ছোটবেলায় আনন্দমেলা পত্রিকায় মুখিয়ে থাকতাম টিনটিন (tintin) পড়ার জন্য। ভারী রাগ হতো পত্রিকার অফিসের লোকজনদের উপর। ভাবতাম কি কৃপণ ওরা! একটু একটু করে ছাপে। এইরকমটা কিন্তু আমাদের অনেকেরই মনে হত। কারণ টিনটিন (tintin) মানেই একরাশ রহস্য, মজা আর দেদার হাসি। টিনটিনের (tintin) প্রকৃত উচ্চারণ যে আসলে ত্যাত্যা এবং সে যে আদতে বাঙালি নয় সেটা একদম আসত না মনের মধ্যে। কে বলেছে বলুন তো টিনটিন (tintin) আসলে বাঙালি নয়? চলুন না আমার সঙ্গে হিন্দুস্থান পার্কে। ওখানে গেলেই দেখা হয়ে যাবে সাহসী নির্ভীক এই সাংবাদিকের সঙ্গে। বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে বলি শুনুন। তামাম কলকাতাবাসীর এই টিনটিন (tintin) প্রেমের সলতে আরও একটু উস্কে দিতে শহরে খুলেছে নতুন একটি রেস্তরাঁ যার নাম , ‘টিনটিন অ্যান্ড দা ব্রাসেলস ক্লাব।’ Tintin and the Brussels Club
এই রেস্তরাঁয় ঢুকেই যেটা সবার প্রথম নজর টানে সেটা হল এখানকার অন্দরসজ্জা। আপনি বন্ধু বান্ধবদের নিইয়ে আড্ডা মারতে যান বা পরিবার নিইয়ে রবিবারের সন্ধে কাটাতে। বিশ্বাস করুন ছোট বড় সবার ভালো লাগবে এই রেস্তরাঁ। এখানে এসে বেশ একটা ‘ইউরোপ, ইউরোপ’ ফিল হবে প্রথমেই। দেওয়ালে সুন্দর সুন্দর পেন্টিং, লোভনীয় কালেকটেবলস আর লাইভ মিউজিক আপনাকে এখানে বার বার আস্তে বাধ্য করবে। আর যারা টিনটিনের আদ্যপান্ত গোগ্রাসে অন্তত একশবার করে পড়েছে মানে যারা পাতার পর পাটা মুখস্ত বলে দিতে পারে তারা তো আনন্দে পাগল হয়ে যাবে এখানে এলে। কারণ টিনটিনের গল্পের সঙ্গে জড়িত নানা জিনিস এখানে আছে।
বেলজিয়ামের কার্টুনিস্ট হার্জে যার আসল নাম ছিল জর্জেস রেমি, তিনি হলেন টিনটিনের স্রস্টা। যখন উনি এই কমিক স্ট্রিপ শুরু করেন বোধহয় ভাবেননি যে এতটা জনপ্রিয় হবে এই চরিত্র। অসংখ্য ভাষায় অনুবাদ হয়েছে টিনটিন। তবে বাংলায় এই অনুবাদ করার কৃতিত্ব অবশ্যই আনন্দমেলার সম্পাদক নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ও পৌলমী সেনগুপ্তের।
ঢোকার মুখেই হন্তদন্ত হয়ে ছুটতে থাকা টিনটিন ও স্নোয়ি ওরফে কুট্টুস মন ভালো করে দেয়। এখানকার মেনু স্বাভাবিক ভাবেই বেলজিয়ামের খাবার দ্বারা অনুপ্রাণিত। আর আছে মিষ্টিপ্রেমী বাঙালির মন ভালো করে দেওয়া কিছু বেলজিয়ান মিষ্টি। আর যারা সারা পৃথিবীর ভালো ভালো খাবারের সন্ধান রাখেন তারা জানেন বেলজিয়াম চকলেটের গুরুত্ব ঠিক কতখানি।
এখানকার স্পেশাল খাবারগুলো হল বেলজিয়ান ফিশ ফ্রাই, বেলজিয়ান চিকেন ফ্রাই, বেলজিয়ান অ্যাঁ গ্রাতিন, মুস্যাল পট রোস্ট, পট্যাটো ওয়েজেস ইত্যাদি।
POPxo Recommends: রোস্ট করা হাঁস, স্যামন স্টেক, ল্যাম্ব চপ আর টিনটিন স্পেশাল মকটেল
আসলে আপনার আর আমার মতোই এই কাফের মালিক অরিন্দম ঘোষ আর বর্ণালি সেনশর্মা ঘোষও দারুণ ভালোবাসেন টিনটিনকে। আর তাই তো এই কাফের আইডিয়া মাথায় আসে। একটা পুরনো বাড়িকে রিনোভেট করে এই রেস্তরাঁ খুলেছেন তারা। সুস্বাদু খাবারের সাথে লাইভ মিউজিক, কমিক্স পড়ার সুযোগ আর ফিশ স্পা নিইয়ে দুর্দান্ত হিট এই রেস্তরাঁ।
ঠিকানাঃ ৫২ ডি, হিন্দুস্থান পার্ক, গড়িয়াহাট,
দুজনের জন্য খরচ পড়বেঃ ৯০০ টাকা (ট্যাক্স সমেত)
খোলা থাকেঃ প্রতিদিন বেলা ১২ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত
ফোন নম্বরঃ (০৩৩) ৪৬০২৪৫৯৭, ৯৮৩৬৪২৪৯১৯
picture courtsey Instagram, Facebook
POPxo এখন ৬টা ভাষায়! ইংরেজি, হিন্দি, তামিল, তেলুগু, মারাঠি আর বাংলাতেও!