বেড়াতে (travel) যেতে কে না ভালোবাসে, কিন্তু বেড়াতে যাবো বললেই তো আর সঙ্গে সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া হয়না, তার জন্য কিছু প্রস্তুতি নিতেই হয়। ভালো থাকার জায়গা, জাওয়া-আসার টিকিট, খাওয়া-দাওয়া, কেনাকাটা, এদিক-ওদিক ঘোরা, সবকিছুই আগে থেকে প্ল্যান করতে হয়। আর এই সবের জন্য কিন্তু টাকার প্রয়োজন। কথাটা শুনতে একটু খারাপ লাগলেও এটাই সত্যি! মধ্যবিত্তের বেড়াতে যাবার জন্যও একতা বাজেট তৈরি করা দরকার। কিন্তু প্রতিদিনের খরচ মিটিয়ে সেই বাজেট তৈরি করাটাই একেক সময়ে ঝক্কি বলে মনে হয়। তবে একটু বুদ্ধি করে যদি প্ল্যান করেন, তাহলে কিন্তু বেড়াতে যাবার জন্য বেশ কিছু টাকা (money) আপনি অনায়াসে সঞ্চয় করতে পারেন। এখানে কয়েকটা টিপস (tips) দিচ্ছি, পরের বার যখন বেড়াতে যাবেন তার আগে কাজে লাগতে পারে।
সাধারণত, মধ্যবিত্ত পরিবারে প্রতিটি কাজের জন্যই আলাদা আলাদা ফান্ড থাকে, অর্থাৎ সংসার খরচের জন্য বরাদ্দ টাকা, ছেলে-মেয়ের স্কুল বা কলেজের ফি-এর জন্য বরাদ্দ টাকা ইত্যাদি। সেরকমই সারা বছর ধরে অল্প অল্প করে টাকা জমানো আরম্ভ করতে পারেন আপনি, ‘বেড়াতে যাবার জন্য বরাদ্দ’ – এই হিসেবে।
কোন সময়ে বেড়াতে যাচ্ছেন তার ওপরে কিন্তু খরচের বারা-কমা নির্ভর করে। ধরুন আপনি যদি সিজনে বেড়াতে যান তাহলে আপনার খরচ অনেকটাই বেশি পড়বে। কিন্তু আপনি যদি অফ সিজনে বেড়াতে যান তাহলে অর্ধেক খরচে আপনার বেড়ানো হয়ে যাবে এবং সেটাও ভালো ভাবে।
অনলাইন বুকিং করার সময়ে বেশ কয়েকটা ওয়েবসাইটে রিসার্চ করুন। অনেক ট্র্যাভেল এজেন্ট এমনকি এয়ারলাইন্সও অনেক সময়ে দারুণ দারুণ ডিল দেয়, এতে কিন্তু আপনার বেড়াতে যাবার খরচ অনেকটাই বাঁচে।
সব সময়ে স্টার ক্যাটেগরির হোটেল বা ফ্যান্সি রিসোর্টে না থেকে হলিডে (holiday) হোমে থাকতে পারেন। অনেক এজেন্ট এরকম ভালো ভালো ডিল বিক্রি করে। আপনি যদি এয়ার বিএনবি বা ওই জাতীয় কোনও কম্পানির ডিল নেন, তাহলে আপনার ট্র্যাভেল খরচ অনেক কম হবে, এবং সবচেয়ে বড় কথা আপনাকে নিজের বা আপনার পরিবারের আরামের জন্য কোনও কম্প্রোমাইজ করতে হবে না।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!