ছোটবেলায় যেমন ওঁরা আমাদের হাতে ধরে লিখতে শিখিয়েছেন, তেমনই বড় বয়সে এসে দিনের পর দিন আমাদেরই ওঁদের শিখিয়ে দিতে হয়। কাদের কথা বলছি বুঝতে পারছেন? মা, বাবার কথা। তাঁরা বারবার কী শিখতে চায়? ফেসবুকে কীভাবে প্রোফাইল পিকচার বদলাতে হয় কিংবা হোয়াটস অ্যাপে আজ রান্নার ছবিটা কীভাবে পাঠাতে হয়! আমরা বন্ধুরা যখনই আড্ডা দিতে বসি, প্রায় সবাই একই আলোচনা করি। কেউ বলে সে তার মা’কে অন্তত গোটা ২০বার দেখিয়েছে হোয়াটস অ্যাপে ছবি অ্যাটাচমেন্টের পদ্ধতি আবার কেউ তার বাবার গল্প করতে গিয়ে হাসবে না কাঁদবে বুঝতে পারে না। কারণ, তার বাবা যখনই ফেসবুকের পাসওয়ার্ড ভুলে যায় তখনই নতুন একটা প্রোফাইল খুলে বসে (parents on social media)।
এই করে তার বাবার অন্তত ৫টা প্রোফাইল আছে। প্রোফাইল খুলে না দিলেই মুখ ভার! বার বার কথা শোনায়, “আমায় সবচেয়ে বাজে ফোনটা দিয়েছে, কিছু নেই।” এই গল্প শোনার পর আমরা সবাই হাহা করে হেসে উঠেছিলাম ঠিকই, কিন্তু পর মুহূর্তে মনে পড়ে গিয়েছিল আমাদের ছোটবেলার কথা। যখন ওঁরা আমাদের বারবার অ, আ লিখতে শিখিয়েছিলেন। আপনার মা, বাবাও কি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার(parents on social media) করতে গিয়ে নানা রকম হাসির কাণ্ড ঘটান? আমরা কয়েকটা উদাহরণ দিলাম, মিলিয়ে নিন আপনার বাবা, মা কোনটা করেন।
আপনার মাও কি এমন করেন?
পরিচিত সবার কাছে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট যায়
আপনার প্রায় সব বন্ধুই আপনাকে এসে বলবে, তাদের আপনার বাবা কিংবা মা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছেন। তারা এক্সেপ্ট করেছে। আপনি মনে মনে ভাবছেন, এ কী হল!
কমেন্টের বন্যা!
আপনার কোনও পোস্টে হয়তো আপনি কমেন্ট সেকশনে বন্ধুর সঙ্গে কোনও কথা বলছেন। সেখানে এসেও আপনার বাবা কিংবা মা কমেন্ট করেন। আপনাদের মধ্যেই কথা বলতে শুরু করে দেন। তখন নিজেদের মতো কেটে পড়াই ভাল!
পুরনো ছবি খুঁজে পাওয়া
আপনি কখনও হয়তো বাড়িতে মিথ্যে বলে কোথাও ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেই ছবি আপ্লোডও করেছিলেন সোশ্য়াল মিডিয়ায়। আপনার মা আজ সকালেই সেই ছবি দেখতে পেয়েছে। ব্যাস! হয়ে গেল!
“এই ছেলেটা কে?”
এই কথা আপনি এতদিন সামনা সামনি শুনে এসেছিলেন। এবার আপনি শুনছেন সোশ্য়াল মিডিয়াতেও। কোনও ছেলে আপনার ছবিতে বা পোস্টে কমেন্ট করল, আপনার মায়ের যদি সেটা নজরে পড়ে যায়। তাহলে সরাসরি তাকেও প্রশ্ন করে বসতে পারেন, নাহলে আপনাকে তো প্রশ্ন করবেই (parents on social media)।
শ্রী এবং শ্রীমতি গোয়েন্দা
আপনি কার ছবিতে কী কমেন্ট করেছেন, আপনি কোথায় গিয়েছেন, কে কে আপনার বন্ধুর তালিকায় রয়েছে, সব কিছুই আপনার মা ও বাবা এবার নজর রাখবেন। সোশ্য়াল মিডিয়ায় তাঁদের অন্য়তম প্রিয় কাজ!
আপনার ছোটবেলার ছবি আপ্লোড
যে ছবিগুলো আপনি ভেবেছিলেন যে, এবার বাদ দেওয়া গিয়েছে। লজ্জার ছবি আর কাউকে কোনওদিন দেখানো যাবে না। সেই ছবিগুলোই এরপর সোশ্য়াল মিডিয়ায় আপ্লোড করবেন আপনার বাবা, মা। কী কিউট না!
হোয়াটস অ্যাপ ফরোয়ার্ড ও গুড মর্নিং মেসেজ!
এটাও তাঁদের অন্যতম প্রিয় কাজ আপনিও জানেন। সূর্যমুখী, সূর্যোদয় ইত্যাদি ছবির উপর সুপ্রভাত লেখা বার্তা আপনার বাবা কিংবা মা আপনাকে প্রতিদিন সকালে পাঠাবেন। না হলে কীসব হোয়াটস অ্যাপ ফরোয়ার্ড তো আছেই!
ফোন না ধরলে সোশ্য়াল মিডিয়ায় জন সম্মুখে ঝার!
এই ঝার যারা খেয়েছে, তারাই জানে। হয়তো সে মায়ের ফোন ধরেনি। তারপর তার মা ফেসবুকে কমেন্ট বক্সে এসে লিখেছিলেন, “ফোন কেন ধরছিস না?” সোশ্যাল মিডিয়ায় মা বাবা এসব করে থাকেই।
মা, বাবারা এরকম নানা রকম মজার কীর্তি ঘটিয়ে থাকেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই সময়ে রাগ হয় ঠিকই, কিন্তু পরে ব্যাপারটা ভেবে মিষ্টি লাগে। যাই হোক, ওঁরা আমাদের বাবা, মা। আমাদের খুবই প্রিয়। হাজার রকম ঝগড়া অভিমানের পরেও ওঁদের আমরা একইভাবে ভালবাসি।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!