বিয়ের পর প্রথম জন্মদিন (Birthday)। আপনার কাছে তা স্পেশ্যাল নয় বলুন? ঠিকই তো। স্পেশ্যাল অকেশন তো বটেই। ব্যতিক্রমী নন টলিউড (Tollywood) অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ও (Srabanti Chatterjee)। মঙ্গলবার ছিল বিয়ের পর শ্রাবন্তীর প্রথম জন্মদিন। ফলে সেলিব্রেশন (celebration) তো জমাটি হবেই। উপরি পাওনা একই দিনে শ্রাবন্তীর স্বামী রোশন সিংয়েরও জন্মদিন। ফলে এ তো কাপল বার্থডে সেলিব্রেশন। আর ধুমধাম করে জোড়া জন্মদিন সেলিব্রেট হল চট্টোপাধ্যায় পরিবারে।
এতেই শেষ নয়। আজ অর্থাৎ ১৪ অগস্ট শ্রাবন্তীর ছেলে ঝিনুকের জন্মদিন। গতকাল রাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেলের ছবি দিয়ে উইশ করেছেন নায়িকা। ফলে তিন দিন ধরে টানা চলছে উৎসব। তিনজনেই পারফেক্ট লিও। খেতে পছন্দ করেন। ভালবাসেন প্রাণ ভরে। আর পরিবার তাঁদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনজনেরই ফেভারিট মটন বিরিয়ানি। সেলিব্রশনে তাই এই ডিশটা মাস্ট।
জন্মদিন যখন গিফট (gift) তো মাস্ট। বিয়ের পর প্রথম জন্মদিনে রোশন কী গিফট দিলেন আদরের গিন্টুকে? শ্রাবন্তীর ডাক নাম গিন্টু। টলি পাড়ায় এ তথ্য প্রায় সকলেই জানেন। রোশন তাঁর ভালবাসার গিন্টুকে একটি সোনার হার উপহার দিয়েছেন। যেখানে লেখা রয়েছে নায়িকার ডাক নাম। এ ছাড়াও উপহারের তালিকায় রয়েছে একটি আংটিও।
শ্রাবন্তীই বা কম যান কী সে? একই দিনে বরের জন্মদিন। তাই গিফটেও তো ধামাকা চাই! তা অবশ্য বজায় রেখেছেন নায়িকা। ব্র্যান্ডেড ঘড়ি এবং সানগ্লাস মন্টি স্ত্রীয়ের কাছ থেকে পেয়েছেন উপহার। শ্রাবন্তীর ফ্যান ক্লাবের পক্ষ থেকে নাকি কেকের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। অনুরাগীদের মন রাখতে সে কেক কেটেছেন নায়িকা। তা ছাড়া বাড়ির স্পেশ্যাল কেক তো ছিলই।
জামাইবাবুর মাধ্যমে রোশনের সঙ্গে প্রথম আলাপ হয় শ্রাবন্তীর। সেই আলাপ গড়ায় বন্ধুত্বে। তারপর দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। ছেলে ঝিনুকের মতামতও নায়িকার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। তার পরামর্শ ছাড়া কোনও কাজ করেন না তিনি। এর আগে দু’বার বিয়ে করেছিলেন শ্রাবন্তী। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সে সব দাম্পত্য সুখের হয়নি। তাই রোশনকে বিয়ের সিদ্ধান্ত খুবই স্পর্শকাতর ছিল। পরিবারকে প্রথম থেকেই পাশে পেয়েছিলেন তিনি। তবে বিয়ের অনুষ্ঠান কলকাতায় নয়, অমৃতসরে এক গুরুদ্বারে সেরেছিলেন দম্পতি। মেহেন্দি, সঙ্গীত, গায়ে হলুদসহ সব নিয়মও পালন করেন তিনি।
সে সময় শ্রাবন্তীকে প্রচুর ট্রোলিং সহ্য করতে হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে তাতে পাত্তা দেননি তিনি। কাউকে কিছু জানাতে চাননি বলেই কলকাতায় বিয়ের অনুষ্ঠান করেননি। এমনকী, তাঁদের কোনও রিসেপশনও হয়নি কলকাতায। ঘনিষ্ঠ আত্মীয় এবং বন্ধুদের উপস্থিতিতে অমৃতসরে যাবতীয় অনুষ্ঠান পালন করেছিলেন। কলকাতায় আরবানায় নতুন ঠিকানায় থাকতে শুরু করেন শ্রাবন্তী এবং রোশন। মাঝে হনিমুনও সেরে এসেছেন দম্পতি। চিরকালই নিজের শর্তে বাঁচতে ভালবাসেন শ্রাবন্তী। বিয়ের পরও জীবনটা নিজের শর্তেই বাঁচছেন। শ্রাবন্তী, রোশন এবং ঝিনুককে POPxo Bangla-র পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!