বিশ্বাস এবং স্বচ্ছতাই হল সম্পর্কের আসল বুনিয়াদ। যে সম্পর্কে কোনও বিশ্বাস নেই, তাকে সম্পর্ক বলাই তো উচিত নয়! তাই প্রথম থেকেই একে অপরকে সব কথা খুলে বলে ফেলার অভ্যাস করুন। আর তা না করে যদি নিজেদের মধ্যে দেওয়াল তোলেন, তা হলে ভুল বোঝাবুঝি বাড়বেই। বিশেষ করে মিথ্যে কথা বলা বা কোনও ঘটনা লুকিয়ে রাখা তো মোটেই উচিত নয়! তাই সুযোগ পেলেই অতীতের অধ্যায়গুলি পার্টনারের সামনে খুলে দিন। ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক নিয়ে লজ্জা না পেয়ে বরং এই নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করুন। তাতে পার্টনার ভুল ভাববে না তো? ভুল ভাববে কেন! আপনি তো খুন করেননি। কারও ক্ষতি করাও আপনার লক্ষ ছিল না, তা হলে সত্যি কথা বলতে লজ্জা কীসের? তাছাড়া বারে-বারে প্রেমে পড়া তো আর ভুল কাজ নয়। সেই সম্পর্ককে সততার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন কিনা, সেটাই আসল কথা। তাই অতীতের সম্পর্কের বিষয়ে খোলসা করে কথা বলাটা ভুল কাজ নয়। তবে কতগুলি কথা মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন। চলুন, সেই নিয়েই এবার একটু আলোচনা সেরে ফেলা যাক।
যত শীঘ্র বলবেন, ততই মঙ্গল
অতীত যে কখন এসে বর্তমানে থাবা বসাবে কেউ তা জানে না। তাই তো এই সব ব্যাপারে বেশি দেরি করা উচিত নয়। বরং সম্পর্ক শুরুর মাস খানেকের মধ্যেই বিড়ালের গলায় ঘণ্টিটা বেঁধেই ফেলুন। এসব কথা বলবেন কীভাবে তাই ভাবছেন? একটা কাজ করুন। কোনও এক ছুটির দিনে দু’জনে যখন চুটিয়ে আড্ডা মারবেন, তখনই সব কথা বলে ফেলুন। সম্পর্ক ভাঙলেন কেন, প্রাক্তন প্রেমিকই (ex lover) বা কেমন ছিল, সেসব নিয়ে মন খুলে কথা বলুন। আপনি বর্তমান সম্পর্কে জড়ানোর সিদ্ধান্তই বা কেন নিয়েছেন, তা-ও খোলসা করে বলুন। মাঝে-মধ্যে বর্তমান পার্টনারের সুখ্যাতি করতেও ভুলবেন না যেন! তাতে আপনার অতীত সম্পর্কের তেতো রসটা গিলে ফেলতে তাঁর একটু বেশিই সুবিধে হবে। মাথায় রাখবেন, একটু বুদ্ধি খাটিয়ে এই সব কথা না বললে কিন্তু অন্য রকমের সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে এই সব শুনে যদি পার্টনার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করেন, তা হলে তো আর এক বিপদ! তাই ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ নীতি নিয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ। মানে হল, অতীত নিয়ে বলুন, ক্ষতি নেই! কিন্তু সব ঘটনার গভীরে যাবেন না যেন!
বারে-বারে পুরনো প্রেম নিয়ে আলোচনা করা উচিত নয়
একদিন সব কথা খুলে বলে দিয়ে চ্যাপ্টারটা শেষ করুন। সেদিনের পরে ভুলেও আর এক্স বয়ফ্রেন্ডের নাম মুখে আনবেন না। মনে রাখবেন, ভালবাসার সম্পর্ক নিয়ে সবাই কম-বেশি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। তাই কথায় কথায় অতীতের প্রসঙ্গ টানলে কিন্তু বর্তমান সম্পর্কের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে পার্টনারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি দানা বাঁধার আশঙ্কা বাড়বে বই কী। তাছাড়া একই কথা বার-বার শুনতে কারই ভাল লাগে বলুন! তাই নানা অজুহাতে অতীতের কবর খোঁড়া বন্ধ করুন। অনেকে আবার এক্স প্রেমিকের প্রসঙ্গ টেনে এনে পার্টনারের (partner) সঙ্গে খুনসুটি করতে ভালবাসেন। এমন অভ্যাসও কিন্তু কম বিপজ্জনক নয়। মনে রাখবেন, অগুন নিয়ে খেললে কিন্তু নিজের হাত পুড়ে যাওয়ারই ভয় থাকে!
এক্স পার্টনারের উপর সব দোষ চাপালে কিন্তু ভুল করবেন
দু’জনে এক সঙ্গে থাকতে পারছিলেন না বলেই ব্রেকআপ করেছেন। সহজ ভাবে বললে তাই তো দাঁড়ায়। তবু একটা ভুল আমরা সবাই করে থাকি। বর্তমান পার্টনারকে নিজের অতীত সম্পর্কে বলার সময় সব দোষ আমরা এক্স প্রেমিকের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে এমন একটা ভাব করি যেন আমরা ধোওয়া তুলসিপাতা! তাতে কোনও সুফল তো মেলেই না, উল্টে পার্টনারের মনে হাজার রকমের প্রশ্ন দানা বাঁধার আশঙ্কা থাকে। সেই সঙ্গে আপনাকে নিয়ে নানা ভুল ধারণাও তো জন্ম নিতে পারে। তাই এমন মানসিকতাকে প্রশ্রয় না দিয়ে যা ঘটেছে, তা খুলে বলুন, তাতেই সবার মঙ্গল।
ভুল থেকে কী শিখেছেন, সেটাও বলতে ভুলবেন না যেন
অতীতে আপনার সঙ্গে কী ঘঠেছে, সে তো বলবেনই। সেই সঙ্গে এমন অভিজ্ঞতা থেকে কী শিখতে পেরেছেন, তা-ও সরাসরি বলে ফেলবেন। বিশেষ করে ব্রেকআপের ভাল দিকগুলো নিয়ে কথা বলতে ভুলবেন না যেন! আসলে কী জানেন, এই ভাবে খোলাখুলি কথা বললে পার্টনারের সঙ্গে আপনার যেটুকু দূরত্ব থেকে গেছে, সেটুকও দেখবেন ঘুচে যাবে। তাছাড়া এই ভাবেই তো একে অপরের মানসিকতা সম্পর্কেও আঁচ করতে পারবেন। দেখবেন, এমন করেই আপনাদের সম্পর্ক আরও গভীরতা খুঁজে পাবে। তবে এই সব নিয়ে আড্ডা মারার সময় ভুলেও নেতিবাচক প্রসঙ্গ তুলবেন না যেন! তাতে দু’জনেরই মন খারাপ হয়ে যাবে। ফলে বাকি দিনটা বেকার মাটি হয়ে যাবে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার এই বছরটা POPup করে ফেলুন!