বিয়ে করেছেন সৃজিত (srijit) এবং মিথিলা (Mithila)। না! দুজনের আলাদা করে পরিচয় দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। নিজস্ব পেশায় দুজনেই পরিচিত নাম। সাফল্য পেয়েছেন। পেয়েছেন জনপ্রিয়তা। আর সাফল্যের কিছু সমস্যাও তো রয়েছে। আপনি যদি সেলিব্রিটি হন, তাহলে আপনার ব্যক্তিগত জীবনে সাধারণ মানুষের নজরদারি অনেক বেশি হবে। আপনার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা হবে। বলা ভাল, সমালোচনাও হবে। এবার দর্শকের মতামত আপনি একেবারে উড়িয়ে দিতে পারবেন না। কারণ আফটার অল তাঁরাই আপনার কাজেরও দর্শক। কিন্তু ব্যক্তি জীবনকে ঘিরে কুৎসা, সমালোচনা খেলতে হবে স্ট্রেট ব্যাটে। আর সেটাই দক্ষ ভাবে করে দেখিয়েছেন সৃজিত।
সোশ্যাল মিডিয়া এখন বঙ্গ জীবনের অঙ্গ। তার যেমন ভাল দিক রয়েছে, তেমনই কিছু খারাপ দিক থাকাটাও স্বাভাবিক। আর এই খারাপ দিক হল, যে কোনও মানুষকে নিয়ে যা খুশি লিখে দেওয়ার এক্তিয়ার রয়েছে সকলেরই। আর টার্গেটদের এই তালিকায় প্রথমেই থাকে সেলেবদের নাম। সৃজিত-মিথিলাও ব্যতিক্রম নন।
মিথিলা এর আগে বাংলাদেশের সঙ্গীত শিল্পী তাহসান রহমান খানের সঙ্গে বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ ছিলেন। ২০০৪-এ তাঁদের আলাপ। ২০০৬-এ তাঁরা বিয়ে করেন। ২০১৩-এ তাঁদের একমাত্র মেয়ে আয়রার জন্ম হয়। কিন্তু তাহসান-মিথিলার দাম্পত্য সুখের হয়নি। ২০১৭- তাঁরা বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। এরপর ২০১৯-এর শেষে মিথিলা বিয়ে করেন সৃজিতকে। এই ঘটনার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ট্রোলিংয়ের শিকার হন তিনি। কেউ বা মিথিলার বিরুদ্ধে তাহসানকে প্রতারণার অভিযোগ তোলেন। কেউ বা প্রশ্ন তোলেন, সৃজিতের বয়স নিয়ে! আর এই সবেরই মজার জবাব দিয়েছেন সৃজিত স্বয়ং!
Aami jaani. Roj aaynaa dekhe phupie phupie knaadi. Botox aar Plastic Surgery, dutor jonyei taka jawmachhi😢😪💔 https://t.co/YfzcPd0Ct6
— Srijit Mukherji (@srijitspeaketh) February 15, 2020
জনৈক বাংলাদেশি নাগরিক সৃজিতের বয়স নিয়ে টুইটে কটাক্ষ করেন। তার জবাবে সৃজিত রি-টুইট করেন, ‘আমি জানি। রোজ আয়না দেখি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদি। বোটক্স আর প্লাস্টিক সার্জারি দুটোর জন্যই টাকা জমাচ্ছি।’
আসলে ট্রোলিং এক কথায় সামাজিক ব্যাধির পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। এমনই মনে করেন, সোশ্যাল অডিয়েন্সের একটা বড় অংশ। সেলেবরা যে কোনও কারণেই ট্রোলিংয়ের শিকার হন। কেউ বা রেগে যান, কেউ আবার ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামাল দেন। অন্য কারও ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, ব্যক্তিগত সম্পর্ককে সম্মান না করতে পারুন, অন্তত অসম্মান করবেন না, এই সাধারণ কথাটাই যেন ভুলে যান অনেকে। তারই উদাহরণ মিথিলাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা এই ধরনের টুইট!
আরও পড়ুন, কোন অভিনেত্রীর সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে বেগ পেতে হয়েছিল? শেয়ার করলেন অনির্বাণ
বিয়ের পর সুইৎজারল্যান্ডে হনিমুনে গিয়েছিলেন সৃজিত-মিথিলা। সেখান থেকে ফিরে নিজের পড়াশোনা, কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন মিথিলা। সৃজিতও ব্যস্ত হয়ে পড়েন শুটিং ফ্লোরে। ওয়েবের জন্য ফেলুদা তৈরি করছেন সৃজিত। তার শুটিংয়ে মিথিলাও সঙ্গে গিয়েছিলেন। আবার কখনও বা মিথিলাকে সারপ্রাইজ দিতে বাংলাদেশ পৌঁছে যান সৃজিত। আসলে দুই শিল্পীর কর্মক্ষেত্র দুটো আলাদা দেশ। ফলে কাজের বাইরে একসঙ্গে সময় কাটানোটাই তাঁদের কাছে মূল্যবান মুহূর্ত। তার মধ্যে এ হেন ট্রোলিংকে পাত্তা দিতে চান না কেউই।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
২০২০ শুরু করুন আমাদের দারুণ দারুণ প্ল্যানার আর স্টেটমেন্ট সোয়েটশার্ট দিয়ে। এগুলো সবকটাই আপনারই মতো একশ শতাংশ মজার এবং অসাধারণ! ওহ হ্যাঁ, শুধুমাত্র আপনার জন্য রয়েছে ২০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থাও। দেরি কিসের আর, এখনই POPxo.com/shop থেকে কেনাকাটা সেরে ফেলুন আর নিজেকে আরেকটু পপ আপ করে ফেলুন!