দুজন ভিন্ন মানসিকতার মানুষ যদি একে অপরকে ভালোবাসার সাহস দেখাতে পারে, তাহলে সেই সম্পর্কের ভিতকে আরও কীভাবে মজবুত করে তোলা যায়, সে বিষয়েও যে আরও একটু যত্নশীল হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে, না হলে আজকের দিনে ভালোবাসার সম্পর্ককে বাঁচিয়ে রাখাটা যে মোটেও সহজ কাজ নয়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না! কারণ সারাদিন অফিসের ঝুট ঝামেলা, তার উপর ঘর-সংসারের নানা ঝামেলা সামলে দিনের শেষে কমবেশি সবারই মন মেজাজ একটু খারাপ হয়ে যায়, যে কারণে অল্প কথাতেই ঝগড়া লেগে যাওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে। আর এমনটা দিনের পর দিন হতে থাকলে স্বাভাবিকভাবেই ভালোবাসার মানুষদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হতে সময় লাগে না। তাই এমন স্ট্রেসফুল জীবনের মাঝেও ভালোবাসাকে (relationship) যদি বাঁচিয়ে রাখতে হয়, তাহলে যে যে বিষয়গুলি (Habits that make relationship Strong and Healthy) মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন, সেগুলি হল…
বড় ঘটনা তো সবার চোখে পড়ে। কিন্তু ছোট ঘটনাকে গুরুত্ব দেয় কজন বলো! তাই তো সম্পর্ককে যদি আরও মজবুত করে তুলতে হয়, তাহলে ভালোবাসার মানুষটার ছোট ছোট দুঃখ এবং যন্ত্রণার খেয়াল রাখতে হবে। দিনের শেষে কিছুটা সময় দিতে হবে তাকে। পাশে বসে জিজ্ঞেস করতে হবে কেমন গেল সারা দিনটা। আর খারাপ কিছু ঘটলে তার সমাধান খুঁজতেও যে সাহায্য় করতে হবে! সেই সঙ্গে ভালোভাবে, নরম করে একটু কথা বললেই দেখবে দুজনের মাঝের দূরত্ব কমতে শুরু করেছে। আর এমনটা হলে যত বড়ই ঝড় আসুক না কেন, সম্পর্কের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আর থাকবে না!
একে অপরকে মনের কথা খুলে বলাটাই তো প্রেমের সম্পর্কের প্রাথমিক শর্ত। আর সেই শর্ত পূরণ করতে গিয়ে দুঃখের কথা যেমন শেয়ার করা উচিত, তেমনি আনন্দের অভিজ্ঞতাও দুজনে মিলে ভাগাভাগি করে নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ যারা সুখে দুঃখে একসঙ্গে থাকে, তাদেরই তো সম্পর্ক মজবুত হয়। শুধু তাই নয়, সাইকোলজিস্টদের মতে (relationship advice) প্রেমিক-প্রেমিকারা যদি মাঝে মধ্যেই একসঙ্গে বসে কোনও কমেডি সিনেমা দেখে, তাহলে নাকি ভালোবাসা আরও বাড়ে। সেই সঙ্গে চুটিয়ে কিছুটা সময় হাসাহাসি করার কারণে ফিল গুড হরমোনের ক্ষরণ যায় বেড়ে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদের খপ্পর থেকে বেরিয়ে আসতেও সময় লাগে না। আর জীবনে স্ট্রেস যত কমে, ততই তো প্রেমের বিকাশ ঘটে।
ভালোবাসার সম্পর্ক তখনই তিক্ত হয়ে ওঠে যখন প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রী একে অপরের থেকে কিছু লুকিয়ে রাখতে শুরু করে। কারণ এমন মুহূর্তেই তো বিশ্বাসে ছেদ পড়ে। আর যে সম্পর্কের ভিত অবিশ্বাসের উপরে দাঁড়িয়ে, তার ভবিষ্যৎ যে বেজায় অন্ধকার, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই তো ছোট-বড় সব ঘটনাই জীবনসঙ্গীকে খুলে বলার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ এমনটা করলেই যে সম্পর্কের উন্নতি ঘটে।
এবার থেকে যখন ঝগড়া হবে তখন একজনকে চুপ থাকতে হবে। কারণ মাথা গরম করে একসঙ্গে দুজনেই যদি চিৎকার চেঁচামেচি করো, তাহলে তো তিক্ততা বাড়বে! আর এমনটা হলে স্বাভাবিকভাবেই সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা যাবে বেড়ে। তবে শুধু ঝগড়ার সময়ই নয়, স্বাভাবিক দিনেও জীবনসঙ্গীর কথা শোনো বেশি, বলো কম (relationship advice for couples)। কারণ এমনটা করলে ভালোবাসার মানুষটি বুঝতে পারবে যে তার কথা শোনোর মতো সময় তোমার হাতে রয়েছে। সেই সঙ্গে হয়তো এমনও ভাবতে পারে যে তার কথা তুমি শুনছো মানে প্রতিটি কথাকে গুরুত্বও দিচ্ছো। আর এমন অনুভূতি থেকেই যে ভালোবাসা আরও বাড়ে, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এগুলোও আপনি পড়তে পারেন
Lip Kiss শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী
Boyfriend কে ভালোবেসে এই Nickname এ ডাকুন
রোমান্টিক ডায়লগ শুধুমাত্র ভালোবাসার মানুষটির জন্য
বিবাহ বার্ষিকীর শুভেচ্ছা বার্তা যা আপনি সকলকে পাঠাতে পারবেন
জন্মদিনের সেরা শুভেচ্ছা বার্তা আপনার জীবনের প্রিয় মানুষটির জন্য