কল্পনা শক্তি থাকাটা মন্দ নয়। কিন্তু সব কিছু নিয়ে কল্পনা করতে গিয়ে অযাচিত সমস্যা ডেকে আনাটা তো কোনও কাজের কথা নয়! দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, এই কারণেই আজ অনেকের ঘর ভাঙছে। কিছু ভুল ধরণাকে সত্যি ভেবে নেওয়ার কারণে নিজের অজান্তেই মন বিষিয়ে যাচ্ছ। ফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সম্পর্কের উপরে, যে কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অকারণে দূরত্ব বাড়ছে। আর এমন অশান্তির চোটে সম্পর্ক ভেঙে যেতেও সময় লাগছে না। তাই তো বলি, আশেপাশের লোকের কথা শুনে এই ভুল ধারণাগুলিকে ঠিক ভেবে নিয়ে ভালবাসার সম্পর্ককে নষ্ট করে দেবেন না প্লিজ! বরং যতই ঝড় ঝাপটা আসুক না কেন, পার্টনারের হাত না ছাড়ার অঙ্গীকার করুন। জীবন থাকলে তো সমস্যা আসবেই, তাই বলে ঝগড়াঝাঁটি করে কী লাভ বলুন! বরং দু’জনে মিলে সমস্যার সমাধান খুঁজুন। একে-অপরের উপর বিশ্বাস রাখুন। দেখবেন, সম্পর্কের (marriage) ভিত মজবুত হতে সময় লাগবে না।
ভুলেও এই ভুল ধারণাগুলিকে প্রশ্রয় দেবেন না
১. বিয়ে করা মানেই কিন্তু স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলা নয়
এতদিন একা থাকার পরে হঠাৎ করে অচেনা একজন মানুষের সঙ্গে এক ছাদের তলায় দিন-রাত কাটানোটা সহজ কাজ নয়। তাই তো স্বামী-স্ত্রী দু’জনকেই নানা পরিস্থিতিতে অল্পবিস্তর মানিয়ে নিতে হয়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আপনি আপনার স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলছেন। অনেকেই এই মানিয়ে নেওয়াটাকে স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলার সঙ্গে এক করে ফেলেন, যে কারণে স্বাভাবিকভাবেই মনে দুঃখের মেঘ জমতে শুরু করে। নিজের মতো করে চলতে না পারার কষ্টে মন খিটখিটে হয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এর নেতিবাচক প্রভাব গিয়ে পরে সম্পর্কের উপরে। তাই দয়া করে একটা বিষয় মাথায় গেঁথে নিন। বিয়ের পরে একটু মানিয়ে চলতেই হয়। সবকিছু কিন্তু আপনার মর্জিমতো হবে না। তার মানে এই নয় যে আপনি স্বাধীনতা হারাচ্ছেন। তাই এমন খারাপ চিন্তাকে প্রশ্রয় দিলে ভুল করবেন। তবে আরেকটা বিষয়ও মাথায় রাখা জরুরি। দিনের পর দিন পার্টনার যদি আপনার মতামতকে উপেক্ষা করে, আপনার ভাল-মন্দের দিকে তাঁর যদি কোনও খেয়াল না থাকে এবং আপনার ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রতি সংবেদনশীল না হন, তাহলে জানবেন আপনার স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হচ্ছে। তখন না হয় প্রতিবাদ করবেন। প্রয়োজন এই নিয়ে পার্টনারের সঙ্গে কথা বলতেও পিছপা হবেন না। কিন্তু এমন কিছু না ঘটলে আকারণ ভুল ধারনার বশবর্তী হয়ে সম্পর্ককে তিক্ত করে তোলাটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
২. অসুখী দম্পতিরাই ঝগড়া করেন!
ঝাল-মশলা ছাড়া খাবারের স্বাদ যেমন ফিকে লাগে, তেমনই একটু আধটু ঝগড়া ছাড়াও বৈবাহিক জীবনে কিন্তু কোনও মজা থাকে না! তাই মাঝেমধ্যে ঝগড়া হওয়াটা মন্দ নয়। তাছাড়া বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, অল্পবিস্তর ঝগড়াঝাঁটি হলে নাকি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রেম বাড়ে। তাই মনোমালিন্য হওয়া মানেই আপনারা অসুখি, এমনটা ভেবে নিলে ভুল করবেন। বরং একথা মাথায় রাখা জরুরি যে বৈবাহিক সম্পর্ক হল অনেকটা চড়াই-উতরাই রাস্তার মতো। এক্ষুনি প্রেমে গদগদ, তো এই ঝগড়া। তাই ঝগড়াকে গুরুত্ব না দিয়ে বরং কী কারণে কথা কাটাকাটি হয়েছে, সেটা বুঝে নিয়ে দু’জন মিলে সেই সমস্যার সমাধান খোঁজার কাজে লেগে পরুন। তবে কথায় কথায় যদি ঝগড়া হয়, তা হলে একটু চিন্তার বিষয়। সেক্ষেত্রে একজন সাইকিয়াট্রিস্টের পরামর্শ নিতেই পারেন।
৩. বৈবাহিক জীবন সংক্রান্ত দায়িত্বগুলি মোটেই বোঝা নয়
বিয়ের পরে না চাইলেও ছোট-বড় নানা দায়িত্ব কাঁধে এসে পড়বেই পড়বে। কখনও শাশুড়িকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে ছুটতে হবে, তো কখনও শশুরের সেবায় ভাত ঘুম লাটে উঠবে। সেই সঙ্গে বরের হাজার রকমের ফাইফরমাশ তো রয়েছেই। এত সব দায়িত্বের সঙ্গে প্রথম প্রথম মানিয়ে নিতে একটু কষ্ট হবে ঠিকই। কিন্তু এই দায়িত্বগুলিকে বোঝা ভাবলেই বিপদ! কারণ, এমন নেতিবাচক চিন্তা অনেকটা বিষের মতো হয়, যা ধীরে-ধীরে মনকে বিষিয়ে দেয়। ফলে ছোট-বড় কোনও দায়িত্ব কাঁধে চাপলেই মন-মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। আর সেখান থেকেই বরের সঙ্গে মনোমালিন্য শুরু হয়। এইভাবে দিনের পর দিন আপনার খিটখিটে মেজাজ সইতে-সইতে বরেরও হাল বেহাল হয়ে যায়। তখনই কিন্তু সম্পর্কে চিড় ধরার আশঙ্কা বাড়ে। তাই সুখে-শান্তিতে যদি থাকতে হয়, তা হলে দায়িত্ব নিতে শিখতে হবে। কিছু-কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা হতেই পারে, তাই বলে ঝগড়াঝাঁটি করাটা তো কোনও কাজের কথা নয়। তাহলে কী করণীয়? বরের সঙ্গে এই নিয়ে খোলাখুলি কথা বলুন। তাঁকেও কিছুটা দায়িত্ব ভাগ করে নিতে অনুরোধ করুন। প্রয়োজনে দু’জনে মিলে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গেও আলোচনাও করতে পারেন।
৪. বিয়ের পর বরেরা বদলে যায়
বিয়ের পর পর নানা দায়িত্বের চোটে পরিস্থিতি হয়তো আগের মতো থাকে না। কিন্তু তাই বলে যদি ভেবে নেন বর পাল্টে গেছে, তাহলে ভুল করবেন। মানুষটা আপনাকে ভালবাসে বলেই না বিয়ে করেছে। তাহলে আপনার প্রতি তাঁর ভালবাসা কমবে কেন বলুন তো? বরং বিশেষজ্ঞরা বলছেন বিয়ের পরে ভালবাসা নাকি আরও বাড়ে। কারণ, সে সময় চোট-বড় সব সমস্যারই সমাধান দু’জনে মিলে খুঁজতে হয়। ফলে একে অপরকে আরও কাছ থেকে চেনার সুযোগ মেলে, তাতে করে সম্পর্কের ভিত আরও মজবুত হয়। তাই যাঁরা বিশ্বাস করেন বিয়ের পর বরেরা বদলে যান, তাঁরা যে মস্ত বড় বোকা, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু সেই বোকাদের দলে যদি আপনিও নাম লেখান, তাহলে সময় থাকতে থাকতে একজন ডিভোর্স লইয়ারের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে ফেলতে দেরি করবেন না যেন!
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…