স্পষ্ট কথা স্পষ্ট ভাবে বলতে ভালবাসেন তিনি। না! এটা আলাদা কোনও কৃতিত্ব নয়। বরং সেটাই তো সকলের করা উচিত। অনেকেই করেন না। কিন্তু তিনি করেন। তিনি অর্থাৎ স্বস্তিকা (Swastika) মুখোপাধ্যায়।
টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে দীর্ঘ জার্নি স্বস্তিকার। কেরিয়ারের প্রথম থেকেই স্পষ্টবাদী তিনি। পারিবারিক জীবন নিয়েও কোনও লুকোচুরি নেই তাঁর। জীবনে প্রেম এসেছে, তা নিয়ে কখনও মিথ্যে বললেনি। আবার প্রেম ভেঙে গেলেও সেটা সোজাসুজি বলতে জানেন। এ হেন নায়িকাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিংও (Troll) সামলাতে হয়েছে বহুবার।
কখনও ট্রোলিং সামলাতে গিয়ে রেগে গিয়েছেন স্বস্তিকা। তবে সময় যত এগিয়েছে, সে সবও নিজস্ব কায়দায় সামলাতে শিখে গিয়েছেন। সদ্য সোশ্যাল ওয়ালে এক ব্যক্তির ট্রোলিংয়ের জবাবে যা বলেছেন স্বস্তিকা, তা এক কথায় ঐতিহাসিক বলেই মনে করছেন সোশ্যাল অডিয়েন্সের একটা বড় অংশ।
Well you can’t afford me Sir. Fantasies come for free. Try that 😊 https://t.co/Tf8r54K5rI
— Swastika Mukherjee (@swastika24) November 18, 2019
এক ব্যক্তি স্বস্তিকাকে টুইট (Twitter) করেন, ‘এক রাতের জন্য কত?’ অত্যন্ত কুরুচিকর এই প্রশ্নের জবাবে এতটুকুও রেগে যাননি স্বস্তিকা। বরং তিনি উত্তরে লিখেছেন, “আপনি আমাকে অ্যাফোর্ড করতে পারবেন না স্যার। তবে কল্পনা করতে কোনও খরচ নেই। আপনি সেটাই চেষ্টা করুন।”
চলতি বছরের মার্চে স্বস্তিকার বুক নিয়ে জনৈক ব্যক্তি মন্তব্য করেন সোশ্যাল ওয়ালে। সে সময় নায়িকা বলেছিলেন, “পুরুষরা সব সময় মেয়েদের ঝুলে যাওয়া বুক নিয়ে কথা বলে কেন? সন্তানকে এক বছর ধরে স্তন্যপান করান, তারপর কথা বলুন। আমার ঝুলে যাওয়া বুক নিয়েই আমি গর্বিত। আমি একজন গর্বিত মা। আমি পাম্প ব্যবহার করিনি কখনও।”
আবার ওয়ার্ল্ড সুইসাইড প্রিভেনশন ডে-তে স্বস্তিকা লিখেছিলেন, শারীরিক এবং মানসিক ভাবে প্রত্যেক ব্যক্তির গল্পটা আলাদা। সঙ্গে নিজের একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন। যেখানে স্পষ্ট দেখা গিয়েছিল, বাঁ হাতের কবজিতে অনেক কাটার দাগ। নিজের ব্যক্তিগত সত্যিও লুকিয়ে রাখেননি তিনি। বরং কেউ সুইসাইড প্রবণ হলে, তাঁকে আরও ভালবাসায় বেঁধে রাখার বার্তা দিয়েছিলেন। তা নিয়েও ট্রোল করা হয় তাঁকে।
ওয়ার্ল্ড সুইসাইড প্রিভেনশন ডে-তে নিজের এই ছবি শেয়ার করেছিলেন স্বস্তিকা। (Facebook)
কখনও বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দেখে স্বস্তিকাকে ট্রোল করা হয়েছে, ‘আপনাকে যৌনকর্মীর মতো দেখতে লাগছে।’ তাতে অনুরাগীরা রেগে গিয়ে বিভিন্ন রকম মন্তব্য করলেও ঠাণ্ডা মাথায় সামলেছিলেন নায়িকা। তিনি স্পষ্ট বলেছিলেন, “যৌনকর্মীরাও আমাদের সমাজের অংশ। বরং তাঁরা সমাজকে পরিষ্কার রাখে…।”
ফলে ট্রোলিং স্বস্তিকার কাছে নতুন কিছু নয়। তবে তাঁর এবারের জবাবটা অনেকটা যেন সপাটে মুখে জুতো মারার মতো। এমনটাই মনে করছেন তাঁর অনুরাগীরা। মেয়েদের প্রতি সমাজের একটা অংশের দৃষ্টিভঙ্গী আজও অত্যন্ত মর্যাদাহানিকর। রেগে গিয়ে নয়, তা সামলাতে হবে ঠাণ্ডা মাথায়। এমনটাই মনে করেন সিনে মহলের একটা বড় অংশ।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়..