পরিবার শুরু করা বা ফ্যামিলি প্ল্যানিং শব্দগুলো শুনতে বেশ মিষ্টি লাগলেও বিষয়টা যে মোটেই সহজ নয়, তা তাঁরা অন্তত বেশ ভাল বোঝেন যারা ইতিমধ্য়েই ফ্য়ামিলি প্ল্যান করেছেন। তবে সত্যি বলতে আপনারা কখন ফ্যামিলি প্ল্যান করবেন সেই সিদ্ধান্ত একান্তই আপনাদের দু’জনের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।ফ্যামিলি প্ল্যানিং-এর ক্ষেত্রে ‘তাড়াতাড়ি’ বা ‘দেরি’ বা ‘পারফেক্ট টাইমিং’ – এ’ধরনের শব্দগুলো খাটে না। যে সময়টা আপানদের সঠিক বলে মনে করছেন, সেটাই পরিবার শুরু করার জন্য পারফেক্ট টাইম।
তবে ফ্যামিলি প্ল্যানিং করার আগে কয়েকটি বিষয় কিন্তু মাথায় রাখলে আপনাদের পরে সুবিধে হবে। কিছু বিষয়ে একটু সতর্ক থাকলে আপানদের এবং আগত সন্তানের জন্য তা সুবিধেজনক। আপানারাও যদি ফ্যামিলি প্ল্যানিং (family planning) করার কথা ভাবেন, তবে পরিবার পরিকল্পনা করার আগে যে বিষয়গুলি খেয়াল রাখা প্রয়োজন তা নিয়েই আলোচনা করব।
সন্তানকে যথেষ্ট সময় দিতে পারবেন তো?
সন্তানকে যথেষ্ট সময় দিতে হবে
আজকাল মোটামুটি সব স্বামী-স্ত্রীই চাকরি করেন। আপানারাও হয়ত ওয়ার্কিং পেরেন্টস। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তাঁরা ফ্যামিলি প্ল্যান করতে পারবেন না। আপনারাও যদি পরিবার শুরু করার কথা ভাবেন, তাহলে সবার আগে চিন্তা করে নিন যে আপনাদের মধ্যে কে সন্তানকে বেশি সময় দিতে পারবেন। শিশুটির যেন কখনও না মনে হয় সে একা। যদি আপনি ওয়ার্ক ফ্রম হোম করেন, সেক্ষেত্রে আপনাকেই বেশি সময় দিতে হবে; আবার যদি উল্টোটা হয়, তাহলে সন্তানের বাবাকে বেশি সময় দিতে হবে। তাই আপানদের দু’জনের মধ্যে এই বোঝাপড়া থাকা ও টাইম ম্যানেজমেন্ট করতে পারা জরুরি
হবু মা-বাবার শারীরিক অবস্থা কেমন
আজকাল আমাদের সবারই জীবনযাত্রায় একটা বিষয় কমন, আর তা যে-কারও স্বাস্থ্যের পক্ষেই ক্ষতিকর। বিষয়টি হল স্ট্রেস। সময় মত খাওয়া ঘুম কোনওটাই হয় না। আর এই স্ট্রেসপূর্ণ জীবনযাপন কিন্তু সন্তান ধারনের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। পেশার খাতিরে যদি আপনার পর্যাপ্ত ঘুম না হয়, সেক্ষেত্রে নিজের ডায়েটের দিকে নজর দিন। সঙ্গে ব্যায়াম করুন। আপনার স্বামীকেও একই বিষয়ে বুঝিয়ে বলুন। আপনাদের সুস্থ জীবনযাপনই কিন্তু একটা সুস্থ বাচ্চার জন্ম দিতে পারে – একথা মনে রাখবেন।
প্রয়োজনে চিকিৎসকের সাহায্য নিন
আগেই বললাম, এই জেটগতির যুগে আমরা অনেকেই একটি অস্বাস্থ্যকর জীবনজাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। এর সঙ্গে অনেক মহিলার পিসিওডি বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও থাকে। আপনিও যদি পিসিওডি বা থাইরয়েডের শিকার হন, সেক্ষেত্রে কিন্তু কনসিভ করতে সমস্যা হতে পারে। আবার আপনার স্বামীরও যদি কোনওরকম শারীরিক অসুস্থতা থেকে থাকে, তাহলেও সঠিক চিকিৎসা প্রয়োজন। এছাড়াও আজকাল অনেকেই নানা লাইফস্টাইল ডিজিজ যেমন ডায়েবেটিস, হাই ব্লাড প্রেশার ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত। নিজেদের পরিবার শুরু করার আগে দু’জনেই ভালভাবে ডাক্তার দেখিয়ে নিন এবং তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী চলুন।
আগামী দশ বছরের ফিনানশিয়াল ব্যাকআপ আছে তো?
ফ্যামিলি প্ল্যানিং (family planning) শব্দ দুটো যতটা সহজ, বাস্তবে তা নয় সেই বিষয়ে আগেই বলেছিলাম। সন্তানকে একটি সুন্দর ও সুস্থ জীবন দেওয়া আপনাদের কর্তব্য। আর তার জন্য অর্থের খুবই প্রয়োজন। সন্তানের প্রতিটা প্রয়োজনীয়তা যাতে মেটাতে পারেন। আর্থিক প্রতিকুলতা যেন কোনওভাবেই সন্তানকে বড় করার ক্ষেত্রে একটি সমস্যা না হয়ে দাঁড়ায়। সন্তানের স্কুলিং, চিকিৎসার খরচ ও পারিপার্শ্বিক অন্যান্য খরচও কিন্তু পরিবারে বাড়ে। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নেবেন।
পরিবার শুরু করার উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে তো?
মনে রাখবেন, যে পরিবেশে সন্তান বড় হয়ে উঠবে সেই পরিবেশ (family planning) কিন্তু তার মনে প্রভাব ফেলবে। তাই সন্তানের জন্য একটি ভাল পরিবেশ তৈরি করা আপনার দায়িত্ব। খেয়াল রাখবেন, জন্মের পর যেন আপনি তাকে একটি সুস্থ পরিবেশে বড় করে তুলতে পারেন। যাতে তার ভবিষ্যৎও সুন্দর হয়।
POPxo এখন চারটে ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, মারাঠি আর বাংলাতেও!
বাড়িতে থেকেই অনায়াসে নতুন নতুন বিষয় শিখে ফেলুন। শেখার জন্য জয়েন করুন #POPxoLive, যেখানে আপনি সরাসরি আমাদের অনেক ট্যালেন্ডেট হোস্টের থেকে নতুন নতুন বিষয় চট করে শিখে ফেলতে পারবেন। POPxo App আজই ডাউনলোড করুন আর জীবনকে আরও একটু পপ আপ করে ফেলুন!