পুজোর (puja) সময় সেজেগুজে সুন্দর শাড়ি (saree) পরে বেরোতে কী ভাল লাগে তাই না? আপনার স্বামী বা প্রেমিক মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকবে, প্রতিবেশীর চোখ ট্যারা হবে আর পুজোর ভিড়ে সকলেই ড্যাবড্যাবিয়ে আপনাকে দেখবে, এটাই তো কাম্য। কিন্তু এত কিছু করার আগে একটা মস্ত হ্যাপা থাকে, আর সেটা হল শপিং। সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত এই দোকান সেই দোকান ঘোরা, দরদাম করে জিনিস কেনা, ঘেমে নেয়ে একশা হওয়া। যাঁদের বড় পরিবার, তাঁদের তো আরও সমস্যা। সকলের পছন্দ অনুযায়ী কেনাকাটা করা কি আর মুখের কথা? পুজোর আগেই তাই আমরা নিয়ে এসেছি পুজোর শাড়ি কেনার শপিং (shopping) গাইড (guide)। আমরাও চাই আপনার নরমসরম কাঁধ থেকে বোঝা হাল্কা করতে।
হতে পারে আপনি একজন গৃহবধূ বা চাকুরিরতা। যাই হোন না কেন, আপনার মেলা কাজ। তাই কার কার জন্য শাড়ি কিনতে হবে, সেটার একটা তালিকা তৈরি করে নিন আগে। দেখে নিন, সেটা কমপ্লিট করতে কত সময় বা দিন লাগবে। কারণ, শুধু শাড়ি কিনলেই তো আর হবে না, বাড়ির পুরুষ সদস্যদের জন্যও জামাকাপড় কিনতে হবে। বাড়ির খুদে সদস্যদেরও ভুলে গেলে চলবে না। এছাড়াও নানা টুকিটাকি তো রয়েছেই। আগে থেকে প্ল্যান ছকা থাকলে সুবিধে হবে আপনারই।
আপনি যখন এত দিন ধরে শপিং করছেন, শাড়ির ক্ষেত্রে আপনার নিশ্চয়ই দু’-একটা পছন্দের দোকান আছে। যদি অনেকের আপনাকে শাড়ি কিনতে হয়, তা হলে একটা এমন দোকান বেছে নেওয়াই ভাল, যেখানে সব রকমের শাড়ি পাওয়া যায়। অর্থাৎ, বাড়ির প্রত্যেকের জন্য একই জায়গায় শাড়ি পেয়ে গেলে, আপনাকে পাঁচটা দোকানে দৌড়তে হবে না। আর এক জায়গা থেকে একাধিক শাড়ি কিনলে আপনি দামেও অনেকটা ছাড় পাবেন।
অনেকদিন ধরে কেনাকাটা করতে করতে এমনিতেই একটা সেন্স তৈরি হয়ে যায়। তাছাড়া যারা আপনার নিকট আত্মীয়া, তাঁরা কীরকম শাড়ি পরতে পছন্দ করেন সেই বিষয়ে নিশ্চয়ই আপনার একটা সম্যক ধারণা আছে। যাঁদের পছন্দ আপনি জানেন না, তাঁদের থেকে জেনে নিন তাঁরা কীরকমের শাড়ি পরতে পছন্দ করেন। তাঁদের চেহারা ও কমপ্লেকশন দেখে আপনিও কিছুটা আন্দাজ করে নিতে পারেন।
এটা এই কারণে বলছি যে, শাড়ি কিনলে আপনাকে সেটার ব্লাউজও তৈরি করতে হবে। এর মধ্যে যদি শাড়ি কারও পছন্দ না হয় বা শাড়িতে কোনও ফাটাছেঁড়া বেরোয়, সেটা আপনাকেই পাল্টে আনতে হবে। এসব করতে কিন্তু বেশ কিছুটা সময় যাবে। পুজোর সময় বেশিরভাগ দোকানই জিনিস একবার কিনলে সেটা বারবার পাল্টে দেওয়া পছন্দ করে না।
এই কথা বলার পিছনে দু’টি কারণ আছে। প্রথমত, একা গেলে আপনার অনেক ভুল হতে পারে। দ্বিতীয়ত, পুজোর ভিড়ে এতগুলো প্যাকেট নিয়ে আপনি নাজেহাল হতে পারেন। সঙ্গে এমন কাউকে নিন, যে কেনাকাটা করতে এবং দামদর করতে ভালবাসে। শাড়ি সম্পর্কে যিনি একটুআধটু জানেন, তাঁকে সঙ্গে নিলেও ভাল হয়।
যে শাড়ি কিনছেন, সেটা যার জন্য কিনছেন, তিনি কখন পরবেন অর্থাৎ সকালে না রাতে, সেটা জেনে নিলে ভাল হয়। কারণ, অনেক শাড়ি আছে যার রং দিনের বেলা একরকম লাগে আবার রাতের বেলা অন্যরকম লাগে। আপনি হয়তো দিনের বেলা শাড়িটি কিনলেন। কিন্তু রাতে সেটা পরে দেখা গেল মোটেই ভাল লাগছে না। কোনও শাড়ির রং নিয়ে আপনার মনে এরকম কোনও দ্বিধা থাকলে সন্ধেবেলা এসে শাড়িটি আরও একবার দেখুন। আপনি হয়তো ভাবছেন যে যার জন্য আপনি শাড়িটি কিনছেন সেটি ছবি তুলে হোয়াটসঅ্যাপ বা মেল করবেন। প্রযুক্তি আপনাকে সেই স্বাধীনতা দিয়েছে ঠিকই। কিন্তু মনে রাখবেন, মোবাইলে তোলা ছবিতেও কিন্তু অনেক সময় শাড়ির সঠিক রং বোঝা যায় না। বরং এক কাজ করবেন, যাঁকে এই শাড়ি দিচ্ছেন, তাঁকে সঙ্গে নিয়ে আসবেন। এতে সমস্যা অনেক সহজে সমাধান হবে।
আপনার সুবিধের জন্য দিয়ে দেওয়া হল কয়েকটি শাড়ির দোকানের নাম যেখানে সব রকমের শাড়ি আপনি পাবেন
১) নর্থ ক্যালকাটা শাড়ি এম্পোরিয়াম
ফোন ৮০১৩৬ ৫৬৫৬৮
২) ইন্ডিয়ান সিল্ক হাউজ
৯৮৭৪৪৬৩৩৪ ও ৯৮৩০৪৩৬৩৩৪
৩) আদি মোহিনীমোহন কাঞ্জিলাল
(০৩৩) ২২৪১ ২২৪৬
৪) প্রিয় গোপাল বিষয়ী
(০৩৩) ২৪৬৫ ৮২৪৬
৫) পি মজুমদার
(০৩৩) ২৪৬৪ ১৫৭৩
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!