আমাদের দেশে বেশিরভাগ বিয়েই হয় সম্বন্ধ করে। আর সেখানে মূল বিষয়টির পরিচালনার দায়িত্বে থাকেন পাত্র (would be husband) পাত্রীর বাবা মা। তারাই সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। একবার নিয়মমাফিক পাত্র (would be husband) পাত্রীকে (girl) মুখোমুখি আনা হয় ঠিকই, কিন্তু সেটা একটা সৌজন্য ছাড়া কিছু নয়। তবে এমনটা হওয়া কাম্য নয়। কারণ এটা আপনার জীবন। যার সঙ্গে আপনি (girl) সারাটা জীবন কাটাতে যাচ্ছেন বা যে পরিবার আপনার হতে যাচ্ছে সেই বিষয়ে সব খুঁটিনাটি জেনে নেওয়ার অধিকার আপনার আছে। তাই সম্বন্ধ করে বিয়ে হওয়ার আগে হবু বরকে তার পরিবারের সঙ্গে প্রথম (first) সাক্ষাতেই এই ১৫টি (15) প্রশ্ন (questions) করতে ভুলবেন না।
খুব সাধারণ প্রশ্ন হলেও এর উত্তর আপনাকে ক্লিয়ার আইডিয়া দেবে যে উনি কী ভাবছেন, এবং এতে আপনাদের পরস্পরের মধ্যে বাঁধন আরও দৃঢ় হবে।
যদি আপনি নিজেও বেড়াতে খুব ভালোবাসেন তাহলে এই প্রশ্ন নিশ্চয়ই একবার করবেন। হতে পারে এই ভদ্রলোক বেড়াতে ভালোবাসেন না, তিনি হয়তো খুব ঘরকুনো স্বভাবের। তাহলে বিয়ের পর আপনাদের মতের অমিল হওয়া অসম্ভব নয়।
একেক পরিবারে একেকরকম ছাঁচ থাকে। আপনি যে পরিবারে যাচ্ছেন সেখানকার সবটুকু জেনে নিতে গেলে এই প্রশ্ন করতেই হবে। আপনার হবু স্বামী তার পরিবারে কাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন বা কার মতামতকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন সেটা জেনে নিলে আপনি সেই পরিবারের চলনবলন সম্পর্কে একটু ধারণা পাবেন।
একজন মানুষের স্বভাব চরিত্র বা অভ্যেস অনেকটাই বোঝা যায়, যদি জানা যায় তার ফ্রেন্ড সার্কল কীরকম। তাই জানতে চান তার প্রিয় বন্ধুদের বিষয়ে। যদি তিনি খুশি হয়ে এই প্রশ্নের উত্তর দেন তাহলে বুঝতে হবে তিনি বন্ধুত্বের সম্পর্ককে যথেষ্ট মর্যাদা দেন। আর যদি সেটা না হয় তাহলে আরেকবার ভালো করে ভাবুন।
যারা হস্টেলে বা চাকরিসুত্রে একা অন্য শহরে থেকেছেন তারা অনেক বেশি গোছানো এবং দায়িত্বশীল হন। কারণ তাদের একা হাতে অনেক কিছু সামলাতে হয়। এই প্রশ্ন করুন তাকে। বুঝতে পারবেন তিনি বিয়ের পর বাড়তি দায়িত্ব নিতে কতটা সক্ষম।
এর আগে হবু স্বামীর কীরকমের সেক্সুয়াল এক্সপিরিয়েন্স হয়েছে সেটা সরাসরি জিগ্যেস করা যায় না। তাই এই প্রশ্ন ঘুরিয়ে করুন। তার মতামত শুনে আপনি বুঝতে পারবেন তিনি ঠিক কী চান। নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তার সঙ্গে প্রথমেই খোলামেলা হওয়ার দরকার নেই। পরে এই বিষয়ে আরও আলোচনা হলে আপনার ধারণা স্পষ্ট হবে তখন বলতে পারেন।
এই প্রশ্ন খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি বুঝতে পারবেন তিনি আপনাকে কীভাবে দেখতে চান। একজন গৃহবধূ হিসেবে নাকি আপনার কেরিয়ার নিয়েও তার কিছু ভাবনাচিন্তা আছে।
প্রত্যেক মানুষেরই এই বিশিয়ে কিছু সীমা থাকে। যেমন ধরুন আপনি বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সিনেমা দেখতে ভালোবাসেন। হতে পারে রাত করে বাড়ি ফেরা আপনার হবু স্বামী পছন্দ করেন না। তাই ভালো করে জেনে নিন তার কাছ থেকে। যদি দেখেন আপনার অনেক কিছুই তার অপছন্দ হতে পারে তাহলে এই সাক্ষাৎ আর রিপিট করার মানে হয় না।
তিনি কী করতে ভালোবাসেন, বা সময় পেলে কি গানবাজনা বা বিদেশী ভাষা কোনও কিছু শিখতে চান? নিজের হবির কথাও বলুন। দুজনের হবি এক হলে তো কেয়া বাত!
হয়তো আপনি আগে থেকেই জেনে গেছেন উনি কী করেন, তবু জানতে চান। বোঝার চেষ্টা করুন তার কাজকে তিনি কতটা ভালোবাসেন বা কতটা সময় দেন। এর থেকে মানুষটির দায়িত্ববোধ, সময়জ্ঞান অনেক কিছুই স্পষ্ট হবে।
হয়তো আপনার হবু স্বামী এর আগে এক গ্লাস জলও গড়িয়ে খাননি। আর আপনি আবার সব কাজ নিজে হাতে করে এসেছেন ছোটবেলা থেকে। তাই এই প্রশ্ন অবশ্যই করবেন। আপনি যদি চাকরি করেন তাহলে এটা জেনে নেওয়া দরকার। সংসারের সব দায়িত্ব যদি তিনি আপনার ঘাড়েই চাপিয়ে দিতে চান তাহলে মুশকিল। আজকের দিনে ওটা ছেলেদের কাজ এটা মেয়েদের কাজ বলে কিছু হয় না। সেটা আশা করি উনি বুঝবেন।
উনি খাবার অর্ডার করলে বুঝতে পারবেন তিনি কী খেতে ভালোবাসেন। তাছাড়াও যারা খাবার পরিবেশন করছেন তাদের সাথে উনি কেমন ব্যবহার করছেন সেটাও জানতে পারবেন।
এর উত্তর হ্যাঁ বা না হওয়ার উপর নির্ভর করেছে অনেক কিছু। যদি আপনি নিজেও পার্টি অ্যানিম্যাল হন তাহলে আপনার হবু স্বামীরও সেরকম হওয়াই বাঞ্ছনীয়। নাহলে এই নিয়ে সমস্যা হতে পারে। আবার উল্টোটাও হতে পারে। তাই এই প্রশ্ন করতে ভুলবেন না।
এই প্রশ্ন যদিও বাধ্যতামূলক নয় তবু আপনার যদি এই বিষয় নিয়ে বিশেষ কোনও চিন্তা ভাবনা থাকে তাহলে এই প্রশ্ন করতে পারেন। হতে পারে আপনার হবু স্বামী নাস্তিক, তবে তিনি যেন আপনার ধর্মীয় ভাবাবেগে কোনও আঘাত না করেন সেটা জেনে নেবেন।
সব সময় অন্যের পছন্দ অপছন্দ নিয়েই বা কেন মাথা ঘামাবেন। আপনিও কিছু ব্যাপারে একদম আপোষ করেন না।সেগুলো কী কী জানিয়ে দিন। আর জানতে চান এতে তার কোনও আপত্তি আছে কিনা।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!