বয়স আপনার যাই হোক না কেন, যত কম বয়সেই যত উঁচু পদে পৌঁছে যান না কেন, ‘বিয়ের বয়স’ পেরিয়ে গেলে জীবনটাই কিন্তু বৃথা! না, না একথা আমি বলছি না, এই কথাগুলো সাধারণত আমাদের ‘শুভাকাঙ্ক্ষী’দের তরফ থেকেই আসে। ধরুন রাস্তায় কোনও প্রতিবেশী কাকুর সঙ্গে দেখা হল, আপনি কেমন আছেন জিজ্ঞেস না করলেও, বিয়ে কবে করছেন, সেটা তিনি ঠিকই জিজ্ঞেস করবেন। আর আপনি যদি সিঙ্গল হন এবং ভুলবশত কোনও বিয়েবাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হন, তা হলে তো হয়ে গেল! বিয়ে কেন করছেন না এখনও, এরপর কিন্তু আপনারই পালা, বয়ফ্রেন্ড আছে কিনা, কবে বিয়েটা করবেন, বিয়ে করার কী-কী উপকারিতা – মোটামুটি একটা মোটা বই লেখার মতো জ্ঞান অর্জন করেই আপনি ফিরবেন। আপনি যতই তিতিবিরক্ত হন না কেন, কারও কিচ্ছুটি যায় আসে না। তবে এবার থেকে যদি আপনার সিঙ্গলহুড নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বা আপনাকে কথা শোনাতে আসেন, তা হলে আপনি বলতে পারবেন যে, ‘অবিবাহিত মহিলারা (single women) কিন্তু অন্যদের তুলনায় বেশিদিন বাঁচেন’ – আর একথা প্রমাণিত!
আরও পড়ুনঃ নারী দিবস নিয়ে উক্তি
পল ডলান, লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্স-এর বিহেভিয়েরাল সায়েন্সের এই প্রোফেসর একটি বই লিখেছেন, “হ্যাপি এভার আফটার – এস্কেপিং দ্য মিথ অফ দ্য পারফেক্ট লাইফ” নামে, এবং তাতেই তিনি উল্লেখ করেছেন যে বিবাহিত মহিলাদের তুলনায় অবিবাহিত মহিলারা (single women) অনেক বেশিদিন বাঁচেন এবং ভাল ভাবে বাঁচেন! সম্প্রতি ওয়েলস-এর ‘হে ফেস্টিভ্যাল’-এ পল উল্লেখ করেছেন, যেসব মহিলারা অবিবাহিত তাঁরা বিবাহিত মহিলাদের তুলনায় অনেক বেশি সুখী এবং সফল হন। “বিবাহিত মানুষরা অন্যদের তুলনায় অর্থাৎ অবিবাহিত অথবা সম্পর্কে জড়িয়ে নেই এমন মানুষদের তুলনায় সুখী হন, কিন্তু তখনই, যখন তাঁদের স্বামীরা তাঁদের সঙ্গে থাকেন না। বাকি সময়টা? খুউব খারাপ!” – একটি অন্তর্জাতিক সংবাদপত্রকে তিনি একথা জানিয়েছেন।
শুধু এতটুকুতেই ক্ষান্ত হননি পল, মহিলাদের তিনি খুব দামি এবং মজার পরামর্শও দিয়েছেন। তাঁর মতে, “বিজ্ঞানও বলে, যদি আপনি পুরুষ হন তা হলে হয়তো আপনার কোনও সম্পর্কে জড়ানো উচিত এবং খুব সম্ভবত বিয়েও করে নেওয়া উচিত। কিন্তু যদি আপনি মহিলা হন, এসব ছোটখাটো ব্যাপারে মাথা না গলালেও আপনার চলবে!”
পল এই বিষয়টি নিয়ে খুব গভীরে গিয়ে পরীক্ষা করেছেন এবং তাতে উঠে এসেছে নানা চমকপ্রদ তথ্য। গবেষণা করার সময়ে তিনি অনেকের সঙ্গে কথা বলেছিলেন যার মধ্যে বিবাহিত মহিলারা ছিলেন, ছিলেন অবিবাহিত মহিলারা এবং এমন মহিলারাও ছিলেন, যাঁদের সন্তান রয়েছে। তাঁর গবেষণা অনুযায়ী, যেসব মহিলাদের সন্তান রয়েছে, তাঁরা সবচেয়ে বেশি অসুখী! তারপর আসেন সেই সব মহিলারা, যাঁরা বিবাহিত ঠিকই কিন্তু এখনও মা হননি, আর সবচেয়ে বেশি সুখী হলেন অবিবাহিত মহিলারা! পলের মতে, বিয়ে ব্যাপারটা শুধুমাত্র পুরুষদের জন্য লাভজনক। তিনি তাঁর গবেষণায় বলেছেন, “পুরুষরা যেহেতু বাইরে বাইরেই বেশিরভাগ সময় থাকেন কাজেই তাঁদের দায়িত্ব শুধু একটা জায়গাতেই সীমাবদ্ধ থাকে, সেটা হল উপার্জন। কাজেই তাঁরা বিয়ে করলেও তাঁদের পেশাগত জীবনে খুব একটা হেলদোল দেখা যায় না। কিন্তু ঠিক উল্টোদিকে বিবাহিত মহিলাদের একইসঙ্গে বাড়ি এবং বাইরে দুটোই সামলাতে হয়, ফলে তাঁদের উপরে চাপটা অনেক বেশি পড়ে। যাঁরা আবার সন্তানের জননী তাঁদের চাপ আরও অনেক বেশি। আপনি বলতেই পারেন যে, অনেকেই আছেন যাঁরা গৃহবধূ, কিন্তু তাঁদেরও সংসার এবং সন্তান সামলে নিজেদের জন্য তেমন একটা সময় থাকে না বললেই চলে! দেখা গিয়েছে, বিবাহিত মহিলাদের তুলনায় সেসব মহিলারা অনেক বেশি সুখী এবং বেশিদিন ভালভাবে বাঁচেন, যাঁদের স্বামি-সন্তান নেই (single women)!”
কী ভাবছেন? এরপর থেকে যদি কেউ আপনাকে বিয়েসংক্রান্ত বিষয়ে কিছু বলতে আসেন, মিষ্টি হেসে তাঁকে এই বইটা পড়তে দিয়ে দিন বরং! 😀
ছবি সৌজন্যে – ইনস্টাগ্রাম
গ্রাফিক্স সৌজন্যে – জিফি
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!