বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের জীবনে দায়িত্বও অনেক বেড়ে যায়। মানসিক দিক থেকে আমরা অনেক পরিণত হয়ে উঠি। কেরিয়ারে উন্নতি হয়, আমরা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠি। কিন্তু এগুলো হল বয়স বাড়ার ভালো দিক। শরীর আর মনের দিকে আমরা যেমন পরিণত হয়ে উঠি ঠিক সেরকমই আমাদের ত্বকও পরিণত হয়ে যায়। আগের সেই লাবণ্য আর আভা আর থাকে না। ত্বক বুড়িয়ে যেতে শুরু করে। চোখের আশেপাশে বলিরেখা দেখা দেয়, গাল আর কপালের চামড়া কুঁচকে যায়। তবে এত চিন্তার কিছু নেই। সময় থাকতে থাকতে ঠিকঠাক রুটিনমাফিক যত্ন (Skincare Routine for Aging Skin In Bengali) নিলে ত্বকের এই বুড়িয়ে যাওয়া (Aging Skin) অনেকটাই রোধ করা সম্ভব।
এজিং ত্বকের জন্য স্কিন কেয়ার রুটিন
এজিং বা পরিণত (Aging Skin) বয়সের দিকে এগিয়ে চলা একটি স্বাভাবিক পদ্ধতি। প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রেই এটা হয়ে থাকে। আমাদের ত্বক অল্প বয়সে টানটান থাকে কারণ তখন আমাদের ত্বকের দুটি প্রধান টিস্যু ইলাসটিন আর কোলাজেন স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই দুটি টিস্যু দুর্বল হয়ে পড়ে ফলে আমাদের ত্বক তার ইলাসটিসিটি বা টানটান ভাব হারিয়ে ফলে। তাছাড়াও আমাদের ত্বকের উপরিভাগ অর্থাৎ এপিডারমিস আস্তে আস্তে পাতলা হয়ে যায়। তাই বাইরের ধুলো ধোঁয়া আর দূষণ ত্বককে তাড়াতাড়ি প্রভাবিত করে ফেলে। তখনও অতি দ্রুত ত্বক বুড়িয়ে যেতে শুরু করে।
দিনে হোক বা রাতে একটা অর্ডার মেনে চলা খুব প্রয়োজন। অনেকেই জানেন না কোন প্রসাধনীর পরে কোনটা ব্যবহার করতে হয়। চাকরি করতে, বাজার করতে বা ছেলে মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিতে অনেক মহিলাকেই সকালবেলা বাড়ির বাইরে বেরোতে হয়। তাই সকালবেলার স্কিন কেয়ার রুটিন এমনভাবে করতে হবে যাতে সকালে বাইরে বেরোলে সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মি, ধুলো, ধোঁয়া ও দূষণের হাত থেকে ত্বককে (Anti Aging Skin Care Routine) রক্ষা করা যায়।
ঘুম থেকে উঠেই ঈষদুষ্ণ/ঠাণ্ডা (ঋতু অনুযায়ী) জল দিয়ে মুখে ঝাপটা দিন। তারপর আপনার ত্বকের উপযোগী কোনও ফেস ক্লিনজার (Face Cleanser) দিয়ে মুখ পরিষ্কার (Clean) করে নিন।
POPxo Recommends Cetaphil Skin Cleanser
ক্লিনজার ব্যবহার করার পরেই অনেকেই এই দ্বিতীয় ধাপটি (Skin Care Regimen) এড়িয়ে যান। আমাদের মনে একটা ভ্রান্ত ধারণা আছে যে টোনার ত্বকের পক্ষে ক্ষতিকর। যদিও এই ধারণা একদমই ভুল। ত্বকের প্রকার অনুযায়ী টোনার বাজারে পাওয়া যায়। অনেক টোনারেই ভিটামিন-বি এবং অ্যাণ্টি-অক্সিডেন্ট (Anti-Oxidant) থাকে, যা ত্বকের পক্ষে উপযোগী। তবে টোনারের মূল কাজ হল ত্বকের পিএইচ সমতা (PH Balance) বজায় রাখা। আপনার ক্লিনজার যদি সেই কাজ করতে সক্ষম হয়ে থাকে তাহলে এই দ্বিতীয় ধাপটি মাঝে মধ্যে স্কিপ করলেও সমস্যা নেই। টোনার যখনই কিনবেন আগে নিজের ত্বকের (Anti Aging Skin Care Routine) প্রকার সম্পর্কে জেনে নেবেন। অ্যালকোহলযুক্ত টোনার ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নিয়ে ত্বক শুষ্ক করে তোলে আবার ওয়াটারযুক্ত টোনার ত্বকের উপযোগী উপাদান বিশেষ একটা থাকে না। এইসব কথা মাথায় রেখে তবেই পছন্দসই টোনার কিনবেন।
POPxo Recommends The Face Shop Chia Seed Hydrating Toner
সিরাম হচ্ছে এমন একটি প্রসাধনী যা ঘন হয় এবং এতে অনেক উপকারি উপাদান থাকে। তাই টোনার স্কিপ করলেও সিরাম স্কিপ করা একদম উচিৎ হবে না। দিনের বেলা ব্যবহার করার জন্য অ্যাণ্টি অক্সিডেন্ট সিরামই (Antioxidant Serum) সবচেয়ে ভালো। কারণ এটি ত্বকের জ্বালা দূর করে এবং দূষণ ও সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
POPxo Recommends Estee Lauder DayWear eye Cooling Anti Oxidant Moisture Gel Creme
সাধারণত মেয়েদের উচিৎ কুড়ির কোঠায় বয়স হলেই দিনে অন্তত দুবার আইক্রিম ব্যবহার করা। আমরা অনেকেই জানি আমাদের মুখের ত্বকের প্রকার এবং চোখ ও চোখের চারপাশে ত্বকের প্রকার আলাদা। চোখের চারপাশে ত্বকের প্রকার অনেক বেশি স্পর্শকাতর বা ডেলিকেট হয়। তাই তার জন্য এমন আইক্রিম বেছে নেওয়া উচিৎ যা ফাইন লাইনস (Fine Lines) বা বলিরেখা (Wrinkles) এবং কোলাজেন (Collagen) নষ্ট হওয়া রোধ করতে পারে। ত্বক বিশেষজ্ঞরা তাই পরামর্শ দিয়ে থাকেন এসপিএফযুক্ত আই ক্রিম ব্যবহার করতে। যাতে সূর্যের রশ্মি কোনও ক্ষতি করতে না পারে। যদিও একটা কথা মাথায় রাখা খুব প্রয়োজন। আপনি যদি এতদিন কোনও আইক্রিম ব্যবহার না করে থাকেন তাহলে হঠাৎ করে আইক্রিম লাগাতে শুরু করলেই কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে ফল পাবেন না। তবে হতাশ হওয়ার কোনও দরকার নেই। বেশ কিছুদিন আইক্রিম (Eye Cream) ব্যবহার করলে আপনি ধীরে ধীরে এর সুপ্রভাব পাবেন।
আপনার মুখে যদি অ্যাকনে থাকে তাহলে এই পঞ্চম ধাপটি আপনার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে তার আগে কোনও রূপ বিশেষজ্ঞ বা ত্বক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া বিশেষ প্রয়োজন। সাধারণত বেঞ্জল প্যারক্সাইড আছে এমন কোনও ক্রিম দিয়ে স্পট ট্রিটমেন্ট করা যায়। তবে খেয়াল রাখবেন স্পট ট্রিটমেন্ট কিন্তু ত্বক শুষ্ক করে দেয়। তাই সারা মুখে এই ক্রিম কখনওই লাগাবেন না। ঠিক যতটা প্রয়োজন এবং যে জায়গায় অ্যাকনে হয়েছে সেখানেই লাগাবেন।
ত্বকের যত্নে সবচেয়ে দরকারি জিনিস হল এই ময়েশ্চারাইজার (Moisturizer)। যারা মনে করেন তাদের ত্বক তৈলাক্ত বলে তাদের ময়েশ্চারাইজার লাগবে না, তারা একদমই ভুল ভাবেন। কারণ তৈলাক্ত ত্বকেরও ময়েশ্চারাইজারের প্রয়োজন পড়ে। এমনিতেই আমাদের ত্বক থেকে কিছু স্বাভাবিক সেবাম বা তেল বেরোয় যা আমাদের ত্বককে পিচ্ছিল ও তৈলাক্ত রাখে। তা স্বত্বেও আমাদের আলাদা করে ময়েশ্চারাইজারের প্রয়োজন হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন ত্বক যখন ভেজা থাকে তখনই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিৎ। কারণ ময়েশ্চারাইজার ত্বকের (Ageing Skin) উপর একটি তৈলাক্ত আবরণ সৃষ্টি করে যার ফলে ভেজা ভেজা ভাব বা আর্দ্রতা ত্বকের মধ্যে আটকে থাকে।
দিনের বেলার জন্য ত্বকের রুটিন কেয়ারের সপ্তম ও শেষ ধাপ হল সানস্ক্রিন। সানস্ক্রিন ব্যবহার করার আগে কয়েকটা দরকারি কথা মাথায় রাখতে হবে। আপনি যদি রাসায়নিকযুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন তাহলে সেটা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার বেশ কিছুক্ষণ পরে লাগাবেন। যদি আগে সানস্ক্রিন লাগিয়ে পরে ময়েশ্চারাইজার লাগান তাহলে এই ময়েশ্চারাইজার কোনও কাজেই আসবে না কারণ ততক্ষণে সানস্ক্রিনের রাসায়নিক ত্বকের (Ageing Skin) উপর একটি আবরণ তৈরি করে ফেলেছে।তাই রাসায়নিকযুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহারের চেয়ে খনিজ যেমন জিঙ্কযুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা অনেক বেশি কার্যকরী হবে।
রাতের বেলা ত্বক নিজে নিজেই খানিকটা নিরাময়ের কাজ করে। তাই রাতের স্কিন কেয়ার রুটিনের মূল উদ্দ্যেশ্য হল ত্বকের এই প্রক্রিয়াকে আরেকটু ত্বরান্বিত করা।
ডাবল ক্লিনজার একটি পদ্ধতি যেখানে প্রথমে মুখের মেকআপ, ধুলো, ময়লা সব একটি ক্লিনজিং তেল দিয়ে তুলে ফেলা হয় এবং তারপর হাল্কা ফেসওয়াশ দিয়ে আবার মুখ ধুয়ে নিয়ে নেওয়া হয়। যদি আপনি ফেসওয়াশের পরিবর্তে স্ক্রাব ব্যবহার করতে চান তাহলেও আগে মেকআপ তুলে তারপর স্ক্রাবিং করবেন।
টোনারের ব্যবহার সকালে যেভাবে করেছেন রাতেও সেইভাবেই করবেন। অনেকে রাত্রিবেলা ত্বককে একটু আলাদা যত্ন করতে চান আর তাই তারা এসেন্স ও বুস্টার ব্যবহার করেন। এই বুস্টারগুলি হল মিস্ট (Mist), এসেন্সেস (Essence), বিউটি ওয়াটার, হাইড্রেটিং সেরাম ইত্যাদি। এদের মূল কাজ হল ত্বকে পুষ্টি ও আর্দ্রতা যোগানো। যেহেতু এগুলো জলের মতো পাতলা হয় তাই আগে জল দিয়ে মুখ ধুয়ে তারপর এগুলো ব্যবহার (Skin Care Regimen) করবেন। যদি টোনার আর এসেন্স দুটোই ব্যবহার করেন তাহলে আগে টোনার তারপর এসেন্স ব্যবহার করবেন। অনেকেই রাত্রে একাধিক বুস্টার ব্যবহার করেন। সেক্ষেত্রে আগে সবচেয়ে পাতলা বুস্টার তারপর সব শেষে সবচেয়ে ঘন বুস্টার ব্যবহার করবেন।
আইক্রিম শুধু ফাইন লাইন (Fine Lines) ও ডার্ক সার্কলই (Dark Circles) রোধ করে না অন্যান্য প্রসাধনী যা আপনি মুখে ব্যবহার করছেন তার থেকেও চোখের আশেপাশের সূক্ষ্ম ত্বককে (Ageing Skin) রক্ষা করে। তাই রাত্রেও এটি ব্যবহার করার প্রয়োজন আছে।
POPxo Recommends Kumkumadi Miraculous Beauty Fluid
রাতের বেলা স্কিন তার নিজস্ব রিপেয়ারিং কাজ নিজেই করে। তাই এই জাতীয় প্রসাধনী বা বিউটি প্রডাক্ট (Beauty Products) রাতেই বেশি ব্যবহার হয়। তবে বাড়িতে আছে বলে বা আপনি পয়সা দিয়ে কিনেছেন বলেই সবগুলো একসাথে ব্যবহার করার কোনও প্রয়োজন নেই। যতটা ত্বকের প্রয়োজন ততটাই ব্যবহার করুন।
আপনার ত্বক যদি একটু বেশি শুষ্ক হয় তাহলে এই ধাপ আপনার জন্য। আপনার ত্বকের যদি একটু বাড়তি আর্দ্রতার প্রয়োজন হয় তাহলে আপনি এই হাইড্রেটিং মাস্ক (Hydrating Mask) বা ফেস অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
POPxo Recommends The Face Shop The Solution Hydrating Face Mask
রাতের স্কিন কেয়ারের সপ্তম ও শেষ ধাপ হল নাইট ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজারের ব্যবহার। নাইট ক্রিম (Night Cream) একটু ঘন হয় কারণ এটি সারারাত কাজ করে। তাই রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে এই ক্রিম লাগালে ত্বকের আর্দ্রতা অনেকটাই ফিরে আসে।
POPxo Recommends Garnier Wrinkle Lift Anti Ageing Cream
ত্রিশের কোঠায় পৌঁছে গেলেই আপনাকে নিয়মিত ক্লিন্সিং, টোনিং আর এক্সফোলিয়েশানের রুটিন শুরু করে দিতে হবে। অ্যানটি অক্সিডেন্ট সেরাম লাগানো ভুলবেন না। তবে এই সময় সবচেয়ে জরুরি হল রেটিনল। কারণ এতে আছে ভিটামিন এ। এটি ত্বকের (Aging Skin) অনেক গভীরে গিয়ে কাজ করে। এছাড়া চোখের নিচে আইক্রিম লাগানো এবং বাইরে বেরোলে এসপিএফযুক্ত সানস্ক্রিন লাগানো বাধ্যতামূলক।
ত্রিশের কোঠা থেকে যে রুটিন আপনি শুরু করেছেন সেটাই মোটামুটি ফলো করবেন। তবে দিনের বেলা ব্রাইটনিং এজেন্টযুক্ত ক্রিম লাগাবেন। কারণ চল্লিশ বছর থেকে ত্বকে (Aging Skin) পিগমেনটেশানের সমস্যা দেখা দেয়। আইক্রিম, ময়েশ্চারাইজার আগের মতই ব্যাবহার করবেন। রাত্রিবেলা রেটিনল আর ফেসঅয়েল ব্যাবহার করবেন। কারণ এই সময় অতিরিক্ত মাত্রায় আর্দ্রতা প্রয়োজন। রাত্রে স্লিপিং মাস্কও ব্যবহার করতে পারেন।
পঞ্চাশের কোঠা পাড় করে গেছেন মানে আপনার ত্বক যথেষ্ট পরিমাণে পরিণত হয়ে গেছে। সুতরাং এই সময় এমন প্রোডাক্ট ব্যবহার করবেন যাতে এজ ডিলেইং উপাদান আছে। রেটিনল এমন বেছে নেবেন যার ঘনত্ব খুব একটা বেশি নয়। এক্সফোলিয়েটিং ক্রিম এমন বেছে নেবেন যেটা খুব হাল্কা হয় কারণ কড়া এক্সফলিয়েটারে (Anti Aging Skin Care) এই সময় ত্বকের ক্ষতি হয়। আইব্রো আর আইল্যাশের জন্য এই সময় কনডিশানার প্রয়োজন হয়। এতে আইব্রো আর আইল্যাশ অনেক তরুণ লাগে।
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করে। বিশেষ করে পরিণত বয়সে এলে এই আলো বেশি করে ত্বকের গভীরে পৌঁছে যায় কারণ ত্বকের উপরিভাগ পাতলা হয়ে যায়। তাই বাইরে বেরোলে ছাতা নেবেন এবং অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগাবেন।
প্রতিদিনের খাবারে বেশি করে তাজা শাক সবজি আর ফল রাখুন। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডযুক্ত খাবার আর ভিটামিন ও খনিজযুক্ত খাবার বেশি করে খান। যতটা সম্ভব ধূমপান ও মদ্যপান এড়িয়ে চলুন।
প্রতিদিন আপনার ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা ভালো ঘুমের প্রয়োজন আছে। যদি ঠিকঠাক ঘুম না হয় তাহলে আপনাকে অনেক বয়স্ক দেখাবে। ভালো করে ঘুমোন। ঘুমোনোর আগে মোবাইল ফোন বা অন্য কোনও গ্যাজেট ব্যবহার না করাই ভালো। যতটা সম্ভব স্ট্রেস থেকে দূরে থাকুন। ভালো সিনেমা দেখুন, গান শুনুন, বই পড়ুন।
দিনের পর দিন বালিশে মুখ গুঁজে শুলে আপনার মুখে ‘স্লিপ লাইনস’ পড়বে। আগামী দিনে সেটাই বলিরেখা হয়ে দেখা দেবে। আপনার যদি এরকম অভ্যেস থাকে তাহলে এখনই সেটা ত্যাগ করুন।
তিরিশের পর থেকেই অ্যানটি এজিং ক্রিম ও সেরাম ব্যবহার করুন। এগুলো শুধু বলিরেখা রোধ করবে না। আপনার মুখে (Anti Aging Skin Care) এক সুন্দর আভা নিয়ে আসবে।
ক্লিন্সিং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং এর রুটিন কখনও মিস করবেন না। প্রতিদিন নিয়ম মেনে এটা করুন।
টিভির বিজ্ঞাপন দেখে বা কারও কথা শুনে ময়েশ্চারাইজার কিনবেন না। সেটা কিনুন নিজের ত্বকের প্রয়োজন অনুযায়ী। বয়স যত বাড়ে ত্বকের তত বেশি আর্দ্রতার প্রয়োজন হয়। সেটা মাথায় রেখে ময়েশ্চারাইজার কিনবেন।
যত দামী সাবানই হোক না কেন, সাবান দিয়ে কখনওই মুখ ধোবেন না। সাবান আপনার ত্বক শুষ্ক করে দেবে এবং শুষ্ক ত্বকে তাড়াতাড়ি বলিরেখা পড়ে। হাল্কা ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন মুখ ধোয়ার জন্য।
ত্বককে শুধু বাইরে থেকে আর্দ্রতা দিলে হবে না। আর্দ্রতা দিতে হবে ভিতর থেকে। তাই প্রতিদিন অন্তত ১২ গ্লাস জল পান করুন। দেখবেন আপনাকে অনেক বেশি উজ্জ্বল ও কম বয়সী দেখাচ্ছে।
নাইট ক্রিমে আর্দ্রতা থাকে। আর রাত্রেই এই জাতীয় ক্রিম সবচেয়ে ভালো কাজ করে। তাই রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে নাইট ক্রিম লাগান।
দুধে আছে প্রোটিন, অ্যামাইনো অ্যাসিড ও ভিটামিন যা ত্বকে পুষ্টি যোগায়। প্রতিদিন এক গ্লাস করে দুধ খেলে আপনার জেল্লা এমনিই বাড়বে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!