“দুধ না খেলে, হবে না ভালো ছেলে” – চন্দ্রবিন্দুর এই গানটা তো সবাই শুনেছেন নিশ্চই! তবে কিনা, শুধু ‘ভালো ছেলে’ তকমা পাবার জন্য না, শরীর ভালো রাখতে ছেলে-মেয়ে সবারই নিয়ম করে দুধ খাওয়া উচিত। অনেকেই সকাল সকাল দুধ আর কর্ণফ্লেক্স দিয়ে ব্রেকফাস্ট সারেন, আবার কেউ দুধের সাথে কোন হেলথ ড্রিঙ্ক মিশিয়ে খান তো কারও পছন্দ সাদা প্লেন দুধ। তাছাড়া সারাদিনে চা কিম্বা কফিতেও দুধ মিশিয়ে খাওয়া হয়েই যায়। তবে দুধ খাওয়ার উপকারিতা টের পাবেন যদি নিয়ম করে প্রতিদিন রাত্রে শুতে যাবার আগে দুধ খান। কি কি উপকারিতা? দেখে নিন একবার –
আরও পড়ুনঃ স্বাস্থ্যরক্ষায় ঘিয়ের উপকারিতা
১। কোলেস্ট্রল নিয়ন্ত্রনে রাখে
রাত্রে শুতে যাবার আগে যদি আপনি লো-ফ্যাট কিম্বা বিনা মালাই-এর দুধ এক গ্লাস করে প্রতিদিন খান, তাহলে আপনার শরীরের কোলেস্ট্রল লেভেল অনেকটাই কমে এবং শরীর সুস্থ থাকে। দুধে যে প্রোটিন থাকে তা খারাপ কোলেস্ট্রল কমিয়ে ভালো কোলেস্ট্রলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। গরুর দুধ ভিতামিন এ, ডি এবং ক্যালশিয়ামে সমৃদ্ধ যা আপনার হার্টকেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
২। ঘুম ভালো হয়
অনেকের মধ্যেই অনিদ্রারোগ বা ইন্সম্নিয়া দেখা যায়। সেক্ষেত্রে কিন্তু বেশিরভাগ ডাক্তার পরামর্শ দেন রাতে শুতে যাবার আগে এক গ্লাস গরম দুধ খাবার। দুধে যে বায়োঅ্যাক্টিভ প্রপারটিস থাকে তা স্ট্রেস কমিয়ে ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে।
৩। হাড় মজবুত হয়
দুধে ভিটামিন ডি রয়েছে যা শরীরে ক্যালশিয়াম তৈরি হবার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং ক্যালশিয়াম হাড় মজবুত করার জন্য প্রয়োজন। অনেক মহিলারই একটু বয়স হয়ে গেলে অস্টিওআরথ্রারাইটিসের সমস্যা দেখা দেয়, নিয়ম করে প্রতিদিন রাতে দুধ খেলে এইসব রোগব্যাধি থেকে তো মুক্তি পাওয়া যাবেই, সাথে কোনরকম বাতের সমস্যাও শরীরে বাসা বাঁধতে পারবেনা।
৪। সারাদিনের জন্য এনার্জি পাওয়া যায়
রাত্রে এক গ্লাস উষ্ণ দুধ খেয়ে শুতে গেলে পরদিন সকালে আপনার এনার্জি লেভেল দেখে আপনি নিজেই অবাক হয়ে যেতে পারেন। যেহেতু দুধের মধ্যে প্রোটিন এবং ল্যাক্টিন রয়েছে তা আপনার নার্ভ স্যুদ করে আপনাকে রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে, ফলে আপনি সকালে বেশ তরতাজাভাবে ঘুম থেকে অথেন এবং সারাদিনের জন্য কাজে এনার্জি পান।
৫। ওজন কমাতে সাহায্য করে
হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এটা কিন্তু সত্যি। রাত্রে শুতে যাবার আগে দুধ খেয়ে শুলে আপনার পেট এমনিতেই খানিকটা ভরে থাকে এবং সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেই আপনার খিদে পাবেনা। তাছাড়া যেহেতু দুধে প্রোটিনের মাত্রা বেশ ভালো পরিমানে থাকে, কাজেই শরীরে বারতি মেদ জমার কোন সম্ভাবনাই থাকেনা। তবে হ্যাঁ, ফুল ক্রিমযুক্ত দুধ একেবারেই খাবেন না, তার চেয়ে বরং স্কিমড মিল্ক খান।
৬। স্বাস্থ্যজ্জ্বল ত্বক পাতে পারেন
অনেকেই ত্বকের কমনীয়তা বাড়াতে এবং ত্বককে স্বাস্থ্যজ্জ্বল করতে দুধের সর বা মালাই মুখে মাখেন। কিন্তু দুধ খেলেও কিন্তু ত্বক উজ্জ্বল হয় এবং তারুণ্যে ভরপুর থাকে। দুধে ভিটামিন বি১২ ও থাকে যা ত্বকের ইল্যাস্টিসিটি বজায় রাখতে সাহায্য করে ফলে অকালে চামড়া ঝুলে যায়না এবং ত্বক নরম ও তরতাজা থাকে।
ছবি সৌজন্যে – YouTube
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!