এক-একজনের কপালে বিয়ের সুখ, গোছানো-সুন্দর সংসারের সুখ থাকে না, শ্বেতা তিওয়ারির (Shweta Tiwari) কপালটা ঠিক সেরকমই। প্রথম বিয়ে করেছিলেন মাত্র ১৮ বছর বয়সে, রাজা চৌধুরীকে। বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই মেয়ে পলক (Palak) জন্মেছিল। বোধ হয় সেটাই শ্বেতার বিয়ের একমাত্র ভাল দিক ছিল। তারপর কসৌটি জিন্দগী কী করে বিখ্যাত হন শ্বেতা আর সেই সঙ্গে হতাশা আর ফ্রাস্ট্রেশন চেপে বসে রাজার ঘাড়ে। শেষ পর্যন্ত তাঁদের বৈবাহিক জীবন এতটাই খারাপ মোড়ে পৌঁছয় যে, রাজা আর শ্বেতা আলাদা হয়ে যান ২০০৭ সালে। শ্বেতা একাই থাকতে শুরু করেন মেয়ে পলককে নিয়ে। এর পরে তৎকালীন কো-স্টার অভিনব কোহলির (Abhinav Kohli) সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন শ্বেতা। অভিনব তখন সদ্য-সদ্য কেরিয়ার শুরু করেছেন। আর শ্বেতা প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী। ঘনিষ্ঠতা ধীরে-ধীরে ভালবাসায় রূপ নেয়। আর ভালবাসা আস্তে-আস্তে পরিণতি পায় সম্পর্কে! শেষ পর্যন্ত ২০১৩ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শ্বেতা আর অভিনব। জাঁকজমক করেই বিয়ে সারেন তাঁরা। বিয়ের সমস্ত ছবিতে মায়ের সঙ্গে হাসিমুখে পলককে দেখে শ্বেতার বন্ধু-পরিজনেরা স্বস্তির শ্বাস ফেলেছিলেন। যাক, এবার তা হলে শ্বেতার স্বামী-সন্তান নিয়ে সংসার করবেন সুখে। ২০১৬ সালে শ্বেতা-অভিনবের একটি ফুটফুটি ছেলেও হয়, রেয়াংশ! শ্বেতার মেটারনিটি ফোটোশুটে অভিনব আর পলকের কেমিস্ট্রি দেখে সকলেই ভেবেছিল, যাক, অল ইজ ওয়েল! সৎ বাবার সঙ্গে ভালই মানিয়ে নিতে পেরেছেন পলক। ততদিনে মেয়ের পদবি ‘চৌধুরী’ থেকে পাল্টে ‘তিওয়ারি’ করেও দিয়েছেন শ্বেতা।
ইনস্টাগ্রাম (মেটার্নিটি ফোটোশুটে মেয়ে পলকের সঙ্গে)
কিন্তু সব হিসেব গোলমাল হয়ে যায় ২০১৭ সালের মাঝামাঝি থেকে! শ্বেতা আর অভিনবের সংসারে সাধারণ খিটমিট ততদিনে বড়সড় ঝামেলার আকার নিয়েছে। এরকমও ফিসফিস শোনা যাচ্ছিল যে, অভিনব নাকি অভিনয় কেরিয়ারের ব্যর্থতা সামলাতে না পেরে অ্যালকোহলেই ডুবিয়ে দিয়েছেন নিজেকে! স্ত্রী শ্বেতার সাফল্যও নাকি মোটেও ভাল চোখে দেখছেন না তিনি! এমনকী, সৎ মেয়ে পলকের ইনস্টাগ্রাম ফ্যানের সংখ্যাও নাকি তাঁকে জ্বালাচ্ছে! পলক মায়ের মতোই ডাকসাইটে সুন্দরী। পত্র-পত্রিকায় তাঁর ছবি বেরোয় নিয়মিত, ফিল্মের অফার-টফারও নাকি আসতে শুরু করেছে! এসব দেখেই আরও অবসাদে ডুবে যাচ্ছিলেন অভিনব। ব্যাপার এতটাই খারাপ অবস্থায় পৌঁছয় যে, শ্বেতা ঠিক করেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় আর নিজের বা মেয়ের ছবি পোস্ট করবেন না! সেই মতো গত বছরখানেক তিনি সংসার বাঁচানোর প্রাণপণ চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।
ইনস্টাগ্রাম (এই ছবিটি গত ফাদার্স ডে-তে পোস্ট করেছিলেন শ্বেতা, কিন্তু অভিনবকে ট্যাগও করেননি)
গতকাল গভীর রাতে মেয়ে পলককে নিয়ে কাঁদতে-কাঁদতে মুম্বইয়ের সমতানগর থানায় পৌঁছন তিনি। সেখানে স্বামী অভিনবের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ দায়ের করেন। তখনই জানা যায়, অভিনব নাকি মদ্যপ অবস্থায় প্রায়ই অশালীন কথাবার্তা বলতেন পলকের উদ্দেশ্যে! নিজের মোবাইলে স্টোর করা অশ্লীল ছবিও দেখতে বাধ্য করতেন তাকে! গতকাল তো নেশার ঘোরে পলকের গায়ে হাতও তোলেন! এতটা আর সহ্য করতে পারেননি শ্বেতা। সঙ্গে-সঙ্গে মেয়েকে নিয়ে থানায় যান তিনি। তাঁর অভিযোগে অভিনবকে তুলেও আনে পুলিশ। শ্বেতাদের সামনেই তাঁকে দফায়-দফায় জেরা করা হয়। অভিনবের বিররুদ্ধে আইপিসি সেকশন নম্বর ৩৪২/১৯ u/s ৩৫৪-এ, ৩২৩, ৫০৪, ৫০৬, ৫০৯ এবং আইপিসি r/w ৭৭-এ IT ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তাঁকে আপাতত পুলিশি হেফাজতেই রাখা হয়েছে!
খবর পেয়ে তাজ্জব বনে গিয়েছে হিন্দি সিরিয়ালের দুনিয়া। শ্বেতার দুর্দিনে তাঁর পাশেই আছেন পরিবার-পরিজনেরা। তবে সম্ভ্রম বজায় রেখে এখনও এই মর্মে কোনও বাইট দেননি শ্বেতা, মিডিয়ার কাছে দেননি কোনও সাক্ষাৎকারও!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!