করোনা (coronavirus) আতঙ্কের জেরে গৃহবন্দি সকলে। লকডাউন চলছে সারা দেশে। এই পরিস্থিতিতে বাড়িতে বসেই কাজ করছেন অনেকে। অর্থাৎ ওয়ার্ক ফ্রম হোম। কিন্তু বাড়ি থেকে কাজ করতে গিয়ে ইন্টারনেটের সমস্যায় ভুগছেন অনেকে। নেট স্লো থাকায় সঠিক সময় কাজ শেষ করতে পারছেন না অনেকেই।
বিশেষজ্ঞরা অনেকের বলছেন, এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের নেট ব্যবহারে লাগাম টানা উচিত। না! নেটের মাধ্যমে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলছেন না তাঁরা। বরং ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চললেই হয়তো সমস্যার সমাধান সম্ভব।
সকালবেলা গুড মর্নিং আর রাতে গুড নাইট মেসেজ এই সময় নাই বা পাঠালেন। করোনা সংক্রান্ত প্রচুর মিম শেয়ার হচ্ছে। সে সবেও লাগাম টানুন। ভাইরাস সংক্রান্ত বহু খবর ভিডিও মাধ্যমে শেয়ার হচ্ছে। তার মধ্যে সবটাই প্রয়োজনীয়, এমন নয়। ফলে সে সব ভিডিও থেকেও বেছে নিয়ে শেয়ার করুন। সারাক্ষণ নেটে সিনেমা না দেখে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যস্ত না থেকে বই পড়া, ছবি আঁকায় মন দিতে পারেন। তাহলে হয়তো যাঁরা বাড়ি থেকে কাজ করছেন, তাঁদের কিছুটা সুরাহা হয়।
কিন্তু আপনি শুধুমাত্র অন্যের কবে বোধদয় হবে, তার উপর ভরসা না করে থেকে নিজের বাড়িক ওয়াইফাইকে (wifi) আরও মজবুত করে তুলুন। কী কী করতে পারেন আপনি?
১) আপনার বাড়ির রাউটারকে 5GHz-এ কনভার্ট করার চেষ্টা করুন। এই কানেকশনে বাধা কম পাবেন।
২) বাড়ির যে জায়গায় রাউডার রেখেছেন, সেখান থেকে সিগন্যালের সমস্যা হলে বাড়ির অন্য কোনও অংশে রাউডার সরিয়ে নিয়ে রাখতে পারেন। এতে আপনার সমস্যা কিছুটা হলেও সমাধান হতে পারে।
৩) বাড়ি থেকে কাজের সময় নেট ব্যবহার করে সিনেমা দেখা, সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ থাকাটা বন্ধ করুন। এতে নেটের উপর চাপ বাড়বে। ফলে স্পিড কমে যাবে। লক্ষ্য করলে দেখবেন, একই পরিবারের অনেকে একসঙ্গে নেট ব্যবহার করলে তার স্পিড কমে যাবে।
৪) পুরনো রাউডার হলেও ইন্টারনেটের স্পিড কমে যায়। ফলে রাউডার বদলে নেওয়ার সুবিধে থাকলে সেটা কাজে লাগান।
৫) ইন্টাননেটের স্পিড কম হলে মাঝেমধ্যে, প্রয়োজন হলে প্রতিদিন রাউডার রিসেট করে দেখতে পারেন।
করোনা পরিস্থিতির দিন দিন অবনতি হচ্ছে। এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শুধুমাত্র সেখানেই দেড় লক্ষের কাছাকাছি মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার মানুষের। মৃতের তালিকায় কেবলমাত্র নিউইয়র্ক থেকেই রয়েছেন প্রায় আটশো জন। তবে বিশ্ব জুড়ে মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে এখনও এগিয়ে রয়েছে ইটালি। সে দেশে সংক্রমিতের সংখ্যাও প্রায় এক লক্ষ। এ ছাড়া, স্পেন, ফ্রান্স, ইরানেও চলছে মৃত্যুমিছিল। তবে অনেকটাই আয়ত্তে এসেছে চিনের পরিস্থিতি। হুবেই প্রদেশে লাগাতার ছ’দিন ধরে নতুন কোনও সংক্রমণ ধরা পড়েনি। কিন্তু বাইরে থেকে আসা আক্রান্তরা নতুন করে আশঙ্কা বাড়াচ্ছে চিনে। সেই ধাক্কা সামলাতে নতুন করে প্রস্তুতি নিচ্ছে বেজিং।
ফলে আপনাকে ঠিক কতদিন গৃহবন্দি অবস্থায় কাজ চালিয়ে যেতে হবে, তা এখনও জানেন না। তাই ইন্টারনেটের স্পিড বাড়াতে এই কাজগুলো করতে পারেন।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
২০২০ শুরু করুন আমাদের দারুণ দারুণ প্ল্যানার আর স্টেটমেন্ট সোয়েটশার্ট দিয়ে। এগুলো সবকটাই আপনারই মতো একশ শতাংশ মজার এবং অসাধারণ! ওহ হ্যাঁ, শুধুমাত্র আপনার জন্য রয়েছে ২০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থাও। দেরি কিসের আর, এখনই POPxo.com/shop থেকে কেনাকাটা সেরে ফেলুন আর নিজেকে আরেকটু পপ আপ করে ফেলুন!