ADVERTISEMENT
home / লাইফস্টাইল
ব্যর্থতা ভুলে সাফল্যের স্বাদ পেতে মেনে চলুন এই টিপসগুলি

ব্যর্থতা ভুলে সাফল্যের স্বাদ পেতে মেনে চলুন এই টিপসগুলি

শ্বাস যতদিন চলছে, ততদিন জেতা-হারা যে লেগেই রয়েছে, সে কথা আমরা সবাই জানি। তবুও কেন ছোট-বড় নানা ব্যর্থতার (failure) পরে নিজের পায়ে উঠে দাঁড়ানোটা এত কঠিন হয়ে দাঁড়ায়? তখন আত্মবিশ্বাস এতটাই কমে যায় যে মনে হয় নিজের দ্বারা আর কিছুই করে ওঠা সম্ভব হবে না। ফলে জীবনের গাড়িটা হঠাৎ যেন দাঁড়িয়ে যায়। চোখের জল আর ভয় হয়ে ওঠে রোজের সঙ্গী। এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি কোনও না-কোনও সময় আমাদের সবাইকেই হতে হয়। তাই তো এই প্রতিবেদনে এমন কিছু টিপসের (tips) উল্লেখ থাকল, যা মাথায় রাখলে হাজারও ব্যর্থতাও আপনাকে দমাতে পারবে না। বরং সাফল্য (success) হয়ে উঠবে রোজের সঙ্গী।

১. ব্যর্থতা মানেই শেষ নয়, বরং শুরু

প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল বিশ্বাস করতেন যে, সাফল্য যেমন জীবনের প্রান্তিক স্টেশন নয়, তেমনই ব্যর্থ হওয়া মানেই সব শেষ হয়ে যায় না। বরং মনের জোর বজায় রেখে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়াটাই আসল কাজ। কথাটা সব দিক থেকে সত্যি। কারণ, ব্যর্থতা মানেই জীবন শেষ হয়ে যাওয়া নয়। বরং নতুন করে যুদ্ধ শুরু করার একটা বাহানা মাত্র। হতে পারে প্রথমবার চেষ্টায় কিছুটা খামতি ছিল, তাই হয়তো ব্যর্থ হতে হয়েছে। তাই দ্বিতীয়বার চেষ্টায় কোনও খামতি রাখবেন না। বরং নিজেকে আরও কীভাবে নিংড়ে নেওয়া যায়, সেই চেষ্টা চালিয়ে যান। দেখবেন, একদিন না-একদিন সাফল্যের স্বাদ পাবেই পাবেন! তাই এবার থেকে ব্য়র্থ হলে নিজের ক্ষমতাকে নিয়ে প্রশ্ন তুলবে না। বরং মনে এই বিশ্বাস রাখবেন যে এক-একটা ব্যর্থতা আসলে সাফল্যের সিঁড়ি। তাই যত ব্যর্থ হবেন, ততই কিন্তু একটু-একটু করে সাফল্য আপনার দিকে এগিয়ে আসবে।

২. খারাপ চিন্তাকে দূরে রাখুন

আমাদের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ কে জানেন? আমাদের মস্তিষ্ক। কারণ, সিংহভাগ ক্ষেত্রেই খারাপ চিন্তার আমদানি ঘটিয়ে মনের জোরকে বারংবার ধাক্কা দেওয়ার কাজটা আমাদের ব্রেনই করে থাকে। তাই খারাপ সময় মাথায় আসা নেতিবাচক চিন্তাকে প্রশ্রয় দেওয়ার ভুল কাজটি করবেন না। বরং খারাপ চিন্তাকে জোড়া গোল দিয়ে যেন-তেন-প্রকারেণ ইতিবাচক চিন্তাকে নিজের সঙ্গী বানাতে হবে, তা হলেই দেখবেন কেল্লা ফতে!

৩. ভুল থেকে শেখাটাই আসল কাজ

টমাস আলভা এডিসনের নাম নিশ্চয় শুনেছেন? তাঁর ফ্যাক্টরিতে একবার আগুন লেগে যায়। সেই আগুনে নিমেষে ছাই হয়ে যায় এডিসনের একাধিক গবেষণাপত্র। কিন্তু আজব ব্যাপার, সেই নিয়ে দুঃখ প্রকাশ না করে সে সময় নিজের ছেলেকে ডেকে নিয়ে আগুনের ভয়াবহ রূপ বর্ণনা করতে শুরু করেন এডিসন। ছেলে প্রশ্ন করেন, সব তো শেষ, দুঃখ হচ্ছে না তোমার? উত্তরে এডিসন কি বলেছিলেন জানেন? এই আগুনের সঙ্গে আমার সাফল্য যেমন জ্বলে যাচ্ছে, তেমনিই হাজার ব্যর্থতার চিহ্নও মিটে যাচ্ছে। তাই কাল থেকে আবার নতুন উদ্যমে শুরু করব চেষ্টা, যাতে ব্যর্থতা আর ধারে কাছেও ঘেঁষতে না পারে। কিছু বুঝলেন বন্ধু? ব্যর্থতাকে আমরা বড় করে দেখি ঠিকই। কিন্তু আদতে ব্যর্থতা আমাদের অনেক কিছু শিখিয়ে দিয়ে যায়, যে কারণে আগামী দিনে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। তাই এবার থেকে কোনও সময় ব্যর্থ হলে দুঃখ পাবেন না। বরং সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিন। আর নিজেকে কথা দিন যে, একই ভুল আর কোনও দিন করবেন না। দেখবেন, সাফল্য বেশি দিন আপনার থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারবে না।

ADVERTISEMENT

৪. প্ল্যানিং-এ যেন কোনও খামতি না থাকে

ব্যর্থ হওয়ার পরে মাথায় হাত দিয়ে বসে না থেকে যত শীঘ্র সম্ভব কী কারণে ব্যর্থ হলেন, তা নিয়ে পোস্টমর্টেম করে দেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে যতক্ষণ না ভুলটা ধরা পরছে, ততক্ষণ বিশ্লেষণ চালিয়ে যেতে হবে। যে মুহূর্তে ভুলটা বুঝতে পারবেন, সেই সময় থেকেই আগামীর প্ল্যানিং শুরু করে দিতে হবে। যে ভুলটা করছেন, সেটা মাথায় রেখে অন্য কোনও রাস্তা ভাবতে হবে, যা আপনাকে লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করবে। তবে খাতায়-কলমে শুধু প্ল্যানিং করলে চলবে না। যেমনটা ভেবেছেন, সেই মতো পরিশ্রমও করতে হবে। তবেই না সাফল্য আপনার প্রিয় বন্ধু হয়ে উঠবে।

৫. ব্যর্থতা নিয়ে লজ্জা না পেয়ে সেই নিয়ে কথা বলুন

আপনাদের কি মনে হয় লিওনার্দো দা ভিঞ্চি প্রথম চেষ্টাতেই এঁকে ফেলেছিলেন ‘মোনালিসা’র মতো ছবি? এদিকে মাইকেল অ্যাঞ্জেলো কি রাতারাতিই খোদাই করে ফেলেছিলেন ‘ম্যাগনিফিসেন্ট ডেভিড’এর মতো ভাস্কর্য? মটেই নয়! বরং বহু দিন ধরে অনেক চেষ্টার পরে সৃষ্টি হয়েছিল এমন শিল্প কীর্তি। তাই ব্যর্থ হয়েছেন বলে লজ্জা পাবেন না। জানবেন, যে চেষ্টা করে, সেই ব্যর্থ হয়। তাই চেষ্টা থামালে চলবে না। বরং এই নিয়ে বাবা-মা অথবা দাদা-ঠাকুরমার সঙ্গে আলোচনা করুন। অসফল কেন হলেন সেই পর্যালোচনা করার সময় তাঁদের সামিল করুন। দেখবেন, সবাই একসঙ্গে হাত মিলিয়ে ভাবনা-চিন্তা করলে সাফল্যের রাস্তা খুঁজে পেতে সময় লাগবে না।

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!

ADVERTISEMENT
16 Jul 2019

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT