ADVERTISEMENT
home / Styling
চুল ছোট হোক বা লম্বা, কোঁকড়ানো হোক বা সোজা, সব রকম চুলের জন্য একগুচ্ছ সহজ চুল বাধার স্টাইল

চুল ছোট হোক বা লম্বা, কোঁকড়ানো হোক বা সোজা, সব রকম চুলের জন্য একগুচ্ছ সহজ চুল বাধার স্টাইল

কথায় বলে যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। কথাটা যে নেহাত ফেলনা নয় সেটা বহু আগেই ভারতীয় মেয়েরা করে দেখিয়ে দিয়েছেন। আর বিয়েবাড়িই বলুন কী বান্ধবীর জন্মদিন, ঠিকঠাক চুলের স্টাইল (Hairstyles) না হলে যে পুরো সাজটাই মাটি হয়ে যায়, সে কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন আপনাদের মনে এসব শুনে নানা প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে জানি। আর সেটাই স্বাভাবিক। প্রথমত, আপনি ভাবছেন, কোনও অনুষ্ঠানে চুল (Hair) বাঁধতে যাওয়া মানেই তো অনেক টাকার ধাক্কা। আবার কেউ কেউ ভাবছেন, যাঁদের একঢাল চুল নেই, তাঁরা কী করবেন। চুল বাঁধতে গিয়ে আপনার পকেটে যাতে চাপ না পড়ে সেই ব্যবস্থা করে দিচ্ছি আমরা। নিয়ে এসেছি এমন কয়েকটি সহজ হেয়ার স্টাইল যা আপনি নিজেই করে নিতে পারবেন। আর যাঁদের একঢাল চুল নেই, তাঁরাও নিশ্চিন্ত থাকুন। ছোট চুল, লম্বা চুল, সোজা চুল, কোঁকড়া চুল সব রকম ছুলেই কেমন হেয়ার স্টাইল (Hairstyles) করবেন তার সবিস্তার বর্ণনা এখানে আপনি পেয়ে যাবেন।

আরও পড়ুনঃ দ্রুত নতুন চুল গজানোর ঘরোয়া টোটকা

চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী কীভাবে করবেন হেয়ারস্টাইল

চুলের ধরন অনুযায়ী হেয়ারস্টাইল

ADVERTISEMENT

কোন অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন তার উপর ভিত্তি করে হেয়ারস্টাইল

হেয়ারস্টাইল নিয়ে কিছু জরুরি প্রশ্ন ও তার উত্তর

যে-কোনও হেয়ারস্টাইল করার আগে কীভাবে নেবেন চুলের যত্ন (Prepare Your Hair For Styling)

যদি আগে থেকেই আপনার কোনও অনুষ্ঠানে যাওয়ার প্ল্যান থাকে এবং সেখানে নিজের হেয়ারস্টাইল আপনি নিজেই করবেন বলে ভেবে থাকেন তাহলে আগে থেকে চুলের যত্ন নেওয়া উচিৎ। কারণ যদি চুল বাঁধার সময় দেখা যায়, চুল আপনি ম্যানেজ করতে পারছেন না তাহলে বিপদে পড়বেন।

১। যদি সকালে অনুষ্ঠান থাকে তাহলে শ্যাম্পু করবেন রাত্রে। এতে চুলে জট পড়বে কম। সারা রাত চুল শুকনোর সময় পাবে এবং সকালে চুল বাঁধতে অসুবিধা হবে না।

ADVERTISEMENT

২। যদি ড্রায়ার ব্যবহার করেন তাহলে সেটা কোল্ড এয়ার বা ঠাণ্ডা হাওয়া মোডে দিয়ে দেবেন। গরম হাওয়া চুল নষ্ট করে দেবে।

৩। যখনই সময় পাবেন আঙুল দিয়ে চুলের জট ছাড়ানোর চেষ্টা করবেন। এটা এক ধরণের ঘরোয়া পদ্ধতি। আঙুল দিয়ে চুলের জট ছাড়ালে চুল ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমে।

৪। যদি আপনার চুলে রঙ বা হাইলাইট করা থাকে, এবং সেটাকে আপনি আপনার হেয়ারস্টাইলের মাধ্যমে তুলে ধরতে চান, তাহলে কালার প্রটেক্ট করে এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন।

৫। কোনও অনুষ্ঠানের আগে ঘন-ঘন শ্যাম্পু না করে অনুষ্ঠানের আগের দিন শ্যাম্পু করুন।  

ADVERTISEMENT

হেয়ারস্টাইল করার আগে কোনটা করবেন আর কোনটা করবেন না (Do’s and Don’ts For Hair Style)

অনেক সময় আমরা অনেকের কাছে শুনে বা ভিডিও দেখে সহজ হেয়ারস্টাই করার চেষ্টা করি। কিন্তু পুরো চুল বাঁধা হয়ে গেলে দেখা যায় যে সেটা মনের মতো হয়নি। আপনি হয়তো ঠিকঠাকই করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আপনার চুলের জন্যই ব্যাপারটা ঠিক দাঁড়ায়নি। এর জন্য যে-কোনও হেয়ারস্টাইল (Simple Hairstyles In Bengali) করার আগে জেনে নেওয়া দরকার যে, কোনটা করবেন আর কোনটা করবেন না।

যে গুলো করবেন (Do’s)

১) স্নান করার পর তোয়ালে নয়, পুরনো সুতির টি-শার্ট দিয়ে মাথা মুছুন। ভিজে চুল খুব ভঙ্গুর হয়। তোয়ালে দিয়ে মুছলে সেটা চট করে ভেঙে যেতে পারে। সুতির কাপড়ে সেটা হওয়ার চান্স কম।

২) সঠিক চিরুনি বা ব্রাশ ব্যবহার করুন চুল আঁচড়াতে। ভুল চিরুনি কিন্তু চুলের ক্ষতি করে।

৩) স্ক্যাল্পে কখনও কনডিশানার লাগাবেন না। স্ক্যাল্পে কনডিশানার লাগালে চুল তেলতেলে ও চিটচিটে হয়ে যাবে।

ADVERTISEMENT

যে গুলো করবেন না (Don’ts)

১) বেশি টেনে চুল বাঁধবেন না। এতে চুল নষ্ট হয়ে যাবে।

২) যাঁদের চুল কোঁকড়া, তাঁরা সেই সৌন্দর্য বজায় রেখেই হেয়ারস্টাইল করুন। খামোকা চুল স্ট্রেট করিয়ে সুস্থ শরীর ব্যস্ত করবেন না।

৩) যদি কার্লিং আয়রন ব্যবহার করেন তা হলে সেটা সমান্তরালভাবে ধরবেন।

৩) স্ক্যাল্পে কখনও কন্ডিশনার লাগাবেন না। স্ক্যাল্পে কন্ডিশনার লাগালে চুল তেলতেলে ও চিটচিটে হয়ে যাবে। 

ADVERTISEMENT

To Buy Hair Accessories Click Here   

চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী কীভাবে করবেন হেয়ারস্টাইল (Hair Styles Of Different Lengths Of Hair)

এবার আমরা মূল প্রসঙ্গে এসে গেছি। যেখানে সহজে করার মতো কিছু হেয়ারস্টাইল নিয়ে আমরা কথা বলব। আমরা দুটো ভাগে এই বিষয়টি ভাগ করেছি। প্রথমটি করা হয়েছে চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী। কারণ, হেয়ারস্টাইলের অনেকটাই চুলের দৈর্ঘ্যের উপর নির্ভর করে।  

ছোট চুলে কীভাবে করবেন হেয়ারস্টাইল (Hairstyles For Short Hair):

যাঁদের চুল ছোট, তাঁরা হেয়ারস্টাইল শব্দটা শুনলেই হতাশ হয়ে পড়েন। ভাবেন, তাঁদের চুলের দৈর্ঘ্য কম, সুতরাং কিছুই করা সম্ভব নয়। একদমই তা নয়। দেখে নেওয়া যাক, ছোট চুলের জন্য কয়েকটি DIY হেয়ারস্টাইল।

১। শর্ট কার্ল (Short Curl)

Simple hairstyle in bengali

ADVERTISEMENT

source: sayyes.com

একদম ছোট বা বব কাট চুলে এটা ভাল মানাবে। কারলিং আয়রন দিয়ে চুলে কিছু অংশ কার্ল করে নিন। তা হলে চুলে একটা ওয়েভি ভাব আসবে। যদি পুরোটা কার্ল না করতে চান, তা হলে কিছুটা করে অংশ ক্লিপ দিয়ে আটকে বাকিটা কার্ল করুন। 

২। বুফোঁ (Buffon Hairstyle)

Simple hairstyle in bengali 1

source: stylecaster.com 

ADVERTISEMENT

মাথার মাঝখান থেকে কিছুটা চুল তুলে দিয়ে কারলিং ক্লিপ দিয়ে আটকে রাখুন। সেখানটা উঁচু হয়ে গেলে সেটা ফুলিয়ে পিছন দিকে ক্লিপ দিয়ে আটকে দিন।  

৩। সাইড ব্রেড (Side Braid)

Simple hairstyle in bengali 4

source: abeautifulmess.com

অর্থাৎ এক সাইডে ছোট্ট বিনুনি। সাইডে সিঁথি করে চুল আঁচড়ান এবার যে দিকে সিঁথি করেছেন, তার উল্টো দিকে চুল দিয়ে একটা বিনুনি করে সেটা ক্লিপ দিয়ে আটকে দিন। চাইলে অনেকগুলো ছোট-ছোট বিনুনি করে সেগুলো একসঙ্গে ক্লিপ দিয়ে আটকে দিতে পারেন। আর স্টাইল করতে বিনুনিতে কালারফুল বিডস লাগিয়ে নিন।

ADVERTISEMENT

৪। মেসি টুইস্টেড বান (Messy Twisted Bun)

পিছনে তিনটে ছোট-ছোট (যতটা চুলের দৈর্ঘ্য) পনিটেল বাঁধুন। এবার সেই তিনটে পনিটেল ঘুরিয়ে একসঙ্গে পেঁচিয়ে বেঁধে নিন। 

৫। ফ্রন্ট ব্রেড (Front Braid)

Simple hairstyle in bengali 2

মাথার সব চুল আঁচড়ে পিছন দিকে নিয়ে যান। অর্থাৎ ব্যাক কোম্ব করে নিন। এবার সামনে থেকে অনেকগুলো ছোট-ছোট বিনুনি বেঁধে নিন। এবার সব কটা বিনুনি পিছনদিকে নিয়ে ক্লিপ দিয়ে আটকে দিন। বেশি বিনুনি না বাঁধতে চাইলে চুল দু’ভাগে ভাগ করে নিন। এবার শুধু মাঝখানে একটা বিনুনি করে সেটা পিছনে ক্লিপ দিয়ে আটকে দিন। দু’ সাইডে চুল খোলা রাখুন। 

মাঝারি দৈর্ঘ্যের চুলের জন্য হেয়ারস্টাইল (Hairstyles For Medium Hair):

১। বেড়া বিনুনির খোঁপা (Braids in Bun)

একটু সেকেলে শুনতে লাগলেও, এটা দেখতে কিন্তু বেশ স্টাইলিশ হয়। প্রথমে চুল দু’ভাগে ভাগ করে আপনার চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী দুটো বিনুনি বেঁধে নিন। এবার ডানদিকের বিনুনি বাঁদিকের সঙ্গে এবং বাঁদিকের বিনুনি ডানদিকের সঙ্গে আটকে দিন। দুই বিনুনি দুদিকে লাগাতে আপনি নানা রকম কায়দা অনুসরণ করতে পারেন। একটার মধ্যে দিয়ে আর-একটা পেঁচিয়ে দিতে পারেন বা একটার তলা দিয়ে আর-একটা দিতে পারেন।    

ADVERTISEMENT

২। মেসি টপ বান (Messy Top Bun)

খুব তাড়া থাকলে এই হেয়ারস্টাইল খুব কাজে আসে। চুল না আঁচড়ে মাথা নিচু করে সব চুল সামনে নিয়ে আসুন। এবার সব চুল এক জায়গায় করে মাঝাখানে একটা পনিটেল বাঁধুন। যেহেতু আপনি চুল আঁচড়াননি, সেহেতু পনিটেল ছড়িয়ে থাকবে। এবার পনিটেল বেলুনের মতো করে মুড়ে (Simple Hairstyles In Bengali) গার্ডারের মধ্যে ঢুকিয়ে দিন। এবার ওই ফোলানো বেলুনের মতো চুল একটু চেপ্টে খোঁপার মতো পিন দিয়ে আটকে দিন। এবার সামনেটা একটু আঁচড়ে নিন। 

৩। লেস ব্রেডেড আপডু (Braided Updo)

lace braided updo

এটা অনেকটা বেড়া বিনুনি খোঁপার মতোই। তবে এখানে পুরো বিনুনি বাঁধলে চলবে না। প্রথমে মাঝখানে সিঁথি করে চুল দু’ভাগ করুন। এবার দু’দিকেই চুলের ধার দিয়ে ঢিলেঢালা করে দুটো বিনুনি বাঁধুন। মনে রাখবেন শুধু চুলের সাইড দিয়ে বিনুনি বাঁধবেন বাকি চুল কিন্তু ছাড়াই থাকবে। এবার এবার একটা বিনুনি একটু উপরের দিকে তুলে ক্লিপ দিয়ে আটকে দিন। এমনভাবে আটকাবেন যাতে চুলের যে অংশ ছাড়া ছিল সেটা যেন নীচের দিকে ঝুলে থাকে। এবার অপর বিনুনির সঙ্গেও তাই করুন। পুরোটা হয়ে গেলে দেখবেন দুটো বিনুনির নীচ দিয়ে চুল খুব সুন্দর করে ফুলে উঠে বেরিয়ে আছে। সেটা দেখতে খুব ভাল লাগবে। 

৪। রোপ ব্রেড বান (Rope Braid Bun)

rope braided bun

ADVERTISEMENT

এটা দেখতে অনেকটা পাকানো দড়ির মতো হয়। তাই এই নাম। প্রথমে ভাল করে চুল আঁচড়ে নিন। ব্যাক কোম্ব করে নিলে আরও ভাল। এবার মাথার মাঝখান থেকে অল্প চুল নিয়ে বিনুনি করে সেটা পেঁচিয়ে বেঁধে নিন। এবার যে পরিমাণ চুল ছাড়া আছে, সেখান থেকেও চুল নিয়ে আবার একটা বিনুনি করে পেঁচিয়ে বেঁধে নিন। এভাবে তিনটে কী চারটে বিনুনি বেঁধে নিন। এবার প্রথম বিনুনি গুটিয়ে ক্লিপ দিয়ে আটকে দিন। তার নীচে দ্বিতীয় এবং তার নীচে তৃতীয় বিনুনি আটকে গুটিয়ে দিন। এদিকওদিক থেকে যদি চুলের গুছি বেরিয়ে আসে, তা হলে সেটা ঠিক করার দরকার নেই। এই স্টাইল একটু মেসিই ভাল লাগে।   

৫। বান উইথ সাইড ব্রেড (Bun With Side Braid)

এই হেয়ারস্টাইল আর কিছুই না, বিনুনি আর খোঁপার একটা যুগলবন্দি গোছের। প্রথমে মাঝখানে সিঁথি করে চুল দু’ভাগে ভাগ করে নিন। এবার দু সাইড দিয়ে দুটো বিনুনি বাঁধুন। বিনুনি দু’টি একদম সিঁথি যেখানে শুরু হচ্ছে সেই ধার দিয়ে বাঁধবেন। এবার মাথার ক্রাউন অঞ্চল একটু ফুলিয়ে মোহক মতো করে একটা পনিটেল বাঁধুন।খেয়াল রাখবেন, পনিটেল বাঁধার সময় সব চুল নিয়ে নেবেন, এমনকী, ঘাড়ের কাছের চুলও যাতে বাদ না যায়। এবার সেই পনিটেল দিয়ে একটা বিনুনি বেঁধে সেটা ঘুরিয়ে নিয়ে খোঁপা করে নিন। আগে দু’ সাইডে যে বিনুনিদুটো করেছিলেন, সেটা নিয়ে ওই খোঁপার সঙ্গে পিন দিয়ে আটকে দিন।   

 To Buy Hair Accessories for Bun Click Here  

লম্বা চুলের জন্য হেয়ারস্টাইল (Hairstyles For Long Hair):

যাঁদের প্রায় কোমর পর্যন্ত লম্বা চুল তাঁরা নানাভাবে হেয়ারস্টাইল (Hairstyles) করতে পারেন। চুলের দৈর্ঘ্য তাঁদের কাছে একটি বাড়তি সুবিধা।

ADVERTISEMENT

১। সহজ প্যাঁচে বাজিমাত (Easy Twisted Bun)

lomba chul 1

source:cutediyprojects 

শুধু কায়দা করে চুলের কয়েকটা প্যাঁচ দিলেই আপনি এই হেয়ারস্টাইল করতে পারবেন। দু’ পাশ থেকে চুল নিয়ে প্যাঁচ দিয়ে পিছনে এক জায়গায় করুন। এবার দুটো প্যাঁচালো অংশ গার্ডার দিয়ে বেঁধে ছেড়ে দিন। প্যাঁচালো অংশে হেয়ার স্প্রে লাগিয়ে দিন যাতে সেটা ঘেঁটে না যায়। এবার চুলের নীচের দিকে যে অংশ ছাড়া আছে, সেটুকু নিয়ে উল্টো দিকে ঘুরিয়ে ওই আগের প্যাঁচের মধ্যে ঢুকিয়ে দিন। 

২। স্লিক ভিক্সেন হেয়ারস্টাইল (Sleek Vixen Hair Style)

যাঁদের চুল সোজা তাঁদের এটা ভাল মানাবে। চুল সোজা না হলে স্ট্রেটনিং করিয়ে নেবেন। এবার প্রথমে এক সাইড থেকে চুল নিয়ে ঘুরিয়ে অন্যদিকে নিয়ে যান। তলা দিয়ে যেন বাকি চুল বেরিয়ে থাকে। যে অংশটি ঘুরিয়েছেন সেটিকে ফাঁক করে আলাদা আলাদা সেকশন তৈরি করে পিন দিয়ে আটকান। অন্যদিকের চুল ওই সেকশানগুলোর ফাঁক দিয়ে ঢুকিয়ে দিন। যে অংশটুকু বেরিয়ে থাকবে, সেখানে চুল দিয়েই ছোট্ট একটা নট বাঁধুন আর বাকি চুল খোলা রেখে দিন। 

ADVERTISEMENT

৩। র‍্যাপড ব্রেড পনিটেল (Rope Braid Ponytail)

lomba chul 2

lomba chul 2a

এখানেও বিনুনি আছে, কিন্তু সেটা র‍্যাপিং স্টাইলে! একটু সাইড করে মাথার চুলের কিছুটা অংশ বেঁকিয়ে এক দিকে নিয়ে আসুন। এবার ক্রিস ক্রস অবস্থায় চুল রাখুন। যেদিকটা ঘুরিয়ে নিয়ে এসেছেন সেই অংশ গার্ডার দিয়ে পনিটেলের মতো করে বেঁধে নিন। আর তলা দিয়ে যে অংশ বেরিয়ে আছে সেই অংশ দিয়ে বিনুনি বেঁধে সেটা ওই পনিটেলের গোড়ার দিকে জড়িয়ে পিন দিয়ে আটকে দিন।   

৪। বো বান হেয়ারস্টাইল (Bow Bun Hairstyle)

এই খোঁপা দেখতে একটা বো টাইয়ের মতো দেখতে হয়, তাই এই নামকরণ। প্রথমে সব চুল মাথার উপর তুলে ফুলিয়ে একটা খোঁপা বেঁধে নিন। খুব টাইট করে বাঁধবেন না। খোঁপার মাঝখান দু’ভাগে হাত দিয়ে ভাগ করে নিন। এবার সামনে থেকে বেশ খানিকটা চুল বের করে সেটা এই ফাঁক করা চুলের মাঝখান দিয়ে নিয়ে গিয়ে পিছনে আটকে দিন। এবার চুলের দুই পাশ চিরুনির পিছন দিয়ে একটু উঠিয়ে ফাঁপিয়ে দিন। দেখবেন একদম বোয়ের মতো লাগছে।   

ADVERTISEMENT

৫। ডাবল টুইস্ট হেয়ারস্টাইল (Double Twist Hairstyle)

 long hair 3

এখানেও একটু প্যাঁচ দিতে হবে! তাও আবার দু’দুবার। প্রথমে একটা পনিটেল বেঁধে দিন। এবার ঠিক যে জায়গায় গার্ডার দিয়েছেন তার উপরে আঙুল দিয়ে ফাঁক করুন। এবার যে পনিটেল ঝুলছে সেটা ওই ফাঁক দিয়ে গলিয়ে বের করে দিন। এই হল প্রথম প্যাঁচ। এবার প্রথম প্যাঁচ দিয়ে বের করার পর যেটুকু অংশ বাকি থাকবে সেটা গুটিয়ে ওই প্রথম প্যাঁচের সঙ্গে পিন দিয়ে আটকে দিন।  

চুলের ধরন অনুযায়ী হেয়ারস্টাইল (Hairstyles By Hair Type):

হেয়ারস্টাইলের শ্রেণিবিভাগ শুধুই চুলের দৈর্ঘ্যের ভিত্তিতে করা ঠিক নয়। কারণ, এক-এক জনের চুলের টেক্সচার এক-এক রকম। কারও চুল সোজা, কারও ঢেউ খেলানো, কারও কোঁকড়া আবার কারও পাতলা। চুলের ধরন আলাদা হলে হেয়ারস্টাইলও সেই মতো করতে হবে। কারণ, কোঁকড়া চুলে যে স্টাইল মানায় সেটা সোজা চুলে ভাল না-ও লাগতে পারে।  

সোজা চুলের জন্য হেয়ারস্টাইল (Hairstyles For Straight Hair)

১। সিম্পল বিনুনি (Simple Braid)

সোজা চুলে সাদামাটা বিনুনি বেশ ভালই লাগে। একটু অন্যরকম দেখাতে চাইলে বিনুনির ফাঁকে-ফাঁকে ফুল বাঁ দেখতে সুন্দর কাঁটা গুঁজে দিন।

ADVERTISEMENT

২। হাত খোঁপা (Easy Bun)

এটা করতে যেমন সহজ, তাড়াতাড়ির সময় তেমনই কাজে দেয়। শুধু চুলে প্যাঁচ দিয়ে ঘুরিয়ে একটা খোঁপা বেঁধে নিলেই হল।  

৩। মেসি হাইলাইটেড কার্ল (Messy Highlighted Curly)

চুলের তলার অংশ কার্ল করে নিন। এবার ইনস্ট্যান্ট কালারিং দিয়ে সেই কার্ল করা অংশ হাইলাইট করে নিন। চুল খোলা রাখবেন, দেখতে ভাল লাগবে।    

৪। টুইস্ট অ্যান্ড টার্ন (Twist and Turn)

অল্প করে চুল নিয়ে পেঁচিয়ে-পেঁচিয়ে এক জায়গায় নিয়ে যান। এবার সব কটা প্যাঁচ এক জায়গায় করে বেঁধে নিন। খুব সুন্দর লাগবে দেখতে।

৫। ওয়াটারফল হেয়ারস্টাইল (Waterfall Hairstyle)

প্রথমে সাইডে সিঁথি করুন। এবার এক দিক থেকে একটা বিনুনি করুন। একটু সরু বিনুনি করবেন। বিনুনিটা ঘুরিয়ে এক দিকে আটকে দিন। এবার সামনে থেকে চুল নিয়ে আলাদা করে ভাগ করুন। সেটাও সরু করে ভাগ করবেন। এবার ওই বিনুনির ফাঁক দিয়ে চুল অল্প-অল্প করে ঠেলে ঢুকিয়ে দিন।     

ADVERTISEMENT

কোঁকড়া ও ঢেউ খেলানো চুলের জন্য হেয়ারস্টাইল (Hairstyles For Curly Hair)

এই ধরনের চুলের একটা সমস্যা হল যে, এই চুল সহজে ম্যানেজ করা যায় না। তাই এই জাতীয় চুল হলে যথা সম্ভব সিম্পল হেয়ারস্টাইল করবেন। 

১। স্ন্যাচড পনিটেল (Snatched Ponytail)

চুলের সামনের দিকটা স্ট্রেট করিয়ে নিন বা জেল লাগিয়ে নিন। এবার টেনে আঁচড়ে বা ব্যাক কোম্ব করে বাকি চুল ছেড়ে দিন। এতে চুলের ঢেউ খেলানো ভাব ভাল বোঝা যাবে। 

২। পাইনঅ্যাপল হেয়ারস্টাইল (Pineapple Hairstyle)

সব চুল একসাথে একজায়গায় করে উঁচু করে একটা পনিটেল বেঁধে নিন। চুল যেহেতু কোঁকড়া বাঁ ঢেউ খেলানো সেটা সামনের দিকে ছড়িয়ে দিন। 

৩। খোলা চুল (Open Hair)

যাঁদের চুল খুব কোঁকড়া তাঁদের জন্য এই হেয়ারস্টাইল। যেহেতু আপনার চুল স্বাভাবিক ভাবেই কোঁকড়া তাই না আছে আপনার পার্মিংয়ের প্রয়োজন, আর না আছে আপনার কার্ল করার দরকার! চুল খোলা রাখুন। কিছু অংশ পিছনে টেনে একটা সুন্দর ক্লিপ লাগিয়ে দিন। জলপ্রপাতের মতো সুন্দর লাগবে এই চুলের ঢাল।  

ADVERTISEMENT

৪। রিবন হেয়ারস্টাইল (Ribbon Hairstyle)

চুলের গোড়া শক্ত করে একটা পনিটেল বাঁধুন। এবার কিছুটা অংশ ফুলিয়ে সেই অংশ রিবন দিয়ে বাঁধুন। আবার কিছুটা অংশ ছেড়ে কিছুটা অংশ নিয়ে রিবন দিয়ে বাঁধুন।   

৫। স্পেস বানস (Space Bun)

মাঝখানে সিঁথি করে দু’দিকে দুটো খোঁপা বেঁধে নিন। সামনে দিয়ে আপনার স্বাভাবিক ঢেউ খেলানো চুলের দু’-এক গুছি বের করে দিন।  

৬। পাতলা চুলের জন্য হেয়ারস্টাইল (Hairstyles For Thin Hair)

বুঝতেই পারছেন চুল যেহেতু কম বা পাতলা, তাই এমনভাবে হেয়ারস্টাইল করতে হবে যাতে চুলের ভলিউম বেশি দেখায়।

৭। স্কার্ফ ব্রেড (Scarf Braid)

এটা আর কিছুই না সাদামাটা বেণীর সঙ্গে স্কার্ফ জড়িয়ে বাঁধা। একটা দেখতে সুন্দর রংচঙে স্কার্ফ নিন। এবার বেণী বাঁধার সময় সেটাও পেঁচিয়ে নিন। এতে চুলের ভলিউম বেশি দেখাবে।  

ADVERTISEMENT

৮। টুইস্টেড বান (Twisted Bun)

চুল ব্যাক কোম্ব করে একটা পনিটেল বাঁধুন। এবার সেটা তলা দিয়ে ঘুরিয়ে গার্ডারের পিছন দিক দিয়ে ঢুকিয়ে দিন। ঢুকিয়ে দেওয়ার পর যে অংশ বেরিয়ে আসবে সেটা উপর দিয়ে পেঁচিয়ে পিন আটকে দিন। 

৯। ফ্রন্ট মোহক (Mohawk Hairstyle)

মোহক স্টাইল করলে চুলের ভলিউম ও উচ্চতা দুটোই বেশি দেখায়। সামনেতা মোহক স্টাইল করে নিন আর পিছনে চুল খোলা রাখুন। 

১০। ডাবল বান (Double Bun)

চুল আঁচড়ে পিছনে নিয়ে যান। উপর ও নীচে দুটো ভাগে ভাগ করুন। উপরে একটা আর নীচে একটা খোঁপা বেঁধে নিন। 

১১। মেসি মাল্টি ব্রেড (Messy Multi Braid)

পাতলা চুল যদি নিপাট করে আঁচড়ে নেওয়া হয়, তা হলে সেটা যে পাতলা আরও বেশি করে বোঝা যায়। তাই একটু এলোমেলো চুলই ভাল লাগে। সাইডে সিঁথি করুন। এবার কিছুটা চুল ছেড়ে আর কিছুটা চুলে ছোট-ছোট বিনুনি বেঁধে নিন। চাইলে সাইডে একটা ঝলমলে ক্লাচ ক্লিপ লাগিয়ে নিন।

ADVERTISEMENT

কোন অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন তার উপর ভিত্তি করে হেয়ারস্টাইল (Hair Style For Function):

চুলের দৈর্ঘ্য আর প্রকার ছাড়াও আরও একটি জরুরি বিষয় আছে যার উপর নির্ভর করবে যে, আপনি ঠিক কী ধরণের হেয়ারস্টাইল করবেন।   

দিনের বেলার অনুষ্ঠানের জন্য হেয়ারস্টাইল (Hairstyles For Day Function)

১। খোলা চুলে কার্ল অ্যান্ড পিন (Open Hair, Curl and Pin)

চুল খোলা রাখুন এবং পিছন দিকটা কিছুটা কার্ল করে নিন। এবার সেখানে ছোট-ছোট ঝকমকে পিন বসিয়ে দিন।

২। খোলা চুলে স্কার্ফ বা ব্যান্ড (Open Hair, Scarf or Band)

প্রিন্টেড স্কার্ফ বা ওড়না ব্যান্ডের মতো মাথায় পেঁচিয়ে নিন। দেখতে ভাল লাগবে।

৩। সাইড ব্রেইড অ্যান্ড হাফ হেয়ারডু স্টাইল (Side Braid and Half Hair Do Style)

দু’দিক থেকে বাঁ একদিক থেকে একটা বিনুনি বেঁধে পিছনে আটকে দিন আর বাকি চুল খোলা রাখুন।

ADVERTISEMENT

৪। তিনটি বিনুনির হেয়ারস্টাইল (3 Braid Hairstyle)

চুল তিন ভাগে ভাগ করে নিন। এবার মাঝখানে, আর দুই সাইডে তিনটে বিনুনি বাঁধুন। তলায় বেশ খানিকটা করে চুল ছেড়ে রাখবেন। এবার তিনটে বেণীর তলার যে ছাড়া চুলের অংশ সেটা একসঙ্গে করে আর-একটি বিনুনি বেঁধে নিন।

৫। মেসি ফ্রেঞ্চ টুইস্ট (Messy French Twist)

চুল না আঁচড়ে একদিকের চুল ঘুরিয়ে ফ্রেঞ্চ রোলের মতো বেঁধে নিন। সামনে আর পিছন থেকে দু’-একটা চুলের গুছি বের করে দিন। 

সন্ধেবেলার পার্টির জন্য হেয়ারস্টাইল (Hairstyles For Evening Function)

পার্টির হেয়ারস্টাইল যত ছিমছাম হয় তত ভাল। তাই পার্টির হেয়ারস্টাইল হবে একদম সিম্পল, কিন্তু খুব আকর্ষণীয়। 

১। সিম্পল পনিটেল (Simple Ponytail)

শর্ট ব্ল্যাক ড্রেসের সঙ্গে শুধু একটা সুন্দর করে বাঁধা পনিটেল দেখতে ভারি সুন্দর লাগে। তবে এর মধ্যেই যদি একটু নতুনত্ব আনতে চান, তা হলে পনিটেল বাঁধার সময় চুলের গোড়ায় গার্ডার না দিয়ে চুল দিয়েই একটা প্যাঁচ মেরে দিন। তারপর পিন দিয়ে আটকে চুল ছেড়ে রাখুন।

ADVERTISEMENT

২। টপ নট (Top Knot)

সব চুল মাথার মাঝখানে নিয়ে টপ নট করে নিন। চাইলে শুধু মাঝাখানে নট করে সাইডে কিছু চুল ছেড়ে দেবেন।  

৩। রিংলেট বান (Ringlet Bun)

সাইডে সিঁথি করে সব চুল এক সাইডে নিয়ে গিয়ে একটা খোঁপা করুন। একটু ঢিলেঢালা করে খোঁপা বাঁধবেন। এবার খোঁপার উপর থেকেই কিছুটা করে চুল তুলে নিয়ে পেঁচিয়ে গোল করে হেয়ার স্প্রে বা ল্যাকার দিয়ে দিন।   

৪। ডিজনি প্রিন্সেস হেয়ারস্টাইল (Disney Princess Hairstyles)

মাঝখানে সিঁথি করুন। এবার দু’দিক থেকে একটু করে চুল পেঁচিয়ে পিছনে আটকে দিন। এরকম তিন থেকে চার বার রিপিট করে বাকি চুল ছেড়ে দিন।   

৫। কার্ল টেনড্রিল আপডু স্টাইল (Curly Tendrils)

পুরো চুল কার্ল করে নিন। এবার সবটা উপরের দিকে তুলে একটা পনিটেল বেঁধে নিন। কার্লগুলো চারদিকে ছড়িয়ে দিন।     

ADVERTISEMENT

বিয়েবাড়ির জন্য হেয়ারস্টাইল (Hairstyles For Wedding Function)

১। হাফ আপ হাফ ডাউন হেয়ারস্টাইল (Half Up Half Down Hairstyle)

এটা খুবই সহজ এবং বিয়েবাড়ির জন্য দারুণ উপযোগী। চুল খোলা রাখুন। এবার দুই সাইড থেকে চুল নিয়ে পেঁচিয়ে পিছনদিকে ঘুরিয়ে আটকে দিন। বাকি চুল খোলা থাকবে। যে অংশ আটকেছেন সেখানে ফুল বাঁ অন্য অ্যাকসেসরি লাগাতে পারেন।

২। ক্রিস ক্রস বান (Criss Cross Bun)

উপরের দিকে কিছুটা চুল ছেড়ে নীচের দিক মানে ঘাড়ের কাছে একটা খোঁপা করুন। এবার দুই  সাইড থেকে কিছুটা করে চুল নিয়ে ক্রস করে খোঁপার দু’দিক থেকে পেঁচিয়ে দিন। চুলের যে অংশ দিয়ে প্যাঁচ দিচ্ছেন সেখানে ফুল বসানো হেয়ারপিন লাগিয়ে আটকে দিন।  

৩। ঢিলেঢালা বিনুনি (Loose Braid)

শাড়ির সঙ্গে এই অগোছালো বিনুনি বেশ মানায়। আপনি যেভাবে বিনুনি বাঁধেন সেভাবেই করবেন, শুধু একটু লুজ করে বাঁধবেন।   

৪। বোকে বা ফুলের তোড়া বান স্টাইল (Bouquet Style Hair Bun)

এর জন্য চাই নানা রঙের বাঁ সাদা ফুল। চুল টেনে পিছন দিকে নিয়ে একটু লুজ খোঁপা করুন। হাত খোঁপা হলেও চলবে। খোঁপার উপরে ফুলগুলো সুন্দর করে সাজিয়ে দিন অর্থাৎ পিন দিয়ে আটকে দিন। একটু বেশি করে ফুল লাগাবেন যাতে খোঁপা ভরাট দেখায়।   

ADVERTISEMENT

৫। ফক্স স্যাগি বব (Shaggy Bob Hairstyles)

চুল খোলা রেখে বা লুজ খোঁপা বেঁধে নিন। আর সামনে যতটা সম্ভব চুল দুদিক থেকে ঝুলিয়ে দিন।  

হেয়ারস্টাইল নিয়ে কিছু জরুরি প্রশ্ন ও তার উত্তর (FAQs):

১। প্রশ্নঃ হেয়ারস্টাইল মেনটেন করার জন্য কি হেয়ার সেটিং স্প্রে ব্যবহার করা দরকার?

উত্তর: বেশ অনেকক্ষণ বাইরে থাকতে হলে স্প্রে লাগিয়ে নেওয়া ভাল। এতে চুলের স্টাইল বেশ কিছুক্ষণ ঠিক থাকবে এবং সহজে নষ্ট হবে না। 

২। প্রশ্নঃ হেয়ারস্টাইলের মাধ্যমে কি লম্বা দেখানো সম্ভব?

ADVERTISEMENT

উত্তর: হ্যাঁ, কিছুটা সম্ভব। সামনের দিকে বুফো বা মোহক স্টাইল করলে উচ্চতা আপাতদৃষ্টিতে বেশি লাগে। 

৩। প্রশ্নঃ রঙ করা চুলের জন্য কি আলাদা কোনও হেয়ারস্টাইল আছে?

উত্তর: না সেরকম আলাদা কিছু নেই। তবে আপনি যদি নিজের হাইলাইট করা অংশ দেখাতে চান তাহলে সেভাবেই আপনাকে চুল বাঁধতে হবে। 

৪। প্রশ্নঃ হেয়ারস্টাইল করার পর কি কোনও পোস্ট কেয়ার আছে?

ADVERTISEMENT

উত্তর: অবশ্যই। বাড়ি এসে চুলের কাঁটা খুব যত্ন করে খুলতে হবে। চুলে ল্যাকার এবং স্প্রে ব্যবহার করলে একই দিন পর শ্যাম্পু করে নিতে হবে এবং কন্ডিশনার দিতে হবে। তার আগে একবার অয়েল মাসাজ করে নিতে পারলে ভাল হয়। 

৫। প্রশ্নঃ হেয়ারস্টাইল করার সময় আমি কি অ্যাকসেসরি ব্যবহার করতে পারি? কীরকমের অ্যাকসেসরি ব্যবহার করা যায়?

উত্তর: অবশ্যই পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে সবার নজর যেন চুল বাঁধার কায়দার দিকে থাকে, অ্যাকসেসরির দিকে নয়। অ্যাকসেসরি হিসেবে ফুল, সুন্দর হেয়ার পিন, হেয়ার ব্রোচ, ক্লাচ, স্কার্ফ, ব্যান্ড ব্যবহার করতে পারেন।  

POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!

ADVERTISEMENT

আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!

30 May 2019

Read More

read more articles like this
good points

Read More

read more articles like this
ADVERTISEMENT