মারাঠি ছবিতে স্বস্তিকা
স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়(Swastika Mukherjee) বেশ অনেকদিন ধরে মুম্বাইতে আছেন। তার প্রধান একটা কারণ হল স্বস্তিকার মেয়ে অন্বেষা মুম্বাইয়ের সেন্ট স্টিফেনস কলেজে পড়ছে। আর তার চেয়েও বড় কারণ হল স্বস্তিকা এখন মুম্বাইতে অন্য ধরণের কিছু কাজ করতে চাইছেন।নিন্দুকেরা বলে স্বস্তিকার একদা প্রেমিক সুমন মুখোপাধ্যায় যখন শহর ছাড়া হলেন তখন তার সঙ্গে আমাদের ভেবলিও গিয়েছিলেন।দুজনে একসঙ্গে শপিং করেই সুমনের ফ্ল্যাট সাজিয়েছিলেন। সূত্র বলছে সুমন আর স্বস্তিকা এখন আর একসঙ্গে নেই। যদিও স্বস্তিকা হেসে সেই কথা হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়েছেন। অন্বেষাকে দায়িত্ব নিয়ে কলেজে নাকি সুমনই ভর্তি করেছিলেন। যাইহোক ইবসেনের নাটক ‘ডলস হাউজ’ এর হিন্দি অনুবাদে মুম্বাইতে ষ্টেজ কাঁপিয়ে অভিনয় করেছেন স্বস্তিকা। নাটকটি পরিচালনা করেছিলেন সুমন।তাহলে কি বিচ্ছেদের খবর মিথ্যে? তা নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথাব্যাথা নেই স্বস্তিকার। তিনি শুধু বলিষ্ঠ একজন অভিনেত্রী নন তিনি হলেন মনমর্জি কা মালিক। নিজের ব্যক্তিগত সম্পর্ক হোক বা উদ্ভট ফ্যাশান হোক, কখনও কোনও কিছু মিডিয়ার সামনে আনতে ভয় পাননি তিনি। তবে এবার নাটকের মঞ্চ ছাড়িয়ে আরও বড় কিছু করতে চলেছেন আমাদের নায়িকা।মারাঠি ছবি ‘আরন’ এ দেখা গেছে তাকে। ওঙ্কার শেঠির পরিচালনায় এই ছবিতে স্বস্তিকা রয়েছেন একজন কড়া মায়ের ভূমিকায় যার নাম আলিতা আপটে। বাংলা ছাড়াও হিন্দি ছবিতে এর আগে কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু একবারে আঞ্চলিক ছবিতে প্রধান চরিত্র তিনি পেলেন কি করে? তাও আবার এমন একটা ভাষায় যেটা তিনি একদমই বলতে পারেন না।
আরো পড়ুনঃ কলকাতায় জাপানি সিনেমার উৎসব
এই নতুন লুকে দেখা যাচ্ছে স্বস্তিকাকে
বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে স্বস্তিকা জানিয়েছেন তিনি মুম্বাইতে তার এক পরিচিত বন্ধুর শর্ট ফিল্মের শুটিং করছিলেন। তখনই ওঙ্কারের সঙ্গে তার আলাপ হয়। ওঙ্কার তার ছবির জন্য একজন অভিনেত্রী খুঁজছিলেন। ‘অ্যারন’ এর চিত্রনাট্য পড়ে স্বস্তিকা নিজেই আলিতার চরিত্রটা করতে চান। যেহেতু তিনি নিজে একজন সিঙ্গল মাদার এবং প্রায় একাই লড়াই করে বড় করেছেন অন্বেষাকে তাই এই ছবির গল্প তাকে বিশেষভাবে ছুঁয়ে গিয়েছিল। কারণ ‘আরন’ ও মা ও ছেলের গল্প। যেখানে একটি ছেলে খুঁজছে তার মাকে। শুধু এই চরিত্রটা করবেন বলে মাত্র দু মাসে মারাঠি ভাষাও শিখে নিয়েছেন তিনি। ছবিতে মারাঠি ছাড়াও ফরাসি ও ইংরিজিও বলবেন তিনি। স্বস্তিকার সঙ্গে এই ছবিতে কাজ করেছেন মারাঠি অভিনেতা শশাঙ্ক কেতকার। তিনি রীতিমতো উচ্ছ্বসিত স্বস্তিকার সঙ্গে কাজ করতে পেরে। স্বস্তিকার শট ডেলিভারি অসাধারণ বলে ব্যক্ত করেছেন শশাঙ্ক।
অ্যারন ছবির পোস্টার
অ্যারনের ট্রেলার দেখতে হলে ক্লিক করুন নিচে
ছবির সহঅভিনেতাদের সঙ্গে স্বস্তিকা
দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন স্বস্তিকা। এবার তিনি নিজেই চাইছেন চেনা জানা পরিধির বাইরে পা রেখে অন্য কিছু করতে। বিগত কয়েক বছর সময় ভালো যায়নি ভেবলির। ছবি বিশেষ চলেনি, ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েনের রসাল কেচ্ছায় খবরের কাগজ আর পত্রিকাগুলোর পাতা ভরে উঠছিল, সবচেয়ে বড় কথা হল স্বস্তিকা হারান তার মাকে। শেষের ঘটনাটাই স্বস্তিকাকে সবচেয়ে বেশি ব্যথা দিয়েছিল। সেই কঠিন সময়ে পাশে ছিলেন তার বাবা অভিনেতা সন্তু মুখোপাধ্যায়, বোন অজপা ও মেয়ে অন্বেষা। অভিনেত্রী আস্তে আস্তে তার পায়ের নিচে জমি ফিরে পাচ্ছেন। ‘আরন’এর পর তাকে দেখা যাবে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের (Srijit Mukherjee) ছবি ‘শাহজাহান রিজেন্সি’ ছবিতে। এটি শঙ্করের বিখ্যাত উপন্যাস ‘চৌরঙ্গি’ র রিমেক।এই ছবিতে স্বস্তিকা আছেন করবী গুহর চরিত্রে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সৃজিতও একসময় স্বস্তিকার প্রেমিক ছিলেন!পুরনো প্রেমিকের ছবিতে আবার কাজ করাটা কি মুখের কথা? আগেই বলেছি ভেবলি আমাদের মনমর্জির মালিক। তাই গতে বাঁধা নিয়মে তিনি মোটেও চলে না। আগামী মারাঠি ও বাংলা ছবির জন্য রইল অনেক শুভেচ্ছা।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
ছবি সৌজন্য ঃ স্বস্তিকার ইন্সটাগ্রাম ও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট