আগামী ১৩ ডিসেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে অভিরূপ ঘোষ পরিচালিত ‘জম্বিস্তান’। সেই ছবিতে অভিনয় করছেন তনুশ্রী চক্রবর্তী।রয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষ এবং রজতাভ দত্ত। হলিউডে জনপ্রিয় জম্বি (zombi) মুভি। বলিউডে দু’একটা কাজ হলেও বাংলায় জম্বি ফিল্ম একেবারেই হয়নি। অভিরূপ এই ছবিতে সেই উদ্যোগটাই নিয়েছেন। পরিচালক সময়টা ফার্স্ট ফরওয়ার্ড করে দর্শককে নিয়ে গিয়ে ফেলছেন ভবিষ্যতে। মনুষ্যজাতির অস্তিত্ব বিপন্ন, এমন একটি পরিস্থিতিতে ছবির চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন তিনি। যাকে তিনি ব্ল্যাক ডে বলছেন। ছবিতে দেখানো হচ্ছে সময়টা ২০৩০। বায়ো কেমিক্যাল অস্ত্রের আঘাতে প্রায় গোটা মানবজাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে বসেছে। সেখানে কয়েকটি মানুষের বাঁচার লড়াই চলে। তবে তাদের উদ্দেশ্য এবং পরিস্থিতি সবটাই আলাদা। এ সব নিয়ে আড্ডা দিলেন তনুশ্রী (tanusree)।
কেমন আছেন?
ভাল, আপনি?
ভাল। তা হঠাৎ এই শীতে জম্বিদের নিয়ে কারবার করছেন কেন?
হা হা হা…। অনেস্টলি স্পিকিং, আমি কিন্তু ভয় পাই। ভূতের ছবি দেখতে ভয় লাগে। জম্বির ছবি দেখতেও ভয় পাই। তবুও সেই ভয়টা কাটিয়ে উঠেই করলাম। কারণ আর্ট ফর্মটা ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছিল।
‘জম্বিস্তান’-এর ভাবনাটা কেমন?
এটা একটা ফিউচার স্টোরি। ধরুন, ১০ বছর পরে গ্লোবালাইজেশনের ফলে প্রচুর চেঞ্জ এসেছে। জল কমে গিয়েছে। ব্ল্যাক ডে এসেছে। আর এমন একটা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে যাতে মানুষ জম্বিতে পরিণত হচ্ছে। পুরনো অনেক কিছু ফিরে এসেছে। যেমন আবার রাজার শাসন এসেছে। স্টোরি অফ আ সারভাইভাল। আমার চরিত্রের নাম আকিরা। সে বেঙ্গালুরু থেকে ড্রাইভ করে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ও এমন একটা জায়গা খুঁজছে যেখানে ওষুধ থাকবে। সারভাইভ করাতে পারবে। ওর চোখ দিয়েই দেখা পুরোটা। অভিরূপ সুন্দর করে ভেবেছে।
এই স্ক্রিপ্টটা ভাল লাগার পিছনে কোনও নির্দিষ্ট কারণ ছিল?
জম্বিদের নিয়ে বাংলা ছবি আগে হয়নি। এই জায়গাটা আনএক্সপ্লোর থেকেছে। আর তাছাড়া কনসেপ্টটাই ভাল লেগেছিল। অভিরূপের কথা আবারও বলব। সাজিয়েছে ভাল। আমরা যেখানে শুট করেছি সব ভার্জিন লোকেশন। সব রিয়েল। সে কারণেই শুটিংয়ের সময় আপনাদের, মানে প্রেসকে ডাকা হয়নি। কারণ ওখানকার ছবি বেরিয়ে যাক, চাইনি আমরা।
আর কোন কোন কাজ আসছে আপনার?
পরমব্রতর সঙ্গে ‘অন্তর্ধান’, সোহমের সঙ্গে ‘হারানো প্রাপ্তি’র পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে। রিলিজ করবে। এছাড়া প্রথমবার ওয়েব সিরিজে কাজ করছি। থ্রিলার বেসড গল্প।
প্রথবার ওয়েবে কাজ করছেন, কতটা আলাদা মনে হচ্ছে?
ওয়েবের একটা অন্য মজা আছে। ডিটেল ঘটনা দেখানো হয়। সিন বেশি। মাথায় না রাখলে খেই হারিয়ে যেতে পারে।
আপনার কি মনে হয়, ভবিষ্যতে ওয়েবই থাকবে শুধু, সিনেমা আর দর্শক দেখবেন না?
আসলে বিষয়টা হচ্ছে, কয়েক বছর আগেও বাইরে অত খাবারের দোকান ছিল না। তখন আমরা শুধু বাড়ির খাবারই খেতাম। এখন বাইরে খাবারের অনেক অপশন। আমরা সেটা খাই। কিন্তু বাড়ির খাবার খাওয়া কি ছেড়ে দিয়েছি? তা তো নয়। ঠিক তেমনই বড়পর্দার অরাটা কমবে না। হয়তো সিনেমার সংখ্যা কমবে। আর একটা জিনিস মনে হয়, টেলিভিশন হয়তো শিফট করে যাবে।
নতুন বছর আসছে। কোনও রেজোলিউশন নিয়েছেন?
আরও কাজ করতে হবে। আরও রেসপন্সিবল হতে হবে। সমাজে আরও বেশি কন্ট্রিবিউট করতে হবে। মানে, নিজেকে আরও সোশ্যালি রেসপন্সিবল হতে হবে, এটাই…।
রাজনীতিতে আসছেন নাকি?
না, না। আরে, রাজনীতি না করেও তো সোশ্যালি রেসপন্সিবল থাকা যায়। হা হা…। আমি এমনিতেই অনেক সোশ্যাল ওয়ার্ক করি। সেগুলোই আরও বাড়াতে হবে, সেটাই বলতে চাইছি।
নতুন বছরে বিয়ে করছেন?
না! বিয়ের কোনও প্ল্যান নেই এখনই।
থ্যাঙ্ক ইউ। POPxo বাংলার তরফে অনেক শুভেচ্ছা রইল…
থ্যাঙ্ক ইউ। ভাল থাকবেন।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়..