ADVERTISEMENT
home / বিনোদন
শর্মিলা ঠাকুরের উদ্যোগে একত্রিত হল পতৌদি পরিবার। কিন্তু বড় মেয়ে সাবা কোথায়?

শর্মিলা ঠাকুরের উদ্যোগে একত্রিত হল পতৌদি পরিবার। কিন্তু বড় মেয়ে সাবা কোথায়?

জো দিখতা হ্যায়, উও হোতা নহি হ্যায়, অউর জো হোতা হ্যায় উয়ো দিখতা নহি হ্যায়! কোনও একটা হিন্দি ছবির সংলাপ। কোন ছবি, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু এই সংলাপটি বহু বলিউডি পরিবারের বাস্তব জীবনের সঙ্গে মিলে যায়। এই যেমন পতৌদি (Pataudis) পরিবারের একখানা হাসিখুশি পতৌদি ফ্যামিলির ফোটো নিজের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন শর্মিলা ঠাকুরের ছোট কন্যা সোহা আলি খান। ছবিতে রয়েছেন সেফ আলি খান ও করিনা কপূর খান। করিনার কোলে বসে আছে তৈমুর। রয়েছে সেফের আগের পক্ষে ছেলে ও মেয়ে, অর্থাৎ সারা এবং ইব্রাহিমও। পিছনে সাদা-কালো প্রিন্টেড শার্ট পরে দাঁড়িয়ে আছেন আমাদের রিঙ্কুদি, অর্থাৎ শর্মিলা ঠাকুর (Sharmila Tagore)। কী সুন্দর ছবিটা তাই না? কিন্তু… উঁহু… কোথায় যেন একটা কী একটা নেই! 

খাঁটি গোয়েন্দার মতো তদন্ত করলে প্রথমেই যে প্রশ্নটা মনে ধাক্কা মারে যে, এই এত সুন্দর ছবিটা কে তুলল? খুব সম্ভবত ছবিটি তুলেছেন নান্না-মুন্না কুনাল খেমু। মানে, ইয়ে সোহার স্বামী। না, ওঁর নাকি খু-উ-উ-ব শরীর খারাপ লাগছিল, তাই ঘুমন্ত মেয়েকে কাঁধে ফেলে বাড়ি চলে গেছেন। আবার হতে পারে ছবিটি সাবা তুলেছেন। কে সাবা? সাবা কে? এটাই জানতে চাইছেন তো? সাবা হলেন শর্মিলা ঠাকুর আর নবাব মনসুর আলি খানের বড় মেয়ে। যাঁকে খুব কম দেখা যায়। বা বলা চলে, প্রায় দেখাই যায় না! কিন্তু কেন? 

সাবা কি ছবি তুলতে পছন্দ করেন না? নাকি মিডিয়ার সামনে বেশি আসা পছন্দ করেন না? ছবিটি যদি তিনিই তুলে থাকেন, তা হলে এই যে মা শর্মিলা ঠাকুর এত ইনিয়ে-বিনিয়ে ছেলে আর সেকেন্ড বউমার এত্ত তারিফ করলেন, তার মধ্যে একবারও কোথাও সাবার উল্লেখ নেই কেন? সেফ নাকি মায়ের খুব যত্নআত্তি করে চেরি টোম্যাটো আর অ্যাভোকাডো দিয়ে কিনোয়া স্যালাড, মাশরুম, ব্রোকোলি আর রোস্টেড চিকেন এসব হাবিজাবি রেঁধে খাইয়েছে। অমন অবাক হওয়ার কিছু নেই। নবাবরা কি ডাল-ভাত খাবে? সকলে মিলে তারপর খুব আমোদ-আহ্লাদ করছিল, এমন সময় বিস্ময়বালক তৈমুর ঘ্যানঘ্যান শুরু করায় সবাই ঘুমুতে চলে গেল!

সবই তো বুঝলাম কিন্তু মা বেছে-বেছে ওদের সঙ্গেই দেখা করলেন আর বড় মেয়েকে একবারও সামনে আনলেন না কেন? এমনিতে যতই নবাবিপানা করুন না কেন, পতৌদি কিন্তু খুব বড় এস্টেট নয়! বরং ছোট্ট একখানা গ্রাম বলতে পারেন! সেফের ঠাকুরমা ছিলেন ভোপালের নবাবের মেয়ে। টাকাকড়ি সব ওদিক থেকেই আমদানি হয়েছে বেশি। নবাব পতৌদির মৃত্যুর পর সাবা হয়েছেন নইব মুত্তেওয়ালি, মানে পুরো এস্টেট, টাকাপয়সা, জমি সম্পত্তি সব সামলানোর রক্ষক। হাওয়ায় খবর ভাসে, বুঝলেন, হাওয়ায় খবর ভাসে! এই যে সাবা, উনি কী করেন? না মানে এত্ত টাকা সামলানোর আগে কী করতেন? শোনা যায়, উনি নাকি গয়নার নকশা আঁকেন। শুধু নিজের জন্য আঁকেন না, মাঝে-মধ্যে অন্যদের জন্যও আঁকেন, তা জানি না! তবে শর্মিলা ঠাকুরের শাশুড়ি মায়ের নাকি ছিল উগ্র নবাবি মেজাজ। সিনেমার পর্দা থেকে কেউ এসে তাঁর নবাবি সাম্রাজ্যে থাবা বসাক, সেটা উনি মোটেও ভাল চোখে দেখেননি। আর ঠাকুমার এই নীলপানা গরম রক্ত পেয়েছেন সাবা দিদিভাই। তিনিও নাকি মুখের উপর চ্যাটাং-চ্যাটাং কথা বলতে ওস্তাদ। সেই জন্যই কি মা তাঁকে আঁচলের তলায় লুকিয়ে রাখেন? আবিশ্যি মা বলেছেন, সাবা রোজা রেখে খুব ক্লান্ত হয়ে গেছেন তাই বলেছেন ছবি তুলতে যাব না। সে তো উনি কোথাওই যান না। উপোস টুপোস যখন করেন না, তখনও তাঁকে বাড়ির লোকের আশেপাশে দেখি না বাপু!

ADVERTISEMENT

হুমম, নবাবি ডাল…কালো না বেগুনি, একটু কালটিভেট করে দেখতে হচ্ছে তা হলে!   

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!

30 May 2019

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT