একটা সময় ছিল যখন মেয়েদের নিজেদের কেরিয়ার বলে কিছু ছিল না। অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যেত এবং তার পরে তাঁদের গোটা জীবনটাই সংসার ও সন্তান সামলাতেই কেটে যেত। তবে এখন দিন বদলেছে। মেয়েরাও নিজের কেরিয়ার নিয়ে নানা ফিল্ডে এগিয়ে চলেছেন। বিয়ে এবং সংসারই যে কোনও মেয়ের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য নয়, সে’কথা আজ মেয়েরা প্রমাণ করে দিয়েছেন। ফলত, অনেক মেয়েই ‘বেশ বেশি বয়সে’ বিয়ে করছেন এবং তার পরেই সন্তানের জননী হচ্ছেন। আজকাল বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বয়স প্রায় ৩০ পেরোলে তবেই মেয়েরা প্রেগন্যান্সি (pregnancy) প্ল্যান করেন। তবে আজকাল আমাদের সবারই জীবনযাত্রায় যেহেতু বেশ পরিবর্তন এসেছে এবং সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খাবারে ভেজাল ও পরিবেশে দূষণ বেড়েছে; কাজেই ৩০ বছর বয়সের পর (after 30) প্রেগন্যান্সি (pregnancy) প্ল্যান করলে কখনও কখনও কিছু জটিলতা দেখা দেয়। আপনিও যদি ৩০-এর উপরে হন এবং প্রেগন্যান্সি প্ল্যান করেন, তাহলে এই বিষয়গুলো একটু মাথায় রাখুন।
প্রেগন্যান্সির ৩৭তম সপ্তাহের মধ্যে বা তারও আগে যদি শিশুর জন্ম হয়, তাহলে তাকে প্রি-টার্ম লেবার বা প্রি-ম্যাচিওর ডেলিভারি বলা হয়। যে-কোনও সদ্যোজাত শিশুর পক্ষে এই সময়টা খুবই কঠিন, কারণ সে সময়ের বেশ আগে পৃথিবীতে চলে এসেছে। যেহেতু গর্ভস্থ শিশুর পরিপূর্ণ শারিরিক ও মানসিক বিকাশের আগেই তার জন্ম হয়েছে, কাজেই পরবর্তীকালে শারীরিক বা মানসিক দিক থেকে অন্যান্য শিশুর তুলনায় তার দুর্বল হওয়ার একটা আশঙ্কা থেকেই যায়। ৩০ বছর বয়সের পর অনেক সময়েই প্রি-ম্যাচিওর ডেলিভারির আশঙ্কা থেকে যায়। কাজেই, গর্ভাবস্থায় কোনও রকম ছোটখাটো সমস্যাও অবহেলা করবেন না।
কোনও রকম সমস্যা দেখা দিলেই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
অনেকেরই গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়। কমবয়সী গর্ভবতী মেয়েদেরও এই সমস্যা হতে পারে; তবে বয়স ৩০ পেরিয়ে গেলে যেহেতু আমাদের শরীরে নানা রোগের বাসা বাঁধার একটা প্রবণতা থেকে যায়, কাজেই ৩০-এর পর প্রেগন্যান্সিতে উচ্চ রক্তচাপের একটা আশঙ্কা থেকেই যায়। যদি গর্ভাবস্থায় পা ফোলা, ওয়াটার রিটেনশন, একটানা মাথা ব্যথা, শ্বাস কষ্ট বা দেখার সমস্যা হয়, সেক্ষেত্রে এই লক্ষণগুলো একেবারেই অবহেলা না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এরকম সমস্যা সাধারনত ৩০-৪০ বছর বয়সী গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে দেখা যায়। একে preeclampsia বলা হয়।
৩৫ বছরের পর যদি প্রেগন্যান্সি প্ল্যান করেন, সেক্ষেত্রে অনেক সময়ে একটপিক প্রেগন্যান্সির সমস্যা দেখা দিতে পারে। যখন ডিম্বাশয় থেকে এগ নিঃসৃত হয়ে ফারটিলাইজড হয়ে জরায়ুতে প্রবেশ করে তখন বলা যায় গর্ভে ভ্রূণের সঞ্চার ঘটে। কিন্তু একটপিক প্রেগন্যান্সিতে জরায়ুর বাইরে ফ্যালিপিওন টিউবে এগ প্রবেশ করে, ফলে গর্ভপাতের প্রবল আশঙ্কা থাকে। একটপিক প্রেগন্যান্সির কিছু লক্ষণ রয়েছে, যেমন – মাথা ধরা, মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, সারা শরীরে ব্যথা, যোনিপথে রক্তপাত ইত্যাদি।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!