সত্যি কথা বলতে গেলে, আমরা সকলেই জানি যে, নতুন-নতুন খইয়ের মোয়া মচমচ করে আর পুরনো মোয়া ভাই মিইয়েই যায়। এবার মোয়ার জায়গায় আপনি যে-কোনও অ্যাকোয়ার্ড রিলেশনশিপ রেখে দেখুন, ব্যাপারটা একই হবে। অ্যাকোয়ার্ড, মানে যেটি আমরা জন্মসূত্রে লাভ করিনি। তা সেটা বন্ধুত্বই হোক কিংবা ভালবাসা বা দাম্পত্যজীবন। সম্পর্ক পুরনো হলে তাতে অনেকসময়ই একটু গা-ছাড়া ভাব চলে আসে। স্বামী-স্ত্রীয়ের সম্পর্কে এই গা-ছাড়া ভাবটি সবচেয়ে ক্ষতি করে সেক্সুয়াল লাইফের। সেটা তখন আকর্ষণ করে কম, বিকর্ষিত করে ঢের বেশি। দৈনন্দিন জীবনের নানা সমস্যা, ছেলেমেয়ে নিয়ে চিন্তা, কেরিয়ারের জাঁতাকল, কারণটা যা কিছু হতে পারে। সমস্যা হয়, শারীরিক মিলন (sex) ব্যাপারটি তখন রুটিনের পর্যায়ে চলে যায়। নাওয়া-শোওয়া-ওঠাবসার মতো একটা ‘কাজ’, যেটা করতে হবে! আর তখনই সেক্সুয়াল লাইফেও স্পার্কের টানাটানি পড়ে। আপনার বিবাহিত জীবনেও সেক্স ব্যাপারটি রুটিন হয়ে গিয়েছে কিনা, আপনার কিংবা আপনার সঙ্গীর কতগুলো ব্যবহারই (signs) তা বুঝিয়ে দেবে। এখানে আমরা সেদিকেই একটু আলোকপাত করার চেষ্টা করছি।
১. সেক্স হল আপনাদের দৈনন্দিন জীবনের রুটিনের লাস্ট পিরিয়ড!
ব্যাপারটি যদি এরকম হয়ে থাকে, তা হলেই সব্বোনাশ! রুটিনের শেষ পিরিয়ড মানে, প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার সময়ই কি আপনারা শারীরিকভাবে মিলিত হন নিয়ম করে? কোনওদিনই কি সময়ের একটু হেরফেরও হয় না? ছুটির দিনগুলোতেও কি ব্যাপারটা একইরকম থাকে? সেদিনও সেই রাতের বেলা? তা হলে ভাই বিপদ আছে। শারীরিক মিলন ব্যাপারটি আপনাদের জন্য আর বিয়ের গোড়ার দিকের মতো আকর্ষক নেই। তা হলে সেটা প্রতিদিন একই সময়ে ঘটত না।
২. খুনসুটি কিংবা পিডিএ আর আগের মতো নেই
হঠাৎ করে চমকে গিয়ে পিছন থেকে এসে জড়িয়ে ধরা, রান্নাঘরে পিছু-পিছু গিয়ে ঘাড়ের পিছনে আলতো চুমু, বা ধরুন রাস্তা পার হওয়ার সময় অযাচিতভাবেই হাতটা শক্ত করে ধরে থাকা, সকালে ঘুম-ঘুম চোখে পাশে শুয়ে থাকা আপনাকে জড়িয়ে ধরা…এই ছোটখাটো মিষ্টি অথচ গভীর ব্যাপারগুলো, যেগুলো অকারণেই মনকে খুশি করে দেয়, সেগুলো কি আজকাল আর ঘটে না? তা হলে জানবেন, আপনারা পরস্পরকে আর শারীরিকভাবে অত কাছে টানতে পারছেন না। ছোটখাটো ছুঁয়ে যাওয়া, এই স্পর্শগুলো খুব জরুরি। এগুলোই শারীরিকভাবে দুটো মানুষকে পরস্পরের দিকে আকৃষ্ট করে, যা পরে শারীরিক মিলনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। এগুলো জীবন থেকে আস্তে-আস্তে মুছে গেলে জানবেন, সেক্স লাইফটা বোরিং হতে বাধ্য।
৩. ফোরপ্লে বলে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই
সেক্সের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল ফোরপ্লে। ধীরে-ধীরে পরস্পরের কাছে আসতে শুরু করে তারপর চরম সুখের দিকে এগোবেন, এটাই একটি পরিতৃপ্ত শারীরিক মিলনের সংজ্ঞা হওয়া উচিত। সেক্স লাইফ থেকে যদি ফোরপ্লে নামক ব্যাপারটাই দূরে সরে যায়, তা হলে কিন্তু সমূহ বিপদ! কারণ, এটি প্রমাণ করে আপনারা আর মানুষ নন, রোবট মাত্র। আর সেক্স ব্যাপারটি আপনাদের যান্ত্রব ব্রেনে ইনপুট করে দেওয়া হয়েছে, সেটি আপনারা যন্ত্রের মতো পালন করেন, এনজয় (enjoying) করেন না!
৪. শারীরিক মিলনের পরেই আপনারা আবার দু’ পাশে ফিরে ঘুমিয়ে পড়েন
এটি বোধ হয় সবচেয়ে সাঙ্ঘাতিক সাইন! সেক্স করার পরেই কি আপনারা দু’জন আবার দু’ পাশ ফিরে শুতে চলে যান? নিজেদের মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন? তা হলে ভাই চাপ আছে। তার মানে হল, আপনারা দু’জনেই পরস্পরের জন্য প্রায় অচেনা মানুষ হয়ে গিয়েছেন। আর অচেনা মানুষেরা নিজেদের মধ্যে সেক্স এনজয় করবেনটাই বা কী করে?
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
২০২০ সালটা শুরু করুন আমাদের দারুণ সব প্ল্যানার এবং স্টেটমেন্ট মেকিং সোয়েটশার্ট দিয়ে, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shop-এ যান আর আপনার এই বছরটা POPup করে ফেলুন!