আজকের দিনে চিকিৎসার খরচ যা বেড়েছে, তাতে শুধুমাত্র সেভিংসের উপর ভরসা রাখাটা বোকামি। তাই তো গত কয়েক বছরে হেলথ (Health) ইনশিওরেন্সের চাহিদা লাফিয়ে-লাফিয়ে বেড়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, হেলথ ইনশিওরেন্স কেনার সময় কী কী বিষয় জেনে-বুঝে নেওয়া উচিত, সে সম্পর্কে জানা আছে কি? কারণ, অন্ধের মতো ইনশিওরেন্স পলিসি কিনলে শুধুমাত্র ট্যাক্সই বাঁচবে, আর কিছু উপকার কিন্তু পাবেন না। তাই ভেবে-চিন্তে পলিসি নির্বাচন করা একান্ত প্রয়োজন। আর ঠিক সেই কারণেই কতগুলি বিষয় মাথা রাখতে হবে। যেমন ধরুন…
এমন হেলথ ইনশিওরেন্স (Insurance) পলিসি কেনা উচিত যার আওতায় একাধিক রোগকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কারণ, এমনটা না হলে বছর বছর প্রিমিয়ামের টাকা দেওয়ার পরেও কিন্তু বিপদের সময় কোনও সাহায্য পাবেন না। বিশেষ করে বাবা-মা যে সব রোগে ভুগছেন, সেই সব রোগের চিকিৎসার খরচ পলিসির মধ্যে রয়েছে কিনা, তা দেখে নিতে হবে। এক্ষেত্রে বেশ কিছু পলিসিতে ওয়েটিং পিরিয়ড থাকে। অর্থাৎ বাবা-মার আগে থাকতেই যে সব রোগ রয়েছে, সেই সব রোগের চিকিৎসার বিল মেটানোর আগে ইনশিওরেন্স কোম্পানি বেশ কিছু মাস অপেক্ষা করেন। কিছু কিছু কোম্পানির ওয়েটিং পিরিয়োড দু’বছরও হয়। তাই যে সব পলিসির ওয়েটিং পিরিয়োড কম, তেমন পলিসিই কেনা উচিত। তাতে যদি একটু বেশি প্রিমিয়াম দিতে হয়, তাতে কোন ক্ষতি নেই।
হেলথ ইনশিওরেন্স কিনলে দু’ধরনের সুবিধা পাওয়া যায়। যার অন্যতম হল ক্যাশলেস। অর্থাৎ ইনশিওরেন্স কোম্পানির সঙ্গে যে যে হসপিটালের চুক্তি রয়েছে, যাকে নেটওয়ার্ক হসপিটাল বলা হয়, সেখানে কোনও চিকিৎসা করালে রোগীকে এক পয়সাও পকেট থেকে খরচ করত হয় না। কিন্তু নেটওয়ার্ক হসপিটালের বাইরে যদি চিকিৎসা করান, তাহলে প্রথমে আপনাকে খরচ করতে হবে, তারপর সব কাজপত্র জমা দিলে ইনশিওরেন্স কোম্পানি reimburse করবে। পলিসি কেনার সময় দেখে নেওয়া উচিত reimburse হিসেবে কত টাকা মিলবে। যে পলিসিতে অধিকাংশ টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি করা হচ্ছে, তেমন পলিসিই কেনা উচিত। তাতে আপনার সেভিংস অ্যাকাউন্টে ধাক্কা লাগবে কম। তবে এক্ষেত্রে কোনও লুকনো শর্তাবলী আছে কিনা, সে সম্পর্কে ইনশিওরেন্স এজেন্টের সঙ্গে ঠিক মতো আলোচনা করে নিতে ভুলবেন না যেন!
বছরের পর বছর মোটা টাকা প্রিমিয়াম দেওয়ার পরেও যদি বিপদের সময় কোন সুবিধা না পান, তাহলে আর কী লাভ বলুন! তাই তো যে ইনশিওরেন্স কোম্পানির বীমা কিনছেন, তার claim settlement ratio সম্পর্কে একটু খোঁজ-খবর করে নেওয়া উচিত। কারণ, সেটেলমেন্ট রেশিও যদি খুব কম হয়, তাহলে এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে, সেই কোম্পানির অর্থনৈতিক অবস্থা মোটেই ভাল নয়। তাই যে সব কোম্পানির সেটেলমেন্ট রেটিং ভাল, তাদের উপর ভরসা রাখা যেতে পারে। এক্ষেত্রে চেনা-পরিচিতদের সঙ্গেও একবার আলোচনা করে নেবেন। কারণ, অনেক সময় ইনশিওরেন্স এজেন্ট নিজের স্বার্থে এমন কিছু পলিসি বিক্রি করার চেষ্টা করেন, যা আপনার পকেটে বড় রকমের ফুটো করার পরেও সেভাবে কোনও কাজে আসবে না। তাই চোখ বন্ধ করে এজেন্টের কথা শুনে হেলথ ইনশিওরেন্স কিনে ফেলার ভুল কাজটা ভুলেও করবেন না যেন!
বাবা-মায়ের হেলফ ইনশিওরেন্স পলিসি কত বছর পর্যন্ত চালাতে পারবেন, সে সম্পর্কে জেনে নিতে ভুলবেন না। কারণ, কিছু পলিসির Renewal age খুব কম হয়। তাই ভুল করে এমন কোনও পলিসি কিনে ফেললেই বিপদ! তাই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বেশ কয়েকটি হেলথ ইনশিওরেন্স পলিসির মধ্যে তুল্যমূল্য বিচার করে দেখে নেবেন কোন পলিসির Renewal age সবথেকে বেশি।
যে পলিসিটা বেছে নিয়েছেন তার প্রিমিয়াম কত, সে সম্পর্কে জেনে নেওয়াটা আবশ্যিক। কারণ, আপনার একটা বাজেট রয়েছে। তার থেকে বশি হলে তো সমস্যার। এই কারণেই প্রিমিয়াম সম্পর্কে খোঁজ খবর করে নেওয়াটা জরুরি। আজকাল বেশ কিছু হেলথ ইনশিওরেন্স পলিসির প্রিমিয়াম ছয় মাস অন্তর দেওয়া যায়। আপনি যে ইনশিওরেন্স পলিসিটি বেছেছেন, তাতে এমন কোনও স্কিম রয়েছে কিনা তাও জেনে নেবেন। তবে একটা বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। তা হল, চিকিৎসার খরচ বাঁচানোটাই যেখানে প্রধান লক্ষ্য, সেখানে এমন পলিসি কেনা উচিত যাতে সর্বাধিক উপকার মিলবে, তাতে যদি বাজেটের থেকে একটু বেশি প্রিমিয়াম দিতে হয়, ততে কোনও ক্ষতি নেই! বরং লাভই লাভ।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!