আপনি নিজের বাড়িতে বসে বা অফিসে বসে ল্যাপটপ বা স্মার্টফোনের সাহায্যেই হরেক অপশন দেখে নিজের পছন্দমত জিনিসটা অনায়াসে কিনে নিতে পারেন অনলাইন শপিং-এর (things to remember if you do online shopping) মাধ্যমে। এমনকি অনেক সময়েই তো আপনার পছন্দের ব্র্যান্ডের ওপরে দারুণ ডিস্কাউন্টও পেয়ে যেতে পারেন। আবার এমনও হয় যে দামী জিনিস যেমন মোবাইল ফোন কিংবা টিভি বা ল্যাপটপ অথবা অন্য কোনও জিনিস ভালো ডিস্কাউন্টে কেনার জন্য ‘মহাসেল’-এর জন্যও অপেক্ষা করে থাকি। মোটামুটি কোনও উৎসবের আগ দিয়ে এই ধরণের সেল চলতে থাকে অনলাইন শপিং সাইটগুলোতে। আর সত্যি বলতে কি, বাড়ি বসে আরাম করেই যখন এতকিছু পেয়ে যাই, তখন আর কষ্ট করে বেরিয়ে শপিং করতে ইচ্ছেও করে না।
সবই তো বুঝলাম, কিন্তু অনলাইন শপিং সাইট তো একটা নয়, অনেক! তাতে আবার বিক্রেতা আরও বেশি। একই প্রোডাক্ট হয়ত দশজন বিক্রি করছেন, একেক জনের কাছে সেই প্রোডাক্টেরই একেক রকম দাম। তাহলে কিনবেন কীভাবে? কার থেকে কিনবেন? একেকজন হয়ত একেক রকমের ডিস্কাউন্ট দিচ্ছেন, যাতে আপনি-আমি সবাই একটা কনফিউশনে ভুগছি যে কোনটা কিনব, কার থেকে কিনব। তাহলে উপায়? বলছি বলছি… অনলাইন শপিং করার আগে আপনাকে বেশ কয়েকটা বিষয় (things to remember if you do online shopping) মাথায় রাখতে হবে।
ব্র্যান্ড লয়ালটি চেক করতে ভুলবেন না
আপনি নিশ্চই জানেন যে ‘ব্র্যান্ড লয়ালটি’ বলে একটা কথা আছে। সহজ কোথায় বলতে গেলে, ব্র্যান্ড লয়ালটি মানে হল, ধরুন আপনি একটা নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের পোশাক পরেন, অন্য কোনও ব্র্যান্ড যদি আপনার পছন্দের ব্র্যান্ডের থেকে বেশি ডিস্কাউন্টও দেয় বা ভালো কোয়ালিটির পোশাকও দেয় তবুও আপনি আপনার নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের পোশাকই কিনবেন, একেই বলা হয় ব্র্যান্ডের প্রতি লয়াল থাকা। এই ব্যাপারটাই কিন্তু অনলাইন শপিং-এর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আপনি যখন অনলাইন শপিং করবেন, তখন আপনি যে সাইট থেকেই শপিং করুন না কেন, খেয়াল রাখবেন ব্র্যান্ডটি যেন ঠিক থাকে অর্থাৎ নামী ব্র্যান্ড হয়। এতে আপনি ওই নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের যে প্রোডাক্ট টি কিনছেন, তার কোয়ালিটি খারাপ হবার আশঙ্কা কম থাকে। অনেকেই আবার শুধু ব্র্যান্ড না, নির্দিষ্ট একটা অনলাইন শপিং সাইট থেকেই কেনাকাটা করতে পছন্দ করেন। যেমন কেউ ‘আজিও’ থেকে জামাকাপড় কেনেন আবার হয়তো কেউ ‘অ্যামাজন’-এর ওপরে বেশি বিশ্বাস করেন, কারণ তারা এটা ভাবেন যে ওই নির্দিষ্ট অনলাইন শপিং সাইট (things to remember if you do online shopping) থেকে প্রোডাক্ট কিনলে ঠকার আশঙ্কা কম।
গ্যারান্টি ও ওয়ার্যান্টি দেখে নেবেন অবশই
অনেকসময়েই এরকম হয় যে কোনও একটা প্রোডাক্ট দেখে আমাদের এতো পছন্দ হয়ে যায় যে আমরা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটা দেখতেই ভুলে যাই, সেটা হল প্রোডাক্টের গ্যারান্টি এবং ওয়ারান্টি। যে প্রোডাক্টটা আমরা কিনছি, সেটা টেকসই হোক তা আমরা সবাই চাই, কিন্তু কখনও কখনও যদি ডিফেক্ট হয় তাহলে আমরা মুশকিলে পড়ি। সেজন্যই প্রোডাক্টের গ্যারান্টি এবং ওয়ারান্টি দেখে নেওয়াটা খুব জরুরি। জামাকাপড়ের ক্ষেত্রে গ্যারান্টি বা ওয়ারান্টি পাওয়া যায়না হয়তো, কিন্তু ইলেকট্রনিক প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে কিন্তু এই ব্যাপারটি প্রযোজ্য। অনেকসময়েই কিন্তু ম্যানুফ্যাকচারার ওয়ারান্টি থাকে না অনলাইন শপিং (things to remember if you do online shopping) সাইটে, তার বদলে বিক্রেতার নাম দেওয়া থাকে। আবার অনেকসময়ে একটা প্রোডাক্টের বিশেষ কোনও পার্ট-এর জন্য ওয়ারান্টি থাকে, সম্পূর্ণ প্রোডাক্টটির জন্য থাকে না। তখন হয় সমস্যা। কাজেই এই ব্যাপারগুলো একটু দেখে, ভালো করে বুঝে তারপরেই প্রোডাক্টটি কেনা উচিত।
রিটার্ন পলিসি দেখে নিন
আরও একটা ব্যাপারে একটু নজর দেওয়া উচিত, যে অনলাইন শপিং (things to remember if you do online shopping) সাইট থেকে আপনি প্রোডাক্ট কিনছেন, তাদের রিটার্ন এবং শিপমেন্ট পলিসি কীরকম। একটা স্পষ্ট রিটার্ন পলিসি কিন্তু কাস্টমারের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। এতে কাস্টমারের মধ্যে একটা বিশ্বাস তৈরি হয় যে যেখান থেকে তারা প্রোডাক্টটি কিনছেন সেখানে তারা প্রয়োজন হলে সহজেই প্রোডাক্ট রিটার্ন করতে পারেন। অনেক অনলাইন শপিং সাইট তাদের ডেলিভারি বয়দেরকে পাঠিয়ে দেয় যে প্রোডাক্টটি রিটার্ন করতে হবে সেটা নিয়ে আসার জন্য, আবার অনেকে পাঠায় না; সেক্ষেত্রে কাস্টমারকে নিজের পয়সা খরচ করে আবার প্রোডাক্টটি কুরিয়ার করতে হয়। ফলে যে ওয়েবসাইট থেকে আপনি জিনিস কিনছেন, তাদের শিপমেন্ট এবং রিটার্ন পলিসি খুব ভালো করে পড়ে নিয়ে তবেই কিনুন।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!