কীভাবে এই গল্প বলব আপনাদের জানি না। আসলে এটা গল্পও তো নয়। একদম ঘোর বাস্তব। অনেকদিন আগে একটা সিনেমা হয়েছিল ছেলে কার বলে। এবার বোধহয় তার সিকুয়েল হবে মেয়ে কার বলে। কারণ একটি শিশুর (child) পিতৃত্বের (fatherhood) দাবীতে হাসপাতালে হাজির হয়েছেন তিনজন বাবা! ভাবা যায়না! আসল ঘটনা খুলে বলি আপনাদের। গত রবিবার দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন বছর বাইশের এক তরুণী। যখন তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন তখন তার সঙ্গে ছিলেন দীপঙ্কর পাল নামে এক ব্যক্তি। হাসপাতালের নথিতে তিনিই সইসাবুদ করেন এবং সেখানে সন্তানের বাবা এবং তরুণীর স্বামী হিসেবে নিজের নাম লেখেন। খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। আরে দাঁড়ান দাঁড়ান। পিকচার আভি বাকি হ্যায়। সন্তান প্রসবের পর হঠাৎ হাজির হন দ্বিতীয় ব্যক্তি। আর তিনি এবার দাবী করেন এই তরুণীর স্বামী তিনিই আর তিনিই এই সদ্যজাত সন্তানের বাবা। বাবা রে!
এই ব্যক্তির নাম হর্ষ ক্ষেত্রী। যে মেয়ের বাবা কে এই নিয়ে যখন হাসপাতাল ও পুলিশের মাথায় হাত এবং চোখ কপালে উঠে গেছে তখন মেয়ের মা পুলিশের কাছে লিখিত বয়ান দেন। তিনি বলেন হর্ষ ঠিক বলেছে। ওই তো আমার স্বামী আর আমার সন্তানের বাবা! মেলা জ্বালা হল দেখছি। তাই যদি হবে তাহলে দীপঙ্কর পাল কে? তিনি কেউ না। তিনি হলেন বন্ধু!হে ভগবান, একা রামে রক্ষা নেই সুগ্রীব দোসর! না, না সত্যিই ভাবুন দেখি অবস্থাটা! এদিকে সন্ধের দিকে প্রদীপ রায় বলে এক ব্যক্তি আচমকা বলেন ওরা দুজনেই মিথ্যে বলছে আমিই আসলে বাবা! অ্যাঁ? সেকি? পুলিশ বোধহয় এটাই জানতে চেয়ে অনেক খোঁজ কভর করে জানতে পারে যে এই প্রদীপ রায়ও আসলে কেউ না। শুধুই বন্ধু। এদিকে দীপঙ্কর পাল বলেন , হ্যাঁ তো, হর্ষই তো বাবা। আমি শুধু বন্ধু হওয়ার দায়িত্ব পালন করেছি। তরুণী জানান তার সঙ্গে হর্ষের প্রেম ছিল, পরে বিয়েও হয়। কিন্তু হর্ষের পরিবার তাঁকে মেনে নেয়নি। হর্ষও বলেন তিনি কোনও কাজ করতেন না বলে প্রেমিকা কাম বউ তাঁকে ছেড়ে নেতাজিনগরে নিজের মায়ের সঙ্গে ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করে। এসব কথা দীপঙ্কর জানতেন। তিনিই নাকি এদ্দিন তরুণীকে ডাক্তার দেখানো, ওষুধ খাইয়ে দেওয়া হ্যানত্যান এসব করতেন। আহা এমন বন্ধু আজকালকার দিনে খুঁজে পাওয়া ভার। হর্ষ এতে ভারি রেগে গেছেন। তিনি বলেছেন দীপঙ্কর এসব ইচ্ছে করেই করেছেন। এদিকে দীপঙ্কর হাপুস নয়নে কেঁদেকেটে একসা হয়ে পুলিশকে বলেছেন যে এই তরুণী যে কিনা তাঁর দারুণ ঘনিষ্ঠ বান্ধবী, তাঁর কষ্ট তিনি সইতে পারেননি। যাইহোক আপাতত সব সমস্যার সমাধান হয়েছে ঠিকই কিন্তু কিছু প্রশ্ন থেকেই যায়। দীপঙ্কর যখন জানতেন হর্ষের কথা তিনি সেটা আগে কেন বলেননি? এই প্রদীপ রায় কেন বললেন তিনি বাবা আর বলে কোথায় গেলেন? আর তরুণীর মাই বা কেন মুখে কুলুপ এঁটে থাকলেন? হরি, দীনবন্ধু আমায় তুমি তুলে নাও। কালে কালে আর কত কিছু যে দেখতে হবে।
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!
আপনি যদি রংচঙে, মিষ্টি জিনিস কিনতে পছন্দ করেন, তা হলে POPxo Shop-এর কালেকশনে ঢুঁ মারুন। এখানে পাবেন মজার-মজার সব কফি মগ, মোবাইল কভার, কুশন, ল্যাপটপ স্লিভ ও আরও অনেক কিছু!