তিরিশ আর এমন কী বয়স বলুন। এই বয়সে কি আর শরীরে মরচে ধরে যে, নানা পরীক্ষা করে দেখতে হবে! এই ধরণাই গেঁড়ে বসে আছে সিংহভাগের মগজে। তাই তো অনেকেই অল্প বয়সে নানা রোগের খপ্পরে পড়ছেন। আসলে কী জানেন, চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে, তিরিশের পর থেকে নাকি শরীরের ক্ষমতা ধীরে-ধীরে কমতে শুরু করে। রক্তের সেই তেজও আর থাকে না। তাই তো এই বয়স থেকেই শরীরের দিকে একটু বেশি করেই নজর দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষ করে মহিলাদের তো নিয়ম করে এই শরীরিক পরীক্ষাগুলি করে দেখে নেওয়া উচিত কোথাও কোনও রোগ বাসা বেঁধেছে কিনা। প্রশ্ন করতেই পারেন, রোগ নেই যখন, তখন পরীক্ষা করে লাভ কী? আমাদের এই এক সমস্যা। সবাই ভাবি, রোগ হলে তবেই পরীক্ষা করতে হয়। কিন্তু এই ধারণা একেবারে ভুল। কারণ, যে-কোনও রোগকে প্রাথমিত আবস্থাতে ধরে ফেলে ঠিক সময়ে যাতে চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া যায়, তা সুনিশ্চিত করতেই বছর-বছর এই পরীক্ষাগুলি (Medical Tests) করতে হবে। তাতে করে রোগের প্রকোপ কমবে বই কী! ফলে বাড়বে আয়ু। শরীর থাকবে রোগমুক্ত। তাই আর সময় নষ্ট না করে চলুন জেনে ফেলা যাক, প্রয়োজনীয় সেই সব পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলি সম্পর্কে।
১. ইসিজি
গত কয়েক বছরে আমাদের দেশে হার্টের রোগের প্রকোপ মারাত্মক হারে বেড়েছে। বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকসহ নানা কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়েছে চোখে পড়ার মতো। তাই তো সময় থাকতে-থাকতেই সাবধান হওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। তাছাড়া খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে আমরা মোটেই যত্নশীল নই। সেই সঙ্গে লেজুড় হয়েছে স্ট্রেস-অ্যাংজাইটি। তাই তো হার্টের উপর চাপ বাড়ছে। ফলে তিরিশের কোটা পেরতে না-পেরতেই হার্টের দেখভাল মাস্ট! এই কারণেই চিকিৎসকের পরামর্শমতো নিয়ম করে ECG করাতে ভুলবেন না যেন!
২. জেনেটিক টেস্ট
আগামী দিনে কোনও জটিল রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে কিনা তা জানতে এই পরীক্ষাটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। Genetic testing-এর মাধ্যমে কোষের মিউটেশনের দিকে নজর রাখা হয়। সেই দেখেই নানা রোগের লক্ষণ বুঝে নিতে পারেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে কিনা, তা এই টেস্টের মাধ্যমে অনেক আগে থাকতেই জেনে ফেলা সম্ভব। শুধু তাই নয়, ‘ডিএনএ’র গঠনে পরিবর্তন আসার কারণে কোনও জটিল রোগ হতে পারে কিনা, সেটাও জেনেটিক টেস্ট করে জেনে যাওয়া যায়। মা হওয়ার কথা ভাবছেন নাকি? তা হলে তো একবার জেনেটিক টেস্ট করিয়ে নেওয়া উচিত। এই টেস্টটি করালে বাচ্চার শারীর সম্পর্কেও নানা তথ্য জেনে ফেলবেন। বিশেষ করে আগামী দিনে আপনার বাচ্চার কোনও ধরনের শারীরিক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কিনা, তা মায়ের জেনেটিক টেস্ট করেই জেনে নেওয়া যায়। তাই বুঝতেই পারছেন, আজকের দিনে এই টেস্ট করানোর প্রয়োজন কতটা।
৩. লিপিড প্রোফাইল টেস্ট
তিরিশের কোটা ছোঁওয়ামাত্র বছরদু’য়েক বাদে-বাদে একবার করে লিপিড প্রোফাইল টেস্টটা করিয়ে নেবেন। তাতে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ল কিনা, তা জেনে নিতে পারবেন। সেই সঙ্গে হার্টের ভাল-মন্দ সম্পর্কেও খোঁজ পেয়ে যাবেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যাঁদের পরিবারে হাই কোলেস্টেরল, হার্টের রোগ, ওবেসিটি এবং ডায়াবেটিসের ইতিহাস রয়েছে, তাঁরা বছর একবার করে লিপিড প্রোফাইল টেস্ট করিয়ে নেবেন। সঙ্গে ব্লাড সুগার টেস্ট করাতেও ভুলবেন না! তাতে হাতে সময় থাকতে-থাকতেই অনেক জটিল রোগকেই বিপদসীমার মধ্যেই বেঁধে ফেলার সুযোগ পাবেন।
৪. লিভার ফাংশন টেস্ট
দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির অন্যতম হল লিভার। তাই তো এর দেখভাল করাটা আমাদের প্রথম এবং প্রধান কাজ। এই কারণেই বছরে একবার করে Liver chemistry tests বা লিভার ফাংশন টেস্ট করিয়ে নেওয়া উচিত। এতে লিভারের স্বাস্থ্য সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খ জেনে ফেলা যায়। শুধু তাই নয়, কোনও রোগ বা সংক্রমণ লিভারে বাসা বেঁধেছে কিনা, তাও জেনে ফেলা যায় লিভার ফাংশন টেস্টের মাধ্যমে। এই পরীক্ষায় যদি কোনও গোলযোগ ধরা পড়ে, তা হলে ঝটপট চিকিৎসা শুরু করে দেবেন। প্রয়োজনে ডায়েটের মাধ্যমে লিভারের ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার চেষ্টার লেগে পড়াই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ, ভুলে গেলে চলবে না হার্টের ক্ষতি হওয়াটা যেমন বিপদের, তেমনই লিভার ঠিকমতো কাজ না করলেও তা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
এসে গেল #POPxoBeauty – POPxo-র স্কিন, বাথ, বডি এবং হেয়ার প্রোডাক্টস নিয়ে, যা ব্যবহার করা ১০০% সহজ, ব্যবহার করতে মজাও লাগবে আবার উপকারও পাবেন! এই নতুন লঞ্চ সেলিব্রেট করতে প্রি অর্ডারের উপর এখন পাবেন ২৫% ছাড়ও। সুতরাং দেরি না করে শিগগিরই ক্লিক করুন POPxo.com/beautyshop-এ এবার আপনার রোজকার বিউটি রুটিন POP আপ করুন এক ধাক্কায়…