আপনার নাম? মিসেস রায়, মিসেস মজুমদার বা মিসেস তলাপাত্র। এভাবে বলতে তো এখনও আমরা অনেকেই অভ্যস্ত। আর এই পদবীগুলো মেয়েদের সবই বিবাহ সূত্রে পাওয়া। অর্থাৎ স্বামীর পদবী।
অথবা ভাবুন তো, কোনও বিয়েবাড়ি বা আত্মীয় সমাগমের অনুষ্ঠান। আপনার সঙ্গে নতুন কোনও আত্মীয়ের পরিচয় করিয়ে দিতে আকাশের বউ, প্রীতমের বউ বা জয়ের বউ বলেই তো আলাপ করিয়ে দেন কাছের মানুষেরা। কিন্তু সেটা কি উচিত? আপনার তো নিজের একটা নাম রয়েছে। রয়েছে নিজস্ব পরিচিতি। হ্যাঁ, মিসেস অমুক বা অমুকের বউ অনেকগুলো পরিচয়ের একটি মাত্র হতে পারে। কিন্তু সেটাই একমাত্র পরিচয় হবে কেন? এই বিষয়টি নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদে সরব হলেন পরিচালক সৃজিত (srijit) মুখোপাধ্যায়। কারণ একটি সংবাদমাধ্যম মিথিলাকে (Mithila) শুধুমাত্র সৃজিতের বউ হিসেবে পরিচয় দিয়েছে।
ঘটনাটি ঠিক কী? কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যমে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। যার শিরোনাম, ‘সন্তান নিয়ে পরিকল্পনা জানালেন সৃজিতের স্ত্রী মিথিলা’। সেই সংবাদের স্ক্রিন শট নিয়ে সোশ্যাল ওয়ালে পোস্ট করেন সৃজিত। তিনি লেখেন, ‘সন্তান নিয়ে সৃজিতের স্ত্রীর কোনও পরিকল্পনা নেই। ঠিক যেমনটা অভিজিত্ বিনায়ক ব্যানার্জির স্ত্রী নোবেলটা পাননি। রাফিয়াত রাশিদ এখন ভয়ঙ্কর গুণী মহিলা, আমার থেকে অনেক বেশি কিছু জীবনে সে অর্জন করেছে। তাঁর CV বোঝার মতো শিক্ষা না থাকলে বা জানার মতো ধৈর্য না থাকলে,দয়া করে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রাক্কালে এইভাবে ছড়িয়ে লাট করবেন না।’
সম্প্রতি মিথিলার কাছে তাঁর মেয়ে আইরাকে নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। মিথিলা জানিয়েছেন, আইরা তাঁর এবং তাহসান দুজনের সান্নিধ্যে বড় হোক, এটাই তিনি চান। এখন সে ছোট। কিন্তু বড় হওয়ার পর মেয়ে যেটা চাইবে সেটাই করতে দিতে চান তিনি। মা হিসেবে তাঁর পূর্ণ সমর্থন থাকবে বলে জানিয়েছেন। এই খবর প্রকাশ হওয়ার সময়ই ওই ধরনের শিরোনাম ব্যবহার করা হয়েছে। আর তাতেই ক্ষুব্ধ সৃজিত।
সৃজিতের বক্তব্যকে পূর্ণ সমর্থন করেছেন ইন্ডাস্ট্রির একটা বড় অংশ। কারণ এখনও মেয়েদের মানুষ হিসেবে ভাবতে পারে না এই সমাজ। নিজেদের পরিচয়ে নয়, বরং কখনও বাবা, কখনও দাদা, কখনও বা স্বামীর পরিচয়ে পরিচিত হতে হয় তাঁদের। সেই ধারণা বদলে ফেলার সময় এসেছে বলে মনে করেন সৃজিত। মিথিলা একধারে মডেল, অভিনেত্রী, সঞ্চালিকা, গায়িকা, লেখক এবং সমাজকর্মী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন। গত বছর ব্রাক ইউনিভার্সিটি থেকে আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছেন। তিনি গোল্ড মেডেলিস্টও বটে। এশিয়া এবং আফ্রিকার বহু দেশে শিশুদের উন্নয়ন ও বিকাশ নিয়ে গত ১১ বছর ধরে কাজ করে চলেছেন তিনি। বাংলাদেশের নারী ও শিশু অধিকার সুরক্ষা আন্দোলনের অন্যতম মুখ মিথিলার নিজস্ব পরিচয়ে পরিচিত হওয়াই উচিত বলে মত তাঁর।
গত ডিসেম্বরে বিয়ে করেছেন সৃজিত-মিথিলা। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি কলকাতার ছিল এই জুটির রিসেপশন। আপাতত মিথিলা বাংলাদেশে নিজের কাজে ব্যস্ত। অন্যদিকে সৃজিত কাকাবাবু প্রত্যাবর্তনের শুটিংয়ে আফ্রিকায়।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
২০২০ শুরু করুন আমাদের দারুণ দারুণ প্ল্যানার আর স্টেটমেন্ট সোয়েটশার্ট দিয়ে। এগুলো সবকটাই আপনারই মতো একশ শতাংশ মজার এবং অসাধারণ! ওহ হ্যাঁ, শুধুমাত্র আপনার জন্য রয়েছে ২০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থাও। দেরি কিসের আর, এখনই POPxo.com/shop থেকে কেনাকাটা সেরে ফেলুন আর নিজেকে আরেকটু পপ আপ করে ফেলুন!