টানা কয়েক ঘন্টা কম্পিউটারে কাজ করার পরে চোখ চুলকানো তো স্বাভাবিক। সে সময় হালকা করে চোখ ঘষতেই পারে, তাতে কোনও ক্ষতি হয় না। বরং বেশ কিছু উপকার মেলে। বলেন কী, চোখ ঘষলে উপকার মেলে? বিশেষজ্ঞদের মতে মিনিট খানেক চোখ ঘষা মাত্র vagus nerve সক্রিয় হয়ে ওঠে, যে কারণে হার্টবিট স্বাভাবিক থাকে, সেই সঙ্গে স্ট্রেস লেভেলও কমতে শুরু করে। কিন্তু তাই বলে বারে বারে চোখ ঘষা চলবে না! বিশেষ করে ধুলোবালির কারণে যদি চোখ চুলকায়, তাহলে তো ভুলেও চোখে হাত দেবেন না যেন! চোখ (eyes) ঘষা থেকেও বিরত থাকতে হবে। কিন্তু কেন জানেন?
খুব জোরে জোরে চোখ ঘষলে কর্নিয়ার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমনকি, সেই থেকে keratoconus-এর মতো রোগও হতে পারে। আর যদি কোনও কারণে corneal tissue ক্ষতিগ্রস্থ হয়, তাহলে তো আর দেখতে হবে না! সেক্ষেত্রে কর্নিয়া ট্রান্সপ্লান্ট করারও প্রয়োজন পড়তে পারে। তাই যে কোনও কারণেই হোক, বারে বারে চোখ ঘষা চলবেই না। বিশেষ করে জোরে জোরে চোখ ঘষা থেকে বিরত থাকতে হবে।
রাস্তাঘাটে চলাফেরা করার সময় এমন ঘটনা তো আকছারই ঘটে থাকে। কিন্তু সে সময় ভুলেও চোখ ঘষলে চলবে না। কেন, তাতে কী ক্ষতি হয়? ধুলোবালির কারণে চোখ চুলকানোটা স্বাভাবিক। কিন্তু সে সময় যদি জোরে জোরে চোখ ঘষা হয়, তাহলে কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই এমন পরিস্থিতিতে চোখ না ঘষে জলের ঝাপটা দেওয়া উচিত, তাতে অস্বস্তি কমে যেতে সময় লাগবে না।
আরও পড়ুন: দৃষ্টিশক্তির বারোটা বাজাতে না চাইলে অন্ধকারে মোবাইলের ব্যবহার বন্ধ করুন
এই রোগের চিকিৎসায় যে সব ড্রপ ব্যবহার করা হয়, সেগুলির মধ্যে বেশি কয়েকটি ওষুধ চোখে দেওয়া মাত্র চোখ চুলকানোর আশঙ্কা থাকে। সে সময় ভুলেও চোখ ঘষা উচিত নয়। তাতে করে চোখের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে অপটিক নার্ভ যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে কিন্তু চিন্তার বিষয়! প্রসঙ্গত, বারে বারে চোখ চুলকালে নাকি intraocular pressure বেড়ে গিয়ে বড় কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমনকী, এই কারণে নাকি বেশ কিছু চোখের রোগও হতে পারে। তাই এমন ভুল এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ।
প্রতি মুহূর্তে হাজার হাজার ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এসে ভিড় জমাচ্ছে আমাদের হাতে। এমন পরিস্থিতিতে যখনই আমরা চোখ চুলকাচ্ছি, তখনই সেই সব জীবাণু হাত হয়ে চোখের ভিতরে প্রবেশ করার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই চোখে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে বই কী! চোখের সংক্রমণে আক্রান্ত হলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না যেন! আজকাল ছোটখাটো সংক্রমণ থেকেও কিন্তু বড় রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এমন রোগ ফেলে রাখলেই বিপদ! তবে সংক্রমণজনিত অস্বস্তি কমাতে বারে বারে গরম সেঁক দিতে পারেন। দেখবেন, উপকার মিলবে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
২০২০ শুরু করুন আমাদের দারুণ দারুণ প্ল্যানার আর স্টেটমেন্ট সোয়েটশার্ট দিয়ে। এগুলো সবকটাই আপনারই মতো একশ শতাংশ মজার এবং অসাধারণ! ওহ হ্যাঁ, শুধুমাত্র আপনার জন্য রয়েছে ২০ শতাংশ ছাড়ের ব্যবস্থাও। দেরি কিসের আর, এখনই POPxo.com/shop থেকে কেনাকাটা সেরে ফেলুন আর নিজেকে আরেকটু পপ আপ করে ফেলুন!