গুটিগুটি পায়ে সম্পর্ক এগোতে-এগোতে যখন বেশ ভালই দানা বেঁধে যায়, মানে বিয়ের দিকে বিষয়টি টার্ন নেয়, আপনার আবদার একটাই। বয়ফ্রেন্ডকে (boyfriend) মিষ্টি করে বলা, “অ্যাই, এবার আমায় তোমার বাবা-মায়ের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দাও!” হ্যাঁ, হবু শ্বশুরবাড়ি (family) চিনে নিতে তো ইচ্ছে করতেই পারে। কিন্তু বিষয়টি অত সোজা নয়। হতে পারে এই যে আপনারা হাতে হাত রেখে অ্য়াদ্দিন ধরে এদিক-সেদিক ঘুরে বেরিয়েছেন সে খবর বয়ফ্রেন্ডের বাবা-মা এখনও জানেন না। বা তাঁরা জানেন কিন্তু তাঁরা নিজে থেকে আপনার সঙ্গে দেখা করার বিশেষ কোনও ইচ্ছে প্রকাশ করেননি। তাই প্রথমবার (first) বয়ফ্রেন্ডের বাড়ি গেলে আপনাকে একটু হলেও সাবধান হতে হবে। মাথায় রাখুন এই সাতটি বিষয়। তারপর দুগ্গা দুগ্গা!
১) পারিবারিক অনুষ্ঠানে গিয়ে হাজির হবেন না
যেদিন দেখা করতে যাবেন সেদিন শুধুই বাবা-মায়ের সঙ্গেই দেখা করবেন। এছাড়া বয়ফ্রেন্ডের দাদু-ঠাকুরমা বা ভাই বোন থাকলে আপত্তি নেই। কিন্তু যেদিন বাড়িতে কোনও পুজো আছে বা রাঙা পিসির জন্মদিন বা এমন কোনও অনুষ্ঠান যেদিন অনেক আত্মীয়স্বজন আসবেন সেদিন না যাওয়াই শ্রেয়। কারণ, এঁরা প্রত্যেকে আপনাকে গোয়েন্দাদের মতো জরিপ করবে। আপনি কী খান, কী পরেন এবং কী করেন সহ নানা প্রশ্নে জর্জরিত করে দেবেন। এতে ভবিষ্যতের প্ল্যান কেঁচে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকবে।
২) বয়ফ্রেন্ডের বাবা-মা সম্পর্কে ছোট্ট হোমওয়র্ক
হ্যাঁ, এটা খুব দরকারি। তাঁরা আদতে কীরকম মানুষ সেটা জেনে নেওয়া প্রয়োজন। ধরুন, আপনি ওয়েস্টার্ন জামাকাপড় পরতে পছন্দ করেন বা বেশি কথা বলতে ভালবাসেন। সেটা তাঁরা আদৌ পছন্দ করেন কিনা জেনে নিন। ফার্স্ট ইমপ্রেশন ইজ দ্য লাস্ট ইমপ্রেশন। এর পরে আপনি হাজার বার ওই বাড়িতে গেলেও সেই প্রথম সাক্ষাতের কথাই তাঁরা মনে রেখে দেবেন।
৩) আপনারা দু’জনে একই কথা ভাবছেন তো?
আপনি হয়তো এই সম্পর্ক নিয়ে খুব সিরিয়াস। আপনি চাইছেন এই সম্পর্ক একটা পরিণতি পাক, যার নাম বিয়ে। কিন্তু আপনার বয়ফ্রেন্ড হয়তো এখনও এতটা ভেবে উঠতে পারেননি। তিনি এমনিই আপনাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। তাই বয়ফ্রেন্ডের বাবা-মা যখন জানতে চাইবেন এই সম্পর্ক নিয়ে আপনারা ঠিক কী ভাবছেন আপনাদের উত্তর যেন এক হয়। আপনি বিয়ে করতে চান আর এদিকে বয়ফ্রেন্ড চান না বা বয়ফ্রেন্ড চান আর আপনি এখনও বন্ধুত্বের স্তরে আটকে আছেন, এমনটা যেন না হয়।
৪) সাজপোশাকে নজর দিন
যে-কোনও ভারতীয় পরিবারে ছেলের বাবা-মা চান ছেলের হবু স্ত্রী বা প্রেমিকা ভারতীয় পোশাকে আসবেন। পরে আপনি যা খুশি পরুন কিন্তু প্রথম সাক্ষাতে সুন্দর সালোয়ার কামিজ বা শাড়ি পরে যাওয়াই বাঞ্ছনীয়। দামি ব্র্যান্ড নয়, রুচির দিকে নজর দিন। আপনি চলে যাওয়ার পর তাঁরা যেন বলেন আপনার ড্রেস সেন্স ও মেকআপের রুচিতে তাঁরা মুগ্ধ।
৫) বলুন কম, শুনুন বেশি
তাঁরা অনেক কিছু বলবেন। সব কথা আপনার মনে না-ও ধরতে পারে। কিন্তু পাল্টা জবাব না দিয়ে তাঁরা যা বলছেন, সেটা মন দিয়ে শুনুন। তাই প্রথম সাক্ষাতে অন্তত কথা কম বলে বাকিরা কী বলছেন সেটা শুনুন। এতে তাঁদের মনোভাব স্পষ্ট হবে। আপনি যদি বারবার তাঁদের বাধা দিয়ে থামিয়ে দেন তা হলে আপনার বিষয়ে তাঁরা ভুল ধারণা পোষণ করবেন। তাছাড়া কোনও বিতর্কিত বিষয় যেমন লিভ-ইন বিষয়ে আপনি কী ভাবেন বা বিশেষ কোনও রাজনৈতিক দল সম্পর্কে আপনার মতামত কী, এই বিষয়গুলি বুদ্ধি করে এড়িয়ে যাবেন।
৬) বাবা-মায়ের সামনে আদিখ্যেতা নয়
যাঁকে সারা জীবনের জন্য আপনি পেতে চলেছেন, তাঁকে নিয়ে চোখে হারাই গোছের ভাব করবেন না। বাবা-মায়ের সামনে বয়ফ্রেন্ডের হাতে হাত ধরে বসা বা গায়ের উপর ঢলে পড়া এগুলো একদম করবেন না। সেটা এমনিতেই ভাল দেখায় না। তা ছাড়া এটা একটা সৌজন্য সাক্ষাৎ বই কিছু নয়। তাই বেশি বাড়াবাড়ি না করাই ভাল।
৭) এক জায়গায় বসে থাকবেন না
সারাক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকবেন না। মাঝে-মাঝে উঠে এদিক-সেদিক ঘুরে দেখুন। অবশ্যই বাবা-মায়ের অনুমতি নিয়ে। ছাদ বা বারান্দা থাকলে সেটা দেখতে চান। কিচেনেও যেতে পারেন। বুককেসে বই থাকলে সেটা নেড়েচেড়ে দেখুন।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!