আপনি শাড়ি কেনার সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দোকানে বসে থাকেন। আপনি গাড়ি কেনার সময় সহকর্মীর পরামর্শ নেন। আপনি সংসারের প্রতিটি টুকিটাকি কেনার সময় অনেক চিন্তা ভাবনা করেন। অথচ ছোট্ট একটা জিনিস, যেটা প্রতিদিন আমাদের কাজে লাগে। আপনার লাগে, আপনার বাড়ির প্রত্যেকের লাগে। অথচ সেটা “যাহোক একটা হলেই হল!” বলে কিনে ফেলেন। টুথব্রাশ। আপাত দৃষ্টিতে দেখলে জিনিসটার সেরকম কোনও গুরুত্ব নেই। কিন্তু আমাদের ত্বকের ধরন অনুযায়ী যদি ফেসপ্যাক হতে পারে, পায়ের মাপ আলাদা বলে জুতো আলাদা হতে পারে, তাহলে আপনি যেরকম ব্রাশ দিয়ে দাঁত মাজেন, ঠিক একই রকমের ব্রাশ (toothbrush) দিয়ে আমি কেন দাঁত মাজব? তাই এবার থেকে অন্যান্য জিনিসের মতো টুথব্রাশ কেনার আগেও দেখে শুনে (choose) বুঝে নিয়ে সঠিক টুথব্রাশ কিনুন। কারণ এটা আপনার দাঁতের স্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত। তাই দাঁত থাকতেই দাঁতের গুরুত্ব বুঝুন।
টুথব্রাশ কেনার আগে মনে রাখুন এই বিষয়গুলো
১। আমরা প্রত্যেকেই বিজ্ঞাপন দেখে অনুপ্রাণিত হই। টুথব্রাশেরও নানা রকমের বিজ্ঞাপন হয়। টুথব্রাশের হ্যান্ডলে স্লিপ গ্রিপ বা ফ্লেক্সিবল গ্রিপ আছে কিনা, টুথব্রাশের মাথা চৌকো না তেকোনা, ব্রিসলে তরঙ্গ আছে না সেটা সমান নাকি সামান্য উত্তল, এত কিছু মন দিয়ে খুঁটিয়ে দেখার কোনও দরকার নেই, বিশ্বাস করুন। শুধু একটা ছোট্ট জিনিস দেখে নিলেই কাজ হাসিল হবে। এই টুথব্রাশ ব্যবহার করবেন আপনি। তাই সেটা ব্যবহারের সময় আপনি কতটা কমফোর্টেবল। অর্থাৎ এই ব্রাশ মুখে ঢোকানোর পর সেটা সব দিকে যাচ্ছে কিনা এটুকু হলেই হবে।
২। সারা বিশ্ব জুড়ে দাঁতের ডাক্তাররা বলেছেন যে দাঁত মাজার সময় সফট ব্রিসল বা নরম ব্রাশ ব্যবহার করতে। কারণ এই জাতীয় ব্রাশই দাঁতের ফাঁকে লুকিয়ে থাকা খাবার ও ময়লা সহজে বের করতে পারে।
৩। বাজারে পাওয়ার্ড টুথব্রাশ পাওয়া যায়। এটা আসলে বৈদ্যুতিন টুথব্রাশ। এটা আপনি তখনই ব্যবহার করবেন যখন স্বাভাবিকভাবে টুথব্রাশ ব্যবহারে আপনার কোনও সমস্যা আছে। আর ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এই জাতীয় টুথব্রাশ ব্যবহার না করাই ভাল।
৪। খেয়াল রাখতে হবে ব্রাশের মাথা যেন ছোট হয়। কারণ টুথব্রাশের মাথা যদি বেশি বড় হয় তাহলে সেটা আপনার মুখে এদিক থেকে ওদিক সহজভাবে ঘুরতে পারবে না।
কত দিন অন্তর টুথব্রাশ বদলানো উচিত
নিয়ম অনুযায়ী প্রতি তিন মাস অন্তর আপনার টুথব্রাশ পাল্টে দেওয়া উচিত। অবশ্য তার আগে যদি দেখেন যে টুথব্রাশের ব্রিসল ছড়িয়ে গেছে বা কালচে হয়ে গেছে তাহলে তিন মাসের আগেও পাল্টে দিতে পারেন। আপনার মুখে যদি কোনও ঘা হয় বা সর্দি হয় তাহলেও ব্রাশ পাল্টে ফেলতে হবে। কারণ ব্রাশের ব্রিসলের গোড়ায় জীবাণু লেগে থাকে। আপনি যদি ব্রাশ না পাল্টান তাহলে আবার এই জীবাণু সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!