এবছর শীতের ব্যাটিংয়ে পারদ এমন নেমেছে যে সবারই থরহরি কম্প অবস্থা! তবে এখনই যে শীতের খেলা শেষ, তা যদিও নয়! তাই বিশেষ করে যাঁদের একটু বেশিই ঠান্ডা লাগে, তাঁদের তো এখনই লেপ-কম্বল তুলে রাখলে চলবে না। বরং আগামী কয়েকটা দিন আরও সামলে চলতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন হল, কারও-কারও একটু বেশি মাত্রায় ঠান্ডা (feeling cold) লাগে কেন? একথা ঠিক যে, ঠান্ডার অনুভূতি সকলের জন্য সমান হয় না। কেউ চরম ঠান্ডাতেও ফ্যান চালিয়ে ঘুমোয়। কারও-কারও আবার অল্প ঠান্ডাতেই দাঁতকপাটি লেগে যায়। আসলে অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগার পিছনে কিছু শারীরিক সমস্যা দায়ী। আপনিও যদি সেই দলের একজন হন, তা হলে তার পিছনে লুকিয়ে থাকা আসল কারণগুলি জেনে নিয়ে সেই মতো ব্যবস্থা নিন! তাতে হয়তো শীতের দিনে একটু কম সোয়েটার-শাল-মাফলার-টুপি লাগবে…
শরীরে লোহিত রক্তকণিকার ঘাটতি দেখা দিলে ঠান্ডার অনুভূতি বেড়ে যায়। শরীরে প্রতিটি কোণায় অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে লোহিত রক্ত কণিকা। এই কাজটি ঠিকমতো সম্পন্ন হলে শরীরের তাপমাত্রা ঠিক থাকে। আর এমনটা না হয়, তা হলেই ঠান্ডা লাগতে শুরু করে। তাই তো কোনও কারণে লোহিত রক্তকণিকার ঘাটতি দেখা দিলেই অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগে। আর এমনটা যদি শীতকালে (winter) হয়, তা হলে তো আরও বিপদ! কারণ, শীতের মরসুমে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে এমনিতেই ঠান্ডা লাগে। তার উপর যদি লোহিত রক্তকণিকার ঘাটতি হয়, তা হলে তো সমস্যা আরও জটিল আকার নেওয়ার আশঙ্কা থাকে। এক্ষেত্রে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে হবে। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ মতো আয়রন ট্যাবলেটও খেতে পারেন। আসলে আয়রনের মাত্রা বাড়লে লোহিত রক্তকণিকার উৎপাদন বেড়ে যায়।
Hypothyroidism রোগে আক্রান্ত হলে থাইরয়েড হরমোনের ক্ষরণ ঠিক-ঠিক নিয়ম মেনে হয় না, যে কারণে মেটাবলিজম ঠিকমতো হওয়ার সুযোগ পায় না। সেই সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রাও কমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই একটু বেশিই ঠান্ডা লাগে। তবে থাইরয়েড রোগে হলে ঠান্ডা লাগার পাশাপাশি অল্পতেই ক্লান্ত লাগা, ওজন বৃদ্ধি, মানসিক অবসাদ, ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া এবং কথায়-কথায় ভুলে যাওয়ার মতো লক্ষণ প্রকাশ পায়। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
বলেন কি, ঘুমের সঙ্গেও ঠান্ডা লাগার যোগ রয়েছে? ঠিকমতো ঘুম না হলে দেহের circadian rhythm বিগড়ে যায়, যে কারণে একটু বেশিই ঠান্ডা লাগে। তাই হাড়ে-হাড়ে কাঁপুনি একটু বেশিই ধরলে খেয়াল করবেন তো ঠিকমতো ঘুম হচ্ছে কিনা। যদি দেখেন দিনে মোটামুটি সাত-আট ঘণ্টা ঘুমানোর পরেও সমস্যা পিছু ছাড়ছে না, তা হলে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন!
গত কয়েক মাসে জিমে গিয়ে গিয়ে কি খুব ঘাম ঝরিয়েছেন? তা হলে তো ঠান্ডা লাগবেই। আসলে ওজন কমার সঙ্গেও ঠান্ডা লাগার একটা সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের শরীরের ইতিউতি জমে থাকা চর্বির কারণে শরীর গরম থাকে। তাই খেয়াল করে দেখবেন, যাঁরা একটু মোটা, তাঁদের ঠান্ডা একটু কম লাগে। এদিকে ওজন কমতে শুরু করলে স্বাভাবিকভাবেই চর্বি ঝরতে শুরু করে। সেই কারণেই একটু বেশিই ঠান্ডা লাগে।তা ছাড়া ওজন কমাতে সিংহভাগই এক্সারসাইজের পাশাপাশি ডায়েটিং করেন। ফলে ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া অনেকটাই কমে যায়, যে কারণে মেটাবলিজম রেটও কমতে থাকে। আর এমন ঘটনা ঘটলে দেহের ভিতরের তাপমাত্রাও কমে যায়। তাই তো একটু বেশিই ঠান্ডা লাগে। এই একই কারণে দেখবেন যাঁরা eating disorder-এর শিকার, তাঁরা অন্যদের তুলনায় একটু বেশিই শীতকাতুরে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার এই বছরটা POPup করে ফেলুন!