বিখ্যাত মার্কিন কলামনিস্ট ওয়াল্টার উইনচেল তাঁর এক লেখায় একবার লিখেছিলেন, ‘দুঃখের দিনে সারা দুনিয়া যখন মুখ ফিরিয়ে নেয়, তখন বন্ধুরাই কিন্তু পাশে এসে দাঁড়ায়’। কথাটা ষোলো আনা সত্যি। তাই তো এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে প্রকৃত বন্ধুর সন্ধান পাওয়াটা অনেকটা ‘এল ডোরাডো’র সন্ধান পাওয়ার মতোই ভাগ্যের বিষয়। আর সেই ভাগ্যবানদের একজন যদি আপনি হয়ে থাকেন, তা হলে এই প্রতিবেদনটি ঝটপট পড়ে ফেলা মাস্ট! কেন পড়বেন তাই ভাবছেন? আসলে এই প্রতিবেদনে এমন কিছু সিনেমার উল্লেখ রয়েছে, যা আগামী রবিবার, মানে ফ্রেন্ডশিপ ডের দিনে কাছের বন্ধুরা মিলে দেখে ফেললে ফ্রেন্ডশিপ ডের মজাটা যে কেয়েকগুণ বেড়ে যাবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সঙ্গে বন্ধুত্বের ভিতটাও আরও কিছুটা মজবুত হয়ে উঠবে বই কী!
১. ভিরে দি ওয়েডিং
খারাপ-ভাল যাই ঘটুক, এই ছবিতে বন্ধুরা কিন্তু পরস্পরের হাত কোনও দিন ছাড়েনি। ঝগড়া-চুলোচুলি হয়েছে বই কী! কিন্তু বন্ধুত্বের স্বাদ কখনও ফিকে হয়নি। এমন গল্পকে সঙ্গী করেই বুনোট বেঁধেছে সেই সিনেমার প্লট। তাই ফ্রেন্ডশিপ ডের দিন বন্ধুত্বের (Friendship) অনুভূতিকে আরও একটু সুড়সুড়ি দিতে এই সিনেমাটা দেখতেই পারেন। সঙ্গে কলেজ বা স্কুলজীবনের গল্প যদি সঙ্গী হয়ে ওঠে, তাহলে দিনটা দেখবেন চোখের পলকে কেটে যাবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ‘জি ফাইভ’ পোর্টালে এই সিনেমাটি রয়েছে। তাই এই ওয়েব প্ল্যাটফর্মে যদি অ্যাকাউন্ট না থেকে থাকে, তা হলে আজই এক মাসের জন্য সাবস্ক্রিপশন নিয়ে নিয়ে নিতে দেরি করবেন না যেন!
https://www.youtube.com/watch?v=bRdxiB6EgHg
ফ্রেন্ডশিপ ডের দিন বন্ধুরা মিলে সিনেমা দেখার প্ল্য়ান করছেন নাকি? তা হলে সেই লিস্টে ‘থ্রি ইডিয়টস’ এর মতো সিনেমা থাকা মাস্ট! কমেডি আর ফ্রেন্ডশিপের মিশেলে এই ছবি সত্যিই অনবদ্য। সঙ্গে উপরি পাওনা রাজু হিরানির টানটান পরিচালনা আর আমির, মাধবন আর শরমন জোশীর অভিনয়। সঙ্গে আমির-করিনার দুষ্টি-মিষ্টি প্রেমও এই ছবির আরও এক্স ফ্যাক্টর বই কী! তাই মুভি ম্যারাথনের প্ল্যান থাকলে ইনিংসের সূচনাটা ইডিয়টসের সঙ্গে করতেই পারেন! নেটফ্লিক্সে এই সিনেমাটা রয়েছে। আর যদি এতে অ্যাকাউন্ট না থাকে, তা হলেও ফিকর নট! কারণ, ইউ টিউবেও খোঁজ মিলবে এই ছবিটির।
২. থ্রি ইডিয়টস
সিনেমাটা আদ্যিকালের বটে, তবে ‘পেয়ার দোস্তি হ্যায়’, এই ডায়ালগটা কিন্তু মিলেনিয়ালদের কাছে এখনও বেশ সুপার হিট! তাই আপনার বন্ধুরা যে এই সিনেমাটা দেখতে নারাজ হবে না, সে গ্যারান্টি আমাদের। তা তো শাহরুখের, কাজল আর রানি মুখোপাধ্যায় অভিনীত এই সিনেমাটা যদি ফ্রেন্ডশিপ ডের দিন না দেখেন, তা হলে আর কী করলেন বলুন! তাছাড়া ছুটির দিনে কাছের মানুষদের বগলদাবা করে এমন রোমান্টিক সিনেমা দেখার মজাই যে আলাদা, তা নিশ্চয় আপনিও মেনে নেবেন। তাই রাহুল আর অঞ্জলির সঙ্গী হয়ে তাঁদের বন্দুত্ব আর ভালবাসার দুনিয়ায় ঘন্টা তিনেকের জন্য হারিয়ে যেতে ভুলবেন না যেন! ইউ টিউবে এই সিনেমাটা নেই ঠিকই, তবে ইচ্ছা হলে অ্যামাজন প্রাইমে ছবিটি দেখতে পারেন।
৩. কুছ কুছ হোতা হ্যায়
বন্ধুত্ব জাতি-ধর্ম মানে না। তাঁর কাছে বন্ধুই শেষ কথা। এই ধরণাকে সঙ্গী করেই এগিয়ে চলে অভিষেক কপূর পরিচালিত এই ছবির গল্প। কিন্তু আমাদের দেশে ধর্মের চেয়ে শক্তিশালী যে আর কিছু নই। সে যে বন্ধুত্বের বন্ধনকেও নিমেষে ছিঁড়ে ফেলতে পারে, আর সেই ছবিই ফুটে ওঠে এই সিনেমায়। তাই কাই পো চে শুধু তিন বন্ধুর গল্প নয়, বরং ধর্ম, বলিদান এবং সম্পর্কের টানাপোড়েনের মাঝে মাথা তুলে দাঁড়ানো তিনটে অতি সাধারণ জীবনের গল্প। তাই বন্ধুত্বের বুনিয়াদকে যদি আরও একটু শক্তপোক্ত করতে হয়, তা হলে ফ্রেন্ডশিপ ডের দিন বন্ধুরা মিলে এই ছবিটি দেখতে দেরি করবেন না যেন! নেটফ্লিক্স এবং ইউ টিউবে রয়েছে এই সিনেমাটা।
৪. কাই পো চে
বলিউডে বন্ধুত্ব কেন্দ্রিক গল্প নিয়ে ছবি কম হয়নি। সাতের দশকে যেখানে জয়-ভিরুর রাজ ছিল, সেখানে আজকের দিনে রণছোড়দাস আর মুন্না-সার্কিটের নাম লোকের মুখে-মুখে ফেরে। তবে এই সব ছবির বাইরেও এমন অনেক সিনেমা রয়েছে, যা ফ্রেন্ডশিপ ডের দিন দেখা যেতেই পারে। সেই লিস্টে থাকতে পারে দিল চাহতা হ্যায়, রক অন, ফুকরে, রং দে বসন্তী, জানে তু ইয়া জানে না অথবা ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানির মতো ছবি। আর যদি ক্লাসিক সিনেমা দেখতে মন চায়, তা হলে ‘আনন্দ’, নয়তো ‘ইয়ারানা’র মতো ছবি দেখতে পারেন। রকফোর্ড, জিন্দগী না মিলেগি দোবারা আর জো জিতা ওহি সিকন্দর-এর মতো সিনেমাও ফ্রেন্ডশিপ ডের দিন দেখার জন্য আদর্শ।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!