চকোলেট ( Chocolate) খেলে সত্যিই এত উপকার মেলে? এক্কেবারে! কারণ, ডার্ক চকোলেট অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ঠাসা, সঙ্গে মজুত রয়েছে flavanols নামে একটি উপাদান, যা নাইট্রিক অক্সাইডের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়, যে কারণে সারা শরীরে রক্তের প্রবাহ এতটাই বেড়ে যায় যে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার সুযোগই পায় না। সঙ্গে হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও কমে। এছাড়াও মেলে আরও অনেক উপকার। কারণ, ডার্ক চকোলেটে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, জিঙ্ক এবং ফসফরাস, যা নানা ভাবে শরীরের (Health) উপকারে লেগে থাকে। কিন্তু প্রশ্ন হল, প্রতিদিন ডার্ক চকোলেট খেলে আরও কী-কী উপকার পাওয়া যায়, সে সম্পর্কে জানা আছে কি? জানা না থাকলে ঝটপট জেনে ফেলুন আমাদের কাছ থেকে। কারণ, শরীরকে সুস্থ রাখতে হলে ডার্ক চকোলেট খাওয়া মাস্ট!
ডার্ক চকোলেটের উপকারিতা
১. ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে
সবাই বলে ওজন কমাতে চাইলে চকোলেট খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে ডার্ক চকোলেট খেলে নাকি ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। কারণ এতে উপস্থিত নানা উপকারী উপাদান রক্তে মেশা মাত্র মেটাবলিজম রেটের উন্নতি ঘটে। ফলে শরীরের ইতি-উতি মেদ জমার আশঙ্কা আর থাকে না। সঙ্গে খিদেও কমে। আর কম পরিমাণে খাওয়ার কারণে ওজন বাড়ার আশঙ্কাও আর থাকে না বললেই চলে।
২. ক্যান্সারের মতো মারণ রোগকে দূরে রাখে
আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির প্রকাশ করা এক রিপোর্ট অনুসারে cocoa-তে উপস্থিত flavanols নামক উপদানটি ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর cocoa দিয়েই যেহেতু ডার্ক চকোলেট তৈরি হয়, তাই এতেও flavanols নামে উপদানটি প্রচুর পরিমাণে থাকে, যে কারণে ডার্ক চকোলেট খাওয়া শুরু করলে শরীরে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে। তবে ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখতে আরেকভাবেও ডার্ক চকোলেট বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কীভাবে? এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানগুলিকে শরীর থেকে বের করে দেয়। ফলে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা কমে।
৩. ডায়াবেটিসের মতো রোগকে ধারে কাছেও ঘেঁষতে দেয় না
ব্লাড প্রেশার, হাই কোলেস্টেরল এবং হার্টের রোগের পাশাপাশি যে নন-কমিউনিকেবল ডিজিজটির প্রকোপ গত কয়েক বছরে চোখে পড়ার মতো বেড়েছে সেটি হল ডায়াবেটিস। বর্তমানে এমন পরিস্থিতি যে, সারা বিশ্বের মধ্যে আমাদের দেশকে ডায়াবেটিস ক্যাপিটাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তাই ডার্ক চকোলেট খাওয়ার প্রয়োজন যে বেড়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ এতে উপস্থিত flavonoids নামক উপাদানটি শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। কমায় অক্সিডেটিভ স্ট্রেসও। ফলে ডায়াবেটিসের মতো মারণ রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে।
৪. ব্রেনের ক্ষমতা বাড়ে
ডার্ক চকোলেটে কামড় বসানো মাত্র শরীরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যে কারণে ব্রেনের cerebral cortical region-এ gamma frequency-এর মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে ব্রেনের ক্ষমতা বাড়ে। সঙ্গে স্মৃতি শক্তি এবং মনোযোগ ক্ষমতার উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না।
৫. হার্টের ক্ষমতা বাড়ে
একাধিক সমীক্ষার পর একথা জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে যে গত কয়েক বছরে আমাদের দেশে হার্টের রোগের প্রকোপ বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। বিশেষত, কম বয়সী ছেলে-মেয়েরাও এমন রোগের খপ্পরে পড়ছেন। তাই তো আট থেকে আশি, সকলেরই সপ্তাহে বারচারেক ডার্ক চকোলেট খাওয়া উচিত। কারণ এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য উপকারী উপাদানের কারণে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৫৭ শতাংশ কমে যায়। সঙ্গে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমতে শুরু করে, যে কারণেও হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আর থাকে না।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!