একটু খেয়াল করলেই দেখবেন কোনও কাজ করতে গিয়ে কখনও-সখনও হাতে-পায়ে খট কর আওয়াজ হয়। কোনও ব্যথা হয় না। শুধু আওয়াজ হয়। কোনও- কোনও সময় ঘাড়েও এমন মটামট আওয়াজ হয়ে থাকে। কখনও ভেবেছেন এমন আওয়াজ কেন হয়? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শরীরের (body) কোনও অংশ যখন স্বাভাবিক নিয়ম মেনে কাজ করে না, তখনই এমন ঘটনা ঘটে। অনেক সময় কোনও শারীরিক সমস্যার আগাম বার্তা হিসেবেও এমন লক্ষণ প্রকাশ পায়। তাই তো এমন ‘খটমট’ আওয়াজ (noises) শুনলে একটু সাবধান হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বই কী! তবে তার আগে কোন আওয়াজ গোলমাল ডেকে আনতে পারে, আর কোন আওয়াজ নয়, সে সম্পর্কে একটু জেনে-বুঝে নিতে হবে তো!
নাকের সিটি
শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার সময় ‘শোঁ শোঁ’ আওয়াজ হয় নাকি? তাহলে তো একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ, নাসারন্ধ্রে কোনও বাঁধার সৃষ্টি হলে তবেই এমন ঘটনা ঘটে থাকে। অনেক সময় nasal passage-এর লাইনিংয়ে মিউকাস জমার কারণেও এমন আওয়াজ হয়। তাই তো বিষয়টিকে হলকা ভাবে নেওয়া উচিত নয়। এক্ষেত্রে যে কারণে নাকের অন্দরে ঠিক মতো বাতাস যাতায়াত করতে পারছে না, সেই কারণটির চিকিৎসা করলেই সমস্যা মিটে যাবে।
ঘাড় ব্যাঁকাকে গিয়ে খট খট আওয়াজ হচ্ছে নাকি?
ডান বা বাঁ দিকে ঘাড় কাত করার সময় এমন আওয়াজ হওয়ার মানেই যে আপনি বুড়ো হচ্ছেন, তা কিন্তু নয়! তাহলে? ঘাড়ের আশেপাশে অনেকগুলি জয়েন্ট রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বিশেষ ধরনের fluid। কোনও কারণে এই সব জয়েন্টের মধ্যে থাকা bubble বা বুদবুদ যখন ফাটে, তখনই এমন আওয়াজ হয়। এই নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। তবে আওয়াজের সঙ্গে যদি ব্যথাও হয়, তাহলে সাবধান! কারণ, অনেক ক্ষেত্রে nerve root impingement-এর মতো সমস্যার কারণেও কিন্তু এমন ঘটনা ঘঠে থাকে। তাই দিনের পর দিন যদি ঘাড়ে আওয়াজ, সঙ্গে যন্ত্রণা হতে থাকে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দেরি করবেন না যেন!
কানের মধ্যে ভোঁ ভোঁ আওয়াজ
রাতে শোয়া মাত্র কানে ভোঁ ভোঁ আওয়াজ হলে ভয় পাবেন না যেন! আসলে অনেক সময় কানের পিছনে থাকা jugular vein এবং carotid artery দিয়ে রক্ত চলাচলের সময় এমন আওয়াজ অনুভূত হয়। এটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু সকাল বেলাও যদি একই ঘটনা ঘটে, তাহলে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়া মাস্ট! কারণ, অনেক ক্ষেত্রেই কানে সংক্রমণ বা অ্যালার্জি হলে এমন লক্ষণ প্রকাশ পায়।
পেটে গুড়গুড় শব্দ
আমার-আপনার মতো অনেকেরই খাওয়ার আগে পরে পেটে গুড়গুড় আওয়াজ হয়। এই নিয়ে বেশি মাথা ঘামানোর কোনও প্রয়োজন নেই। কারণ, খাবার এবং fluid যখন ডাইজেস্টিভ ট্রাক দিয়ে যায়, তখনই এমন শব্দ সৃষ্টি হয়, যা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। খেয়াল করে দেখবেন খাওয়ার আগে অনেক সময় মনে হয় পেটের ভিতরে কেউ যেন হাঁটাহাঁটি করছে, যাকে আমরা ছুঁচোর ডন-বৈঠক বলে মজা করে থাকি। আসলে পাকস্থলীতে থেকে যাওয়া খাবার এবং fluid যখন সেখান থেকে বেরিয়া যাওয়ার তোরজোর করে, তখনই মূলত এমন আওয়াজ হয়। তাই পেটের ভিতরে ছুঁচোর ডন-বৈঠক হওয়া মানেই যে আপনার খিদে পেয়েছে, এমনটা ভেবে নিলে কিন্তু ভুল করবেন।
মাঝে মধ্যেই কানে ঘন্টা বাজে নাকি?
ফোনে ঘন্টি বাজলে যেমন আওয়াজ হয়, ঠিক তেমন আওয়াজ কানের ভিতরে হয় নাকি? তাহলে আজই একবার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। এই ধরনের আওয়াজ হওয়াকে চিকিৎসা পরিভাষায় tinnitus বলা হয়। কানে সংক্রমণ হওয়ার কারণে যেমন এমন ঘটে, তেমনই কানের কাছে খুব জোরে শব্দ হলেও একই লক্ষণ প্রকাশ পায়। অনেক সময় বয়সজনিত কারণেও এমন ঘটনা ঘটে থাকে। তাই বিষয়টিকে হলকা ভাবে নিলে ভুল করবেন।
ঢেকুর ওঠার কাহিনী
খাওয়ার আগে পরে ঢেকুর ওঠা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। এই নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। কিন্তু প্রশ্ন হল, ঢেকুর ওঠে কেন, সেটা জানা আছে কি? পাকস্থলীতে জমে থাকা বায়ু যখন মুখ দিয়ে বেরিয়ে যায়, তখনই ঢেকুর ওঠে। তবে ঢেকুর ওটা বন্ধ করতে যদি চান, তাহলে খাওয়ার সময় কথা বলা চলবে না। খেতে হবে ধীরেসুস্থে, চিবিয়ে চিবিয়ে, তাহলেই আর পেটে বায়ু ঢুকতে পারবে না। ফলে ঢেকুর ওঠা বন্ধ হয়ে যাবে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…