লড়াইটা যেহেতু সেয়ানে-সেয়ানে, তাই খেলাটা যে জমে উঠবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই! মজার বিষয় হল, বাঙালিরা মূলত চা খেতে ভালবাসলেও, কফির জনপ্রিয়তাও কিন্তু কম নয়। বিশেষ করে এই শীতের মরসুমে তো চায়ের চেয়ে কফিটাই বেশি মুখে রোচে। কিন্তু প্রশ্ন হল, কোন পানীয়টি বেশি স্বাস্থ্যকর? তুল্যমূল্য বিচার করলে চায়ের চেয়ে কফি কোনও অংশেই পিছিয়ে নেই। বিশেষজ্ঞরা মেনেও নিয়েছেন যে, লিকার চা (Tea) খেলে যেমন নানা উপকার মেলে, তেমনই দিনে দু’ কাপ কফি খেলেও শরীর এবং মস্তিষ্ক চাঙ্গা থাকে। তবু কিছু পার্থক্য রয়েছে বই কী! আর তা নিয়েই এই আলোচনা।
শরীরকে সুস্থ রাখতে ক্যাফিন নানাভাবে সাহায্য করে ঠিকই। কিন্তু শরীরে এই উপাদানটির মাত্রা বেড়ে গেলে বিপদ! এমন পরিস্থিতিতে অ্যাংজাইটি লেভেল বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা যেমন থাকে, তেমনই অনিদ্রার সমস্যাও লেজুড় হতে পারে। শুধু তাই নয় ক্যাফিন ওভার ডোজের কারণে হজমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই এদিকে নজর রাখা একান্ত প্রয়োজন। এখন প্রশ্ন হল, চা না কফি, কোনটায় বেশি ক্যাফিন রয়েছে? এক কাপ লিকার চায়ে কম-বেশি ১৪-৭০ মিলি গ্রাম ক্যাফিন থাকে, যেখানে সমপরিমাণ কফিতে ৯৫-২০০ মিলি গ্রাম। বুঝতেই পারছেন, বেশি মাত্রায় কফি খাওয়া চলবে না।
রক্তে মিশে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানের হাত থেকে রক্ষা পেতে দেহে যাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি না হয়, সেদিকে নজর রাখা একান্ত প্রয়োজন! সুখবর হল চা-কফি, দু’টিতেই প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। লিকার চায়ে রয়েছে theaflavins, thearubigins এবং ক্যাটাচিন। এদিকে কফিতে মজুত রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড এবং chlorogenic acid। তুল্যমূল্য বিচার করলে মনে হয় এই বিভাগে কফির চেয়ে চা-ই এগিয়ে থাকবে।
সিংহভাগই মনে করেন, কফি খেলেই শুধু এনার্জির ঘাটতি দূর হয়। জেনে রাখুন, চা-ও কিন্তু একই কাজ করে থাকে। বলতে পারেন, একটু বেশি দায়িত্ব নিয়েই করে। কারণ, এই পানীয়তে ক্যাফিনের পাশাপাশি রয়েছে L-theanine নামে একটু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই দু’য়ের যুগলবন্দিতে ক্লান্তি তো দূর হয়ই, সেই সঙ্গে ব্রেনের ক্ষমতাও বাড়ে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মনঃসংযোগ ক্ষমতার উন্নতিও ঘটে।
জানতেন কি, কফি খেলে ওজনও কমে? কফিতে উপস্থিত chlorogenic acid এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নেয়। এই উপদানটি শরীরে প্রবেশ করার পরে এমন কিছু পরিবর্তন হয় যে, দেহের ফ্যাট বার্নিং প্রক্রিয়াটি আরও ত্বরান্বিত হয়, যে কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে শুধু কফি (Coffee) খেয়েই ওজন কমানো সম্ভব নয়। সঙ্গে ডায়েটিং এবং এক্সারসাইজও করতে হবে! তবেই উপকার পাবেন।
বললে বিশ্বাস করবেন না, চা-কফি খেলে দাঁতের বেশ ক্ষতিই হয়। এই দুটি পানীয়তেই আছে ট্যানিন, নানা ধরনের অ্যাসিড এবং ক্রোমোজেন। এই তিনটি উপাদানই দাঁতের রং পাল্টে দেওয়া থেকে শুরু করে দাঁতের ক্ষয়ক্ষতি করে থাকে। কিন্তু কোন পানীয়টি খেলে বেশি ক্ষতি হয়, সেটাই এখন দেখার। চা-ই কিন্তু বেশি ক্ষতিটা করে থাকে, কারণ, চা-এ কফির তুলনায় ঢের বেশি পরিমাণে ট্যানিন থাকে। কালো চা যাঁরা বারবার খান, তাঁরা সাবধান। কারণ, এই চা দাঁতের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। বরং হার্বাল টি তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতি করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সব দিক বিচার করলে কফির থেকে চাই বেশি স্বাস্থ্যকর। তবে চা-কফি যা-ই খান না কেন, তাতে যতটা সম্ভব কম চিনি মেশাবেন। ভুলে যাবেন না চিনি কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য একদমই উপকারী নয়। দুধও মেশাতে পারেন। লিকার চা বা ব্ল্যাক কফি খেলে যতটা উপকার পাওয়া যায়, ততটাই পাওয়া যায় দুধ চা বা কফিতে দুধ মিশিয়ে খেলেও। বরং দুধ মেশালে একটু বেশিই উপকার মেলে। তাতে করে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দূর হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আমাদের এক্কেবারে নতুন POPxo Zodiac Collection মিস করবেন না যেন! এতে আছে নতুন সব নোটবুক, ফোন কভার এবং কফি মাগ, যেগুলো দারুণ ঝকঝকে তো বটেই, আর একেবারে আপনার কথা ভেবেই তৈরি করা হয়েছে। হুমম…আরও একটা এক্সাইটিং ব্যাপার হল, এখন আপনি পাবেন ২০% বাড়তি ছাড়ও। দেরি কীসের, এখনই POPxo.com/shopzodiac-এ যান আর আপনার এই বছরটা POPup করে ফেলুন!