয়ে যায়। এছাড়া যেহেতু ওয়াক্সিং করালে একদম মূল থেকে লোম উৎপাটিত হয় কাজেই সামান্য ব্যথা লাগলেও বেশ অনেকদিন পর্যন্ত নতুন লোম গজায় না। তা ছাড়া হাইজিন বলেও তো একটা ব্যাপার আছে। আমাদের বিকিনি লাইন যেহেতু শরীরের বাকি অনেক অংশের থেকে বেশ কোমল এবং সংবেদনশীল, তাই bikini wax করানোর আগে অনেকেই দশ বার ভাবেন। শরীরের এই বিশেষ জায়গাটি পরিষ্কার রাখার জন্য ওয়াক্সিং করানো উচিত নাকি করানো উচিত নয়, তা নিয়ে নানা মুনির নানা মত। চলুন আজ জেনে নেওয়া যাক, বিকিনি ওয়াক্সের ভাল এবং খারাপ – দুটো দিকই!
বিকিনি ওয়াক্স করানোর কয়েকটি লাভ
বিকিনি ওয়াক্স করাতে ব্যথা লাগে ঠিকই, কিন্তু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে গেলে অত ব্যথাকে ভয় পেলে চলে না। বিকিনি ওয়াক্স করানোর কিন্তু বেশ কিছু লাভজনক দিক রয়েছে…
অনেকদিন পর্যন্ত ঝামেলা থেকে মুক্তি
একবার বিকিনি ওয়াক্স করিয়ে নিলে অনেকদিন পর্যন্ত অবাঞ্ছিত লোমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বিকিনি লাইন শেভ করার দু’-তিনদিনের মধ্যেই আবার ছোট-ছোট অবাঞ্ছিত লোম বেরতে থাকে এবং সেসময়ে উঠতে-বসতে বেশ অসুবিধে হয়। বিকিনি ওয়াক্স করালে এই সমস্যাটা থাকে না।
ধীরে-ধীরে অবাঞ্ছিত লোমের উপদ্রব কমতে থাকে
ওয়াক্সিং করালে যে ধীরে-ধীরে অবাঞ্ছিত লোমের ঘনত্ব কমতে থাকে, তা আমরা সবাই-ই জানি, আর বিকিনি ওয়াক্স-এর ক্ষেত্রেও এর কোনও অন্যথা হয় না। তবে বিকিনি লাইন শেভ করার পর কিন্তু সেখানকার লোম আরও বেশি শক্ত এবং খড়খড়ে হয়ে যায়।
কাটা-ছড়া বা রেজার বাম্পের সমস্যা নেই
হাত বা পা শেভ করার সময়ে আমরা দেখতে পাই যে, কোথায় লোম রয়েছে আর কোথায় নেই। কিন্তু বিকিনি লাইন শেভ করার সময়ে সে সুযোগটা থাকে না। ফলে অনেকসময়েই কেটে যাওয়ার ভয় থাকে। তাছাড়া কেটে না গেলেও রেজার বাম্প দেখা দেয় অর্থাৎ ফুসকুড়ি বেরোয়, যা বিকিনি ওয়াক্স করালে কিন্তু হয় না।
বিকিনি ওয়াক্সিং-এর কয়েকটি ক্ষতিকর দিক
সবই যদি ভাল হত, তা হলে তো আর কোনও সমস্যাই ছিল না। সব জিনিসেরই ভাল এবং খারাপ – দুটো দিকই থাকে এবং বিকিনি ওয়াক্স-এরও আছে।
ইনফেকশনের সমস্যা হতে পারে
সঠিকভাবে ওয়াক্সিং না করতে পারলে অথবা ওয়াক্সিং করানোর পর ঠিকভাবে বিকিনি লাইন পরিষ্কার না করলে কিন্তু ইনফেকশন হতে পারে। যিনি ওয়াক্সিং করছেন, তাঁর হাত এবং যে স্ট্রিপ দিয়ে লোম টেনে তোলা হচ্ছে, তা যেন পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত হয় সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন।
র্যাশ বেরতে পারে
এমনিতেই শরীরের বাকি অংশের তুলনায় বিকিনি লাইন বেশি কোমল হয়। তার উপরে অনেকেরই ত্বক সংবেদনশীল হয়, ফলে লোম টেনে তোলার পর হয়তো একটু র্যাশ বেরতে পারে।
যথেষ্ট খরচসাপেক্ষ
বিকিনি ওয়াক্স যেহেতু রেগুলার ওয়াক্স দিয়ে করানো যায় না, এটি একমাত্র ব্রাজিলিয়ান ওয়াক্স দিয়েই করানো যায়, কাজেই এটি কিন্তু যথেষ্ট খরচসাপেক্ষ।
বিকিনি ওয়াক্স করানোর আগে কিছু জরুরি বিষয় মাথায় রাখুন
- যখনই বিকিনি ওয়াক্স করাবেন ঠিক করছেন, সবসময়ে ভাল সালোঁতে যান; এতে সার্ভিস ভাল পাওয়া যায় এবং জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কাও কম হয়।
- এদম ছোট লোম থাকলে বিকিনি ওয়াক্স করা যায় না। কাজেই লোম বাড়তে দিন।
- বিকনি ওয়াক্স করানোর আগে কিন্তু ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করবেন না, তাতে ঠিকভাবে লোম অপসারিত হবে না।
- বিকিনি ওয়াক্স করানোর আগে এবং পরে যৌন মিলন করবেন না, এতে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা অনেকগুণ বেড়ে যায়।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!