পণ (dowry) দেওয়া এবং পণ নেওয়া, দুটোই যে জঘন্যতম অপরাধ, সেটা আপনার অজানা নয়। এই জঘন্য পণ (dowry) প্রথার (system) জন্য অনেক অসহায়, নিরীহ মেয়েকেই বলি হতে হয়েছে। বিয়ের (marriage) পর, যেখানে বেশ কিছুদিন সম্পর্ক আর গভীর হচ্ছে দুই বাড়ির মধ্যে, সন্তানের জন্ম হচ্ছে, তখনও টাকা চেয়ে পাঠাচ্ছে ছেলের বাড়ির লোক। শুধু টাকা চাওয়ার নির্লজ্জতায় তাঁরা থেমে থাকছেন না। চাইছেন বাড়ি, গাড়ি, দামি আসবাব আরও অনেক কিছু। বাবা-মা ভাবছেন, এতদিন হয়ে গেছে, এখন না দিলে যদি সম্পর্ক ভেঙে যায়? অসহায় মেয়েটিও ভাবছে, এখন বিচ্ছেদ হলে তার সন্তানের কী হবে? এত কিছু ভাবতে-ভাবতে ক’দিন পরেই নিভে যাচ্ছে জীবনের বাতি। এমনটা কি হতে দেওয়া যায়? একদম নয়। তবে বিয়ের ধারা যেমন এখন অনেক পাল্টে গেছে, পণ চাওয়ার স্টাইলও পাল্টে দিয়েছেন পাত্রপক্ষ। সয়ারসরি এটা দিন সেটা দিন না বলে তাঁরা নিচ্ছেন অন্য পন্থা। আপনি কিন্তু সেই ফাঁদে পা দেবেন না। বাবা-মাকেও সাবধান করে দেবেন যাতে, তাঁরা কথার জালে জড়িয়ে না পড়েন। কিন্তু কীভাবে বুঝবেন পাত্রপক্ষের মনোভাব আর কীভাবেই বা রুখে দাঁড়াবেন এই কুৎসিত প্রথার (system) বিরুদ্ধে?
আরও পড়ুন: বিয়ের পর শ্বশুর-শাশুড়িকে বাবা-মা বলে না ডাকা কোনও দোষের নয়! তাঁদের সম্মান করাটাই আসল
অনেক বাবা-মাই মেয়ে দেখতে এসে গল্প করার অছিলায় এটা জানিয়ে দেন যে, তাঁদের ছেলে কোন-কোন জিনিস পছন্দ করেন বা কোন-কোন জিনিসের শখ তাঁর এখনও অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। অনেক মা বলেন, তাঁর ছেলের বরাবর স্বপ্ন ছিল একটা লাল গাড়ি হবে বা একটা দামি বাইক হবে। এটা যে মেয়ের বাবাকেই দিতে হবে, সেটা সরাসরি না বলে তাঁরা ইঙ্গিত দেন এটা বলে যে, বাইক বা গাড়ি থাকলে সেটি চড়ে আপনার মেয়েও ঘুরতে পারবে। আপনি যদি সেখানেই উপস্থিত থাকেন, তা হলে মিষ্টি করে বলে দিন হ্যাঁ, আপনিও তাই চান আর সেই গাড়ি বা বাইক যদি হবু স্বামী স্বউপার্জিত টাকায় কেনেন, তা হলে আপনার ঢের বেশি ভাল লাগবে। শখ-আহ্লাদের কথা শুনে মেয়ের বাবা রেগে যেতে পারেন বলে অনেকে এটাও বলেন যে, পাত্র ব্যবসা করতে যায় তাই তাঁর মূলধন লাগবে বা তাঁর ব্যবসা ঠিকঠাক দাঁড়াচ্ছে না টাকার অভাবে। মেয়ের বাবা যেন এতে গলে গিয়ে টাকা দিয়ে না বসেন। উনি এটা বলতেই পারেন যে, টাকা দিলে তিনি ধার হিসেবে দেবেন বা তিনি এমন জামাই চান, যে কারও সাহায্য ছাড়াই সব সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম।
পাত্রের বাবা মা এটাও বলেন যে, ছেলে বাড়ি করছে যার একতলা হয়ে পড়ে আছে বা একটা ফ্ল্যাট বুক করা হয়েছে, যার বেশ কিছু ইএমআই বাকি আছে। বেশ স্পষ্ট ইঙ্গিত যে, এগুলো মেয়ের বাবাকে দিতে হবে। এবার কিন্তু আপনার বাবাকেই মুখ খুলতে হবে। তিনি যদি এই বিষয়ে রাজি হয়ে যান, তা হলে এর খেসারত দিতে হবে সারা জীবন। আপনার বাবা বলবেন, আপনার বিয়ে দেওয়ার সেরকম কোনও তাড়া নেই। তাই গৃহ নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ করেই যেন পাত্র এই বিয়েতে বসে।
এটা আর একটা উপায়ে টাকা চাওয়ার কথা বলা। অনেকেই বলেন, ছোট বোনের বিয়ে হচ্ছে না বলে দাদা নিয়ে করতে পারছে না বা বাড়িতে অবিবাহিত দিদি আছে বলে ভাই বিয়ে করতে চাইছে না। তাঁরা এটাও জানান যে, ছেলে দেখা চলছে বা পাত্র স্থির হয়ে আছে। শুধু টাকার কিছু ঘাটতি থাকায় এটা সম্ভব হচ্ছে না। স্পষ্ট বলে দিন, যদি সম্ভাব্য ননদের বিয়ে পণের জন্য আটকে আছে, তা হলে আপনি এর তীব্র প্রতিবাদ করছেন। এর থেকে আপনার ও আপনার পরিবারের মতাদর্শও ছেলের বাড়ির কাছে স্পষ্ট হবে। আর তার সঙ্গে এটাও জানান যে, আগে বোন বা দিদির বিবাহ সম্পন্ন করেই ছেলের বিয়ে হোক, আপনাদের আপত্তি নেই।
দরকার নেই বিদেশে হনিমুনের! হ্যাঁ, পাত্রপক্ষকে এটাই বলুন, যদি তাঁরা ইনিয়ে বিনিয়ে এটা বলেন যে বাইরে যাওয়ার ট্রিপ মেয়ের বাবা স্পন্সর করলে ভাল হয়। মনে রাখবেন, শুধু ক্যাশ টাকা চাওয়াই পণ চাওয়া নয়। দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দিন এই দেশেই অনেক জায়গা আপনার ঘোরা হয়নি। তাই আপনার খুব একটা ইচ্ছে নেই। আর যদি কোনোদিন যান, সেটা আপনি নিজের বা স্বামীর খরচ করা টাকায় যাবেন, বাবার আনুকূল্যে নয়।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার এই বছরটা POPup করে ফেলুন!