‘ছেলের রোজগার যেন কত?’ এই প্রশ্নর উত্তর না দিয়ে কোনও ছেলের পক্ষেই এদেশে বিয়ে করা সম্ভব নয়! সম্বন্ধ করে বিয়ে হলে তো নয়ই! আরে মশাই, পাত্রের মোটা রোজগার (income) হলে তবেই না মেয়ে সুখে থাকবে। আর যদি সরকারি চাকরি হয়, তা হলে পোয়া বারো! তাতে বিয়ের বাজারে ছেলের বাজার দর আরও বাড়বে বই কী! এসব শুনে প্রগতিশীলরা প্রশ্ন তুলতেই পারেন, তা হলে কি ভালবাসার কোনও দামই নেই। সবটাই টাকার খেলা? উত্তর হল হ্যাঁ! আর সেকথা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হোমরাচোমড়ারাও মেনে নিয়েছেন। শুনবেন, তাঁরা কী বলছেন?
প্রায় ৬,৩০০ জনের উপরে সমীক্ষা চালানোর পরে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মনে আর কোনও সন্দেহ নেই যে সফল বৈবাহিক জীবনের চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে বরের পে-স্লিপেই! স্বামী যদি অনেক টাকার মালিক হন, তা হলে বৈবাবিক জীবনে নানা সমস্যা দানা বাঁধার আশঙ্কা যে কিছুটা হলেও কমে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই বিশেষজ্ঞদের। সমস্যা হয় সেখানেই, যেখানে বরের কোনও চাকরি নেই অথবা চাকরির হাল বেহাল। মাইনে একটু কম হলেও নাকি সমস্যার শেষ থাকে না, এমনই দাবি বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু কেন এমন ঘটনা ঘটে? একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন, আজকের দিনে সব সম্পর্কই চাহিদা-যোগানের ভারসাম্যের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। যদিও আমাদের দেশে ধীরে-ধীরে কর্মরতা স্ত্রীদের সংখ্যাও বাড়ছে, তবুও অস্বীকার করার উপায় নেই যে, এখনও অনেক স্ত্রী-ই আর্থিকভাবে স্বাধীন নন। তাই বৈবাহিক জীবনের স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে স্বামীর মাইনে যে একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর, তাতেও কোনও সন্দেহ নেই!
দু’জনের মধ্যে একজন যদি হাই-ফাই চাকরি করেন, তা হলেই তো আর কোনও সমস্যা থাকে না। কী বলেন? আপাতদৃষ্টিতে এমনটা মনে হতেই পারে। কিন্তু বাস্তব ছবিটা একেবারে আলাদা। স্ত্রী যতই বড় মাপের চাকরি করুক না কেন, স্বামী যদি ঠিকমতো নিজের পায়ে দাঁড়াতে না পারেন, তা হলেই বিপদ! ভুলে যাবেন না, আমরা সামাজিক প্রাণী। তাই তো নিজেদের মতামতের চেয়েও লোকে কী বলল, সেই নিয়ে আমাদের একটু বেশিই মাথাব্যথা। তাই তো এত মন কষাকষি! লোকসমাজের কথা ভেবে অনেক মেয়েই সারাক্ষণ এই ভয়ে থাকেন যে, কেউ যেন জানতে না পেরে যায় যে, তাঁর বর কম টাকা রোজগার করেন। আর এই ভাবে দিনের পর দিন চাপে থাকতে-থাকতে স্ট্রেস লেভেলও বাড়ে। ফলে স্বামী-স্ত্রীয়ের মধ্যে ঝগড়া-অশান্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে বই কী! আর তাতে করেই সংসারে (marriage) অশান্তি দেখা দেওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
আরও পড়ুন: বিয়ে করতে চান নাকি বেশিদিন বাঁচতে চান? সিদ্ধান্ত আপনার!
Utah State University-এর গবেষকদের করা আরও একটি স্টাডি অনুসারে সিংহভাগ মহিলাই নাকি মোটা মাইনে পাওয়া ছেলেদের সঙ্গে ডেটে যেতে একটু বেশিই স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। আসলে আর্থিক নিরাপত্তা ব্যাপারটা এতটাই জরুরি যে, যে-কোনও সম্পর্কের গোড়া থেকেই সেটি সম্বন্ধে নিশ্চিত হতে যেতে চান অনেকেই। তাই প্রেমের শুরুয়াতের সময় থেকেই উল্টো দিকের মানুষটির রোজগার সম্বন্ধে নিশ্চিন্ত হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। বাল্যপ্রেম কিংবা কলেজে প্রেম, এই ব্যাপারগুলির অস্তিত্ব হয়তো আজও আছে, কিন্তু ধীরে-ধীরে মানুষ প্র্যাক্টিকাল হতে চাইছে, এটিও সত্য।
বৈবাহিক সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখতে ভালবাসাই শেষ কথা হওয়া উচিত। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, আজকের দিনে সমাজ যেদিকে চলছে, তাতে ভালবাসাই সফল সম্পর্কের একমাত্র ফ্যাক্টর নয়। এক্ষেত্রে টাকাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। তা হলে কি পার্টনারের অনেক টাকা আর মোটা মাইনের চাকরি না থাকলে সম্পর্ক টিকবেই না? না, না, ঠিক তেমন নয়! আসলে কী জানেন, সবটাই নির্ভর করছে নিজের চাহিদার উপর। এমনও অনেক দম্পতি রয়েছেন, যাঁদের জন্য স্বামী বেশি রোজগার করছেন নাকি স্ত্রী, সেটা একেবারেই বড় কথা নয়। তাই সব শেষে একটাই প্রশ্ন থেকে যায়, আপনি কোন দলে, টাকার নাকি ভালবাসার?
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার এই বছরটা POPup করে ফেলুন!