বারংবার প্রমিস করা সত্ত্বেও আমরা কোনও ডায়েট প্ল্যান মেনে চলতে পারি না আর ফলস্বরূপ ওজনদাঁড়িতেও লাগাম পরাতে পারি না কেন বলতে পারেন? কারণটা খুব সহজ, উত্তরটা আমাদের সকলেরই জানা। কিন্তু জাস্ট সময়মতো মনে পড়ে না, এই আর কী! একটু ভেবে দেখুন তো, ডায়েট সংক্রান্ত নিয়মকানুন আমরা কীভাবে ফলো করি? বেশিরভাগ সময়েই ইন্টারনেট সার্ফ করে, কিংবা বন্ধুদের কথা শুনে। এবার প্রত্যেকের শারীরিক গঠন আলাদা, খাবারদাবার খাওয়ার ধরন আলাদা, মেটাবলিজম রেট আলাদা…তাই যে নিয়মে আপনার বন্ধু ফিনফিনে করিনা কপূরসম হয়ে গিয়েছেন, সেই নিয়ম (rules) ফলো করে হয়তো আপনার ২৫০ গ্রাম ওজন কমল (weight loss)! আর আপনিও রাগের চোটে মাসখানেক তা ফলো করে আশানুরূপ ফল না পেয়ে রেগেমেগে আরও খেতে শুরু করলেন। ফলে যা হওয়ার, হল তার উল্টো।
তাই আমরা বলি কী, নতুন বছরে না হয় নিয়ম একটু পাল্টান। একটু নতুন ধরনের রিয়্যালিস্টিক (realistic) ডায়েট (diet) রেজোলিউশন ফলো করুন। আমাদের দেওয়া এই ডায়েট রেজোলিউশন আসলে কোনও বিশেষ ডায়েট প্ল্যান নয়। বরং খাওয়া সংক্রান্ত কয়েকটি নিয়মের সমষ্টি বলতে পারেন। এই নিয়মগুলি একটু মেনে চলুন, দেখবেন বছরের মাঝামাঝি পৌঁছেই তফাত বুঝতে পারছেন। ওজন কমবে, ত্বকের জৌলুস বাড়বে, শরীর সুস্থ থাকবে, সর্বোপরি আয়নার সামনে দাঁড়ালে আবার নিজেকে ভাল লাগতে শুরু করবে…
১. পুষ্টির দিকে ফোকাস করুন, ওজন কমানোর দিকে নয়
বাড়িতে তৈরি খাবার খেলে শরীর পুষ্টিও হয়, পকেটেও টান পড়ে না, আবার অদূর ভবিষ্যতে ওজন দাঁড়ির পাল্লাও আপনার পক্ষে কথা বলতে শুরু করে। যেমন ধরুন, লো ক্যালরির জন্য আজকাল অনেকেই চিনির পরিবর্তে আর্টিফিশিয়াল সুইটনার ব্যবহার করেন চা-কফি খেতে। এই ধরনের সুইটনারের দাম যে অনেক বেশি তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তার পরিবর্তে যদি লেমন টি খাওয়া যায়, তা হলে কয়েক ফোঁটা মধুতেই কাজ মেটে, যা সাশ্রয়ী এবং শরীরের পক্ষেও উপকারী। এই বছরে পরিবারের মেনু প্ল্যান করার সময় এই ধরনের ছোটখাটো দিকে নজর রাখুন।
২. দুমদাম উপোস করতে যাবেন না
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং বা মাঝে-মাঝে উপোস করা আজকাল ডায়েটিং দুনিয়ার একটি চালু টেকনিক। এতে নাকি অনেকসময় উপকারও পাওয়া যায়। কিন্তু আপনি ইচ্ছেমতো একদিন ব্রেকফাস্ট স্কিপ করলেন, একদিন লাঞ্চটা খেলেন না, একদিন আবার রাতের খাবার না খেয়েই শুয়ে পড়লেন…মোটেও ভাল ব্যাপার নয়। এতে লাভের লাভ কিচ্ছুটি হবে না। আপনার শরীর মোটামুটি একটা নির্দিষ্ট সময় অন্তর খাবার পেয়ে অভ্যস্ত। সে জানে, ব্রেকফাস্টের পর কোন সময় আপনি লাঞ্চ খান। বডি ক্লক বড় সাঙ্ঘাতিক জিনিস। সে ঠিক ওই সময়ের অন্তর-অন্তর মিলজনিত ক্যালরি খরচ করে। আপনি দুমদাম উপোস শুরু করলে সে যাবে ঘাবড়ে! আর ক্যালরি জমাতে শুরু করবে উপোসের সময় এনার্জির রসদ হিসেবে। বুঝছেন তো? তাই উপোস না করে চেষ্টা করুন দুটো মিলের সময়ের মধ্যে গ্যাপটা মেনটেন করতে।
৩. বাইরে গেলে সঙ্গে বাড়িতে তৈরি খাবার নিয়ে যান
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমাদের ওজন বেশিরভাগ সময়ে বাড়ে বাইরের হাবিজাবি খেয়ে। তাই যাঁরা চাকরি করেন কিংবা রোজ কাজে বাইরে বেরোন, তাঁরা বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে যান। এমনকী, শপিং মলে গেলেও সঙ্গে রাখুন রোস্টেড আমন্ড কিংবা চিয়া সিডস বা চিঁড়ে ভাজার মতো স্ন্যাক্স। এতে ফুচকা-আলুকাবলি-এগ রোল-বার্গার হ্যান-ত্যান খাবারের মতো জাঙ্ক ফুড খাওয়া কমবে। আবার টাকাপয়সাও কিঞ্চিৎ বাঁচবে বই কী!
৪. নিজেকে বঞ্চিত করবেন না!
দেখুন ভাই, অস্বীকার করে তো লাভ নেই, বাঙালি মাত্রই অল্পবিস্তর খেতে ভালবাসে। তাই খাবারের সঙ্গে আড়ি করিয়ে দেয় যে ডায়েট প্ল্যান, সেটি আমরা বেশিদিন টেনে যেতে মোটেও পারব না, চেষ্টাও করা উচিত নয়। ডায়েটিশিয়ানরাও আজকাল ডায়েট প্ল্যানে হপ্তায় একটি চিট ডে রাখেন। তাই মাসে একবার পেটপুরে ভালমন্দ খান, মনের সুখ করুন। কিন্তু বাকি দিনগুলো একটু কড়া হাতে নিজেকে বেঁধে রাখুন।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার এই বছরটা POPup করে ফেলুন!