ঘুম ঠিক মতো না হওয়ার কারণে ডার্ক সার্কল হচ্ছে, বুঝতে পারছি! কিন্তু ঠিকমতো ঘুমানোর পরেও যদি চোখের এই হাল হয়, তা হলে কি সেটা মেনে নেওয়া যায় বলুন? ঠিক বলেছেন, এক্কেবারেই মেনে নেওয়া যায় না! তবে আপনি একা নন, আজকাল অনেকেই এমন সমস্যার শিকার। রাতে ঠিক মতো ঘুমের পরেও চোখের কোলে কালি জমছে, নয়তো puffy eyes-এর মতো সমস্যা লেজুড় হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, কোনও কারণ ছাড়াই কি এমন সব সমস্যা হচ্ছে, নাকি কারণটা আমাদের জানা নেই? বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু ঘুমের (sleep) সঙ্গেই যে এই সব সমস্যার সরাসরি যোগ রয়েছে, এমন নয়। আরও বেশ কিছু কারণেও এমন ঘটনা ঘটতে পারে। তাই চলুন আর সময় নষ্ট না করে সেই নিয়ে একটু সুলুকসন্ধান করা যাক।
অ্যালার্জির কারণেও চোখের এমন হাল হতে পারে
অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী কোনও pollen বা কুকুর-বিড়ালের লোম চোখের সংস্পর্শে আসা মাত্র শরীরে histamine নামে একটি হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যা চোখের নিচে থাকা শিরা-উপশিরাগুলিকে ফুলিয়ে দেয়, যে কারণে শরীরের এই অংশে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়, সেই সঙ্গে প্রদাহের মাত্রাও বাড়তে শুরু করে। ফলে চোখের চারপাশ ফুলে যায়। তাই এবার থেকে puffy eyes-এর সমস্যা হলে শুধুমাত্র অনিদ্রার সমস্যা কে দোষ দিলে কিন্তু চলবে না!
ঠিকমতো জল খাচ্ছেন তো?
বলে-বলে মুখ ব্যথা হয়ে গেল, তবু অনেকেই দিনে তিন-চার লিটার জল পান করেন না। তাতে শরীরে জলের ঘাটতি হওয়ার কারণে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা যেমন থাকে, তেমনই ডিহাইড্রেশনের কারণে চোখের ফোলাভাব বাড়তেও সময় লাগে না। আসলে শরীরে যখন জলের ঘাটতি দেখা দেয়, তখন জলের অভাবে চোখের (eyes) আশেপাশের চামড়া কুঁচকে যায়। ফলে চোখের সৌন্দর্য নিমেষে লোপ পায়। একই ঘঠনা ঘটে বেশ কয়েকদিন না ঘুমালেও। তাই তো ক্লান্ত চোখের কারণ হিসেবে আমরা প্রথমেই ঘুমের উপরেই সব দোষ চাপিয়ে থাকি।
বেশি নুন খেলেও বিপদ!
বেশ কয়েকটি স্টাডিতে দেখা গেছে, বেশি পরিমাণে নুন খাওয়া শুরু করলে শরীরে water retention হয়। একই ঘঠনা ঘটে চোখের আশেপাশেও, যে কারণেও চোখের তলা ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। ফলে চোখের সৌন্দর্য কমে। তাই দিনের পর দিন ঠিক মতো ঘুম হওয়ার পরেও যদি চোখের কোলে ক্লান্তি জমে বা puffy eyes-এর মতো সমস্যা লেজুড় হয়, তা হলে দিনে কতটা নুন খাচ্ছেন, সেদিকে একটু নজর ফেরাতে হবে। প্রয়োজনে নুন খাওয়া কমাতে হবে, তা হলেই দেখবেন চোখের আশেপাশে প্রদাহের মাত্রা কমে যাওয়ার কারণে এই সব সমস্যাও দূরে পালাবে।
দিনে ক’কাপ কফি খান শুনি?
এমন প্রশ্ন কেন? কফি খাওয়ার সঙ্গেও কি এই সব সমস্যার যোগ রয়েছে? আলবাত রয়েছে! বেশ কয়েকটি স্টাডি অনুসারে দিনে চার-পাঁচ কাপ কফি খাওয়ার অভ্যাস যাঁদের, তাঁদের puffy eyes-এর সমস্যা কিছুতেই পিছু ছাড়বে না। কারণ, বেশি মাত্রায় কফি খেলে শরীরে ক্যাফিনের মাত্রা বাড়াতে থাকে, যে কারণে জলের ঘাটতি দেখা দেয়। আর ডিহাইড্রেশনের সঙ্গে চোখের সৌন্দর্যের যে সরাসরি যোগ রয়েছে, তা তো ইতিমধ্যেই জেনে ফেলেছেন। তাই চোখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে যদি চান, তা হলে দিনে দুই কাপের বেশি কফি খাবেন না যেন! কফির পরিবর্তে গ্রিন টি-ও খেতে পারেন। তাতে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বাড়ার কারণে ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইল-ল্যাপটপে মুখ গুঁজে থাকলেই বিপদ!
সারাক্ষণ মোবাইলে মুখ গুঁজে থাকলে চোখের উপরে চাপ পড়ে, সেই সঙ্গে চোখের আশেপাশের শিরা-উপশিরাগুলি প্রসারিত হয়ে যাওয়ার কারণে চোখের নীচে কালি পড়ে, সঙ্গী হয় puffy eyes-এর মতো সমস্যা। যদি চান, এমন সব সমস্যা দূরে থাকুক, তা হলে মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহারের সময় মিনিটকুড়ি বাদে-বাদে চোখের বিশ্রাম জরুরি, এমনই মত বিশেষজ্ঞদের। কিছুক্ষণ পরপর চোখ বন্ধ করে মিনিটদুয়েক থাকুন, তা হলেই হবে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…