সব কিছুরই পজিটিভ এবং নেগেটিভ দিক রয়েছে। অর্থাৎ ভাল এবং খারাপ। একথা নিশ্চয়ই ছোট থেকে শুনেছেন। শুধু শুনলেই তো হবে না। বাস্তবেও সেটা কাজে লাগাতে হবে। চূড়ান্ত খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে থেকেও যদি ভাল দিকটা খুঁজে বের করতে পারেন, তাহলেই তো বেঁচে থাকার মানেটা আরও সুন্দর হবে।
করোনা আতঙ্কে লকডাউন চলছে। আমরা কেউই এখন ভাল নেই। অজানা ভাইরাসের আতঙ্ক রয়েছে। সঙ্গে ভবিষ্যতের একরাশ চিন্তা। প্রাথমিক ভাবে বেঁচে থাকাটা চ্যালেঞ্জ। বেঁচে থাকলে আদৌ চাকরি থাকবে কিনা, আর্থিক পরিস্থিতি কেমন থাকবে, এ নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে। গৃহবন্দি অবস্থায় মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ঠিকই। কিন্তু একই সঙ্গে এই গৃহবন্দি অবস্থা আপনাদের সম্পর্কের (relationship) কিছু ভাল দিকও তো সামনে নিয়ে আসছে। সে সব খুঁজে বের করতে পারলে, হয়তো ভাল লাগবে আপনারই। কী সেই ভাল দিক? আমরা কিছুটা শেয়ার করলাম। দেখুন তো, বাস্তবে আপনার পরিস্থিতির সঙ্গে কোনও মিল রয়েছে কিনা।
১) লক্ষ্য করলে হয়তো দেখবেন, এই কোয়ারেন্টাইনে (Quarantine) পার্টনারের উপর আপনার নির্ভরশীলতা অনেক বেড়ে গিয়েছে। একই ভাবে আপনার উপরেও পার্টনার আগের থেকে অনেক বেশি নির্ভর করছেন। হয়তো এতদিন মানসিক ভাবে আপনারা একে অপরের উপর নির্ভরশীল ছিল। এই দুর্দিনে আরও বিভিন্ন বিষয়ে নির্ভরশীলতা তৈরি হয়েছে।
২) কোয়ারেন্টাইন পরিস্থিতিতে আপনারা একে অপরের প্রতি আরও বেশি সৎ হয়েছে। এখন আপনার সাতদিন ২৪ ঘণ্টা একসঙ্গে থাকছেন। ফলে আগে হয়তো এমন অনেক কথা ছিল যা না বললেও হত, এখন সে সব খুঁটিনাটি বলছেন একে অপরকে। আবার হয়তো রাগ বা অভিমান আগে লুকিয়ে রাখতেন অনেকটাই। এখন সে সব আর আড়ালে থাকছে না। ফলে সব দিক থেকেই সৎ হয়েছেন অনেক বেশি।
৩) এই পরিস্থিতিতে একসঙ্গে রান্না হোক বা ঘরের কাজ করছেন অনেক দম্পতি। কোথাও তাদের মধ্যে একটা টিম স্পিরিট তৈরি হয়েছে। আগেও হয়তো এই কাজগুলো করতেন তাঁরা। কিন্তু আলাদা আলাদা ভাবে। নিজের নিজের সময় মতো। কোয়ারেন্টাইন বদলে দিয়েছে টাইম টেবিল। তাই টিম হিসেবে কাজ করার মানসিকতা তৈরি হয়েছে বহু দম্পতির।
৪) অনেক ছোট ছোট বিষয়ে হয়তো এখন পার্টনারের প্রশংসা করছেন আপনি। আগে এই সব ছোট ছোট জিনিস চোখে পড়ত না। কোয়ারেন্টাইন পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে। বাড়ির কাজ হোক বা জীবনের কোনও গভীর ভাললাগা, ছোট ছোট অ্যাচিভমেন্টের প্রশংসা করছেন একে অপরের। এতে বাঁধন আরও মজবুত হচ্ছে।
৫) আগের থেকে এখন অনেক বেশি মন দিয়ে শুনছেন প্রিয়জনের কথা। আগে হয়তো এত বিশদে শোনার সময় হত না কারও। কোয়ারেন্টাইন সেই অবসর করে দিয়েছে। ফলে ছোট ছোট জিনিস থেকে ভালবাসা খুঁজে নেওয়ার দক্ষতা তৈরি হয়েছে দুজনেরই।