ADVERTISEMENT
home / লাইফস্টাইল
অবসরে প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রোল করেন? অজান্তেই ঘিরে ধরছে না তো একাকীত্ব?

অবসরে প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রোল করেন? অজান্তেই ঘিরে ধরছে না তো একাকীত্ব?

আপনি কি সারাদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটু বেশিই সময় পার করেন? মানে যতক্ষণ কাজ করছেন, অফিস করছেন ততক্ষণ একরকম সময় কাটছে। কিন্তু অবসর সময়েই কি আপনি মোবাইল নিয়ে বসে পড়েন। আর সোশ্য়াল মিডিয়ার নিউজ ফিড স্ক্রল করেন? কিংবা কোনও মেসেজিং অ্যাপে সময় কেটে যায় আপনার। তাহলে একটু ভেবে দেখুন তো, আপনি কি একাকীত্বে ভোগেন? কারণ এক গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসছে। মানসিক অবসাদ ও সোশ্যাল মিডিয়া – র মধ্য়ে যোগসূত্র (social media and depression) আছে!

একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়া বেশি ব্যবহার করেন তাঁদের অনেকেই মানসিক অবসাদ এবং একাকীত্বের শিকার। সোশ্যাল মিডিয়া কম ব্যবহারকারীদের মধ্যে সেই প্রবণতা কম। আপনি কি সেই বিষয়ে জানেন?

দ্য জার্নাল অফ সোশ্যাল অ্যান্ড ক্লিনিকাল সাইকোলজির গবেষণা

দ্য জার্নাল অফ সোশ্যাল অ্যান্ড ক্লিনিকাল সাইকোলজিতে একটি গবেষণা পত্র প্রকাশ করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, একটি নতুন গবেষণায় দেখা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার এবং জীবনধারণে নেগেটিভ প্রভাবের মধ্যে একটি যোগসূত্র রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে তা মানসিক অবসাদ এবং একাকীত্ব। দেখা গিয়েছে, যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়া (social media and depression) কম ব্যবহার করেন তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্য়ের উপর তার প্রভাব কম। অর্থাৎ, তাঁদের মধ্যে মানসিক অবসাদ এবং একাকিত্বের প্রভাবের সম্ভাবনা কম। আর যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন বেশি, তাঁদের একাকিত্ব ও মানসিক অবসাদের সম্ভাবনাও অনেক বেশি।

কটা লাইক পেলেন? তা আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ

সোশ্যাল মিডিয়া কীভাবে আমাদের উপরে নেগেটিভ প্রভাব (social media and depression) ফেলে?

যখন সোশ্য়াল মিডিয়ার ব্যবহারের প্রবণতা এত বেশি ছিল না হয়তো তখন আমাদের জীবন ধারণ ও জীবনশৈলীও অনেক সহজ ছিল। কারণ, তখন আমাদের ব্যক্তিগত জীবন এত বেশিও প্রকাশ্যে আসেনি। আমরা কোথায় ঘুরতে যাচ্ছি কিংবা আমরা আজ কোন রেস্তরাঁয় খেলাম, নতুন পোশাক পরে আমাদের কেমন লাগছে সেইসব কোনও তথ্যই আমাদের সবার সামনে তুলে ধরার প্রবণতা এত বেশিও ছিল না। হয়তো গল্পে গল্পে সেই নিয়ে কখনও আলোচনা হত। নিজের সেলিব্রেশনের ছবি আপ্লোড করার অর্থ কিন্তু অন্যের সামনে এই তুলে ধরা যে, আপনি কত ভাল আছেন! অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, হয়তো একজন মানুষ আসলে খুবই একা। সারাদিন তাঁর বাড়িতে কেটে যায়। কিন্তু তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া (social media and depression) টাইমলাইনে সব সময়ই উদযাপনের ছবি। নিজেকে আনন্দিত প্রমাণ করার চেষ্টা চলছে সব সময়।

ADVERTISEMENT

আবার ধরুন, আপনার প্রচণ্ড কাজের চাপ। আপনি কোথাও বেরোতে পারেন না। অনেকদিন ধরেই আপনি একটি জায়গায় ঘুরতে যেতে চান। আপনি যেতে পারলেন না। কিন্তু দেখলেন আপনার অন্যান্য বন্ধুরা সেখান থেকেই ঘুরে এসেছে। সেই ছবি আপনার মন খারাপ তৈরি করল। হয়তো আপনি সেই ছবিতে লভ রিঅ্যাক্ট করলেন কিন্তু মনে মনে বিরক্তই হলেন কেবল। আপনার মনে খারাপ লাগা তৈরি হল, তৈরি হল একটি অবসাদ। যা এক সময় মানসিক অবসাদের পর্যায়ে (social media and depression) পৌঁছাতে পারে।

সবার মাঝে থেকেও কি সোশ্য়াল মিডিয়ায় ব্যস্ত?

আপনি প্রাকৃতিক ভাবেই যেরকম, সেরকম থাকুন (social media and depression)

সোশ্য়াল মিডিয়া ব্যবহারে কোনও ক্ষতি নেই। কিন্তু সব কিছুরই একটি মাত্রা ও একটি সময় সীমা রয়েছে। অতিরিক্ত পরিমাণে সোশ্য়াল মিডিয়া ব্যবহার আপনার অজান্তেই মানসিক অবসাদ ও একাকিত্ব তৈরি করতে পারে। তখন দেখবেন, আসল পৃথিবীতে আপনার চারপাশে সত্যিই কেউ নেই। ভার্চুয়াল পৃথিবীকে (social media and depression) ছুঁতে গেলে দেখবেন তা কখন হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছে, শুধু আপনিই বুঝতে পারেননি।

POPxo এখন চারটে  ভাষায়! ইংরেজিহিন্দিমারাঠি আর বাংলাতেও!       

বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!

ADVERTISEMENT
25 Oct 2021

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT