বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জীবনশৈলী পাল্টে গিয়েছে। ছুটির দিন কীভাবে কেটে গিয়েছে বুঝতেও পারিনি। যদিও লকডাউন এবং প্যানডেমিক পরিস্থিতির কারণে ছুটির দিনগুলোও আমাদের বেশিরভাগ সময় বাড়িতেই কাটে। তবু বের হওয়ার কথা ভাবলেই আমরা প্রথমেই বন্ধুদের কথা ভাবি। আমরা ভুলে যাই, আমাদের প্রত্যেকেরই একটা পরিবার আছে। পরিবারের সদস্যরা হয়তো আলাদা হতে পারেন। কারও পরিবারে তাঁর বাবা ও মা আছেন। কারও পরিবারে তাঁর স্বামী বা স্ত্রী আছেন। কারও কাছে পরিবার বলতে তিনি একাই। কিন্তু এই পরিবার আমাদের কাছে একটা সাপোর্ট সিস্টেম। আমাদের জীবনের ছোট বড় কঠিন পরিস্থিতিতে পরিবারই পাশে থেকেছে। কখনও একার পরিবারে আমরা নিজেরাই নির্ঘুম রাতগুলো নিজের হাত শক্ত করে ধরে বলেছি, কাল ঠিক ঘুম আসবে। অথচ, ছুটির দিনগুলোয় পরিবারের সঙ্গে সময় (weekend with family) কাটানোই হয় না। তাই না? আসছে সপ্তাহে ১৫ আগস্ট, তার উপর রবিবার। এইদিন সময়টা দিন পরিবারকে (weekend with family)। দেখবেন বেশ বেশ ভাল লাগবে। কী কী করতে পারেন।
একটা প্ল্যানিং করুন (weekend with family) ঠিক আপনার ছোটবেলার মতোই
আপনার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে ? যখন আপনি সারা সপ্তাহ অপেক্ষা করে থাকতেন, সপ্তাহ শেষে বাবা ও মা ছুটির দিন আপনাকে কোথাও ঘুরতে নিয়ে যাবে। সেই আশায় অনেকটা সময় কেটে যেত। ছুটির দিনে বেরিয়ে কোথায় কোথায় যাবেন, সেই প্ল্যানও মনে মনে করে ফেলতেন। এই সপ্তাহে কোন আইসক্রিম খাবেন, সেই কথাও ভেবে ফেলতেন নিশ্চয়ই। সেরকম ভাবেই আপনার বাবা ও মায়ের কথা ভাবুন। কিংবা আপনার স্বামী বা স্ত্রী’র কথা ভাবুন। আপনার ভাই বা বোনের কথা ভাবুন। তাঁরাও এখন সারা সপ্তাহ বাড়িতেই থাকেন। কিংবা অফিস করেন। তাঁরাও হয়তো মনে মনে ভাবেন, এই ছুটির দিনে কোথাও ঘুরতে যাওয়া যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় না। আপনি হয়তো আপনার কাজ নিয়ে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন, অন্য দিকে মনই দেওয়া হয় না আপনার। নয় বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান আর নয়তো সারাদিনটা বাড়িতেই কেটে যায় (weekend with family) । কিন্তু মা ও বাবাকে নিয়ে সময় কাটানোর কথা (weekend with family) ভাবা হয় না। বেরোলে অবশ্যই সঙ্গে স্যানিটাইজিং স্প্রে রাখুন।
উইকেন্ড টুর (weekend with family)
আমাদের প্রত্যেকের বাড়ির কাছেই ছোটখাটো কোনও পার্ক থাকে। যেখানে পরিবার নিয়ে আপনি বিকেলের দিকে ঘুরতে যেতেই পারেন। সেখানেও আপনি ঘুরতে যেতে পারেন।
কিংবা আপনি কোনও উইকেন্ড টুর প্ল্যান করে ফেলতে পারেন। যেমন, আপনি শান্তিনিকেতন থেকেও ঘুরে আসতে পারেন কিংবা অন্য কোনও জায়গা থেকেও ঘুরে আসতে পারেন। সেখানে আপনাদের সময়ও খুব ভাল কাটবে। আপনার মনও খুব ভাল থাকবে। এদিকে আপনার বাবা ও মায়ের মনও ভাল হয়ে যাবে। কী হবে না? এখন বিভিন্ন জেলায় কোভিড বিধি পরিবর্তন করা হয়েছে। সেই দিকটা খেয়াল রাখবেন।
লাঞ্চ বা ডিনার
সব সময় বন্ধুবান্ধব বা বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে নতুন নতুন রেস্তরাঁ এক্সপ্লোর করেন তাই না? একটু পাল্টে ফেলুন সেই প্ল্যান। বাবা এবং মা’কে নিয়ে আপনি লাঞ্চে কিংবা ডিনারে যেতেই পারেন। ঠিক যেমন তাঁরা আপনাকে নিয়ে ছোটবেলায় আপনার পছন্দের খাবার খেতে যেতেন। আপনার বাবা ও মায়ের নিশ্চয়ই পছন্দের খাবার আছে। সেই অনুযায়ী রেস্তরাঁ বেছে নিন। বাবা ও মাকে সঙ্গে নিয়ে উইকেন্ড লাঞ্চ ও ডিনার করে আসুন। সময় ভাল কাটবে। একইভাবে পরিবারের অন্যান্য সদস্যকে নিয়েও (weekend with family) যেতে পারেন।
একটা নির্ভেজাল বিকেল
কারও কারও পরিবার বলতে তিনি একাই। তিনি কি আর মজা করবেন না? নিশ্চয়ই করবেন। ছুটির দিনে কোনও বন্ধু তাঁর সঙ্গে ঘুরতে যেতে চায় কি না, সেই অপেক্ষা করে থাকেন। তা আর করতে হবে না। বরং নিজের জন্য একটি অসাধারণ বিকেল প্ল্যান করে ফেলুন। পছন্দের খাবার অর্ডার দিন। পছন্দের গান শুনুন। পছন্দের পোশাক পরুন। পছন্দের পানীয়ও থাকতে পারে সঙ্গে। মোট কথা নিজের সঙ্গে সময় কাটান। উপভোগ করুন একটা ছুটির দিন। দেখবেন ভাল লাগবে।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!