স্বাস্থ্যোজ্জ্বল, পেলব ত্বক পেতে চাইলে এই খাবারগুলি এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ
ডায়েটের সঙ্গে শরীরের ভাল-মন্দের যেমন সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে, তেমনই ত্বকের সৌন্দর্য বাড়বে না কমবে, তা-ও কিন্তু নির্ভর করে কী ধরনের খাবার খাচ্ছেন, তার উপরে। তাই সুস্থ-সুন্দর থাকতে রোজের ডায়েটের দিকে নজর ফেরানোটা একান্ত প্রয়োজন। বিশেষ করে কী-কী খাবার ত্বকের সৌন্দর্যের পরিপন্থী, তা জেনে নিলে অসময়ে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা যেমন কমবে, তেমনই ত্বকের স্বাস্থ্যের বারোটা বাজার আশঙ্কাও আর থাকবে না। তাই চলুন ঝটপট স্কিন বিরোধী খাবারগুলি ( foods) সম্পর্কে একটু জেনে-বুঝে নেওয়া যাক।
১. নুন
নুন খান ক্ষতি নেই! কিন্তু ভুলেও বেশি পরিমাণে খাবেন না। বিশেষ করে কাঁচা নুন তো নয়ই। কারণ, মাত্রাতিরিক্ত নুন খাওয়া শুরু করলে শরীরের নানা ক্ষতি তো হয়ই, সঙ্গে ত্বকের হালও বেহাল হয়ে পরে। কিন্তু প্রশ্ন হল, নুন খাওয়ার সঙ্গে ত্বকের ভাল-মন্দের কী সম্পর্ক? শরীরে নুনের পরিমাণ বাড়লে fluid-এর মাত্রাও বাড়তে থাকে, যে কারণে puffy eye-এর মতো সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই কারণেই তো রোজের ডায়েটে নুনের পরিমাণ কমানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
২. ভাজাজাতীয় খাবার
এই ধরনের খাবার খাওয়াও উচিত নয়। কারণ, ভাজাভুজিতে oxidised fatty acid-এর মাত্রা বেশি থাকে, যা নানা ভাবে ত্বকের ক্ষতি করে দেয়। আরেকভাবেও ভাজা জাতীয় খাবার ত্বকের লাবণ্য কমায়। কীভাবে? ভাজা খাবার বেশি মাত্রায় খেলে শরীরে trans fat-এর মাত্রা বাড়তে থাকে, যে কারণে রক্তে টক্সিক উপাদানের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে অসময়ে ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা যেমন থাকে, তেমনই নানা ধরনের ত্বকের রোগও ঘাড়ে চেপে বসতে পারে। তাই ত্বকের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে তেলেভাজা জাতীয় খাওয়া এড়িয়ে চলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।
৩. কফি
দিনে কি চার-পাঁচ কাপ কফি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে? তাহলে তো ত্বকের বারোটা বাজল বলে! কেন এমন কথা বলছি, তাই ভাবছেন? আসলে কী জানেন, কফিতে রয়েছে ক্যাফিন। শরীরে এর পরিমাণ বাড়তে থাকলে জলের পরিমাণ কমতে শুরু করে। সঙ্গে ত্বকের ভিতরেও জলের মাত্রা কমে, যে কারণে বলিরেখা প্রকাশ পাওয়ার আশঙ্কা থাকে, যে কারণে অসময়ে ত্বক (skin) বুড়িয়েও যেতে পারে। তাই তো ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে হলে কফি খাওয়া কমাতেই হবে। বেশি পরিমাণে চা খাওয়াও চলবে না। কারণ, কফির মতো চায়েও কিন্তু ক্যাফিন থাকে। তাহলে দিনে ক’কাপ কফি-চা খাওয়া যেতে পারে? দু-তিন কাপ খান না, ক্ষতি নেই। কিন্তু এর থেকে বেশি পরিমাণে খাওয়া চলবে না।
৪. মিষ্টিজাতীয় খাবার
বেশি পরিমাণে নুন খেলে যেমন ত্বকের ক্ষতি হয়, তেমনই মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে চিনি এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলেও একই ঘঠনা ঘটে। আসলে এমন ধরনের খাবার খাওয়া মাত্র ইনসুলিন লেবেল বেড়ে যায়, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে ত্বকের উপরে। তাই তো দিনে এক চামচের বেশি চিনি খাওয়া যেমন চলবে না, তেমনই রসগোল্লা, সন্দেশ, কেক এবং আইস ক্রিমও এড়িয়ে চলতে হবে। যদি সম্ভব হয়, তাহলে সাদা পাউরুটি খাওয়াও বন্ধ করে দিন। এই নিয়মগুলি মেনে চললে উপকার যে পাবেই পাবেন, সে কথা হলফ করে বলা যেতে পারে।
৫. মটন
মাসে এক-দু’বার খাশির মাংস খেলে কোনও ক্ষতি নেই। কিন্তু দিনের পর দিন খেলেই বিপদ! কারণ, তাতে করে শরীরে saturated fat এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়বে, যে কারণে প্রদাহের মাত্রাও লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাবে। ফলে collagen-এর উৎপাদন কমবে। আর এমন ঘটনা ঘটলে স্বাভাবিকভাবেই যে ত্বকের সৌন্দর্য একেবারে তলানিতে এসে ঠেকবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই!
আরও যে যে খাবার এড়িয়ে চলতে হবে
বেশি পরিমাণে অ্যালকোহল সেবন করলে যেমন ত্বকের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তেমনই যে সব খাবার হাই গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের আওতায় পড়ে, সেসব খাবারও এড়িয়ে চলতে হবে। এড়িয়ে চলতে হবে প্রসেসড ফুডও। আপনি কি ক্র্যাশ ডায়েট করার কথা ভাবছেন? তাহলে জেনে রাখা ভাল যে এই ধরনের ডায়েট প্ল্যান মেনে চললে শরীরে ভিটামিন-মিনারেলের ঘাটতি দেখা দেয়, যে কারণে ত্বকের সৌন্দর্য কমতে সময় লাগে না।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoEverydayBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…